১০:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আসিফ সেতু,যশোর প্রতিনিধিঃ

দুর্নীতির দায়ে সাবেক পুলিশ পরিদর্শকের কারাদণ্ড

  • প্রকাশিত ০২:২৪:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
  • ১৩০ বার দেখা হয়েছে

 

যশোরের একটি আদালত জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় পুলিশের সাবেক পরিদর্শক শেখ সিরাজুল ইসলামকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) এসএম নূরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় আদালত তাকে দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। তবে সাজাপ্রাপ্ত শেখ সিরাজুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।

দুদকের অভিযোগে বলা হয়, বাগেরহাট পুলিশের তৎকালীন ডিআইও শেখ সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠলে যশোর জেলা দুর্নীতি দমন ব্যুরো তার বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করে। তবে তিনি একাধিকবার নোটিশ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান।

১৯৯৮ সালে যশোর ডিএসবির মাধ্যমে পাঠানো নোটিশ গ্রহণ না করায় তা বাগেরহাট পুলিশ সুপারের মাধ্যমে পাঠানো হয়। কিন্তু তখনও তিনি তা গ্রহণ করেননি এবং পদোন্নতি পেয়ে ঝিনাইদহ জেলায় বদলি হন। শৈলকুপা থানার ওসি থাকাকালীনও তিনি নোটিশ প্রত্যাখ্যান করেন।

২০০০ সালের ১১ জুলাই দুর্নীতি দমন ব্যুরো যশোরে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। তদন্তে তার নামে-বেনামে অবৈধভাবে প্রায় কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি দুদকের যশোর কার্যালয় অভিযোগপত্র দাখিল করলে বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। আদালত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামির বিরুদ্ধে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের রায় দেন। তবে তিনি পলাতক থাকায় সাজা কার্যকরের বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :
জনপ্রিয়

৬৪ টি জেলায় বেকারত্ব সমস্যা সমাধান হলে বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে

আসিফ সেতু,যশোর প্রতিনিধিঃ

দুর্নীতির দায়ে সাবেক পুলিশ পরিদর্শকের কারাদণ্ড

প্রকাশিত ০২:২৪:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫

 

যশোরের একটি আদালত জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় পুলিশের সাবেক পরিদর্শক শেখ সিরাজুল ইসলামকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) এসএম নূরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় আদালত তাকে দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। তবে সাজাপ্রাপ্ত শেখ সিরাজুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।

দুদকের অভিযোগে বলা হয়, বাগেরহাট পুলিশের তৎকালীন ডিআইও শেখ সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠলে যশোর জেলা দুর্নীতি দমন ব্যুরো তার বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করে। তবে তিনি একাধিকবার নোটিশ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান।

১৯৯৮ সালে যশোর ডিএসবির মাধ্যমে পাঠানো নোটিশ গ্রহণ না করায় তা বাগেরহাট পুলিশ সুপারের মাধ্যমে পাঠানো হয়। কিন্তু তখনও তিনি তা গ্রহণ করেননি এবং পদোন্নতি পেয়ে ঝিনাইদহ জেলায় বদলি হন। শৈলকুপা থানার ওসি থাকাকালীনও তিনি নোটিশ প্রত্যাখ্যান করেন।

২০০০ সালের ১১ জুলাই দুর্নীতি দমন ব্যুরো যশোরে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। তদন্তে তার নামে-বেনামে অবৈধভাবে প্রায় কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি দুদকের যশোর কার্যালয় অভিযোগপত্র দাখিল করলে বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। আদালত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামির বিরুদ্ধে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের রায় দেন। তবে তিনি পলাতক থাকায় সাজা কার্যকরের বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।