১০:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সদর হাসপাতালের ডাঃ রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ

  • প্রকাশিত ১২:২৬:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১১৭ বার দেখা হয়েছে

শিপন মিয়া, ঝিনাইদহ:

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি, হাসপাতালের ঔষধ তার ব্যক্তিগত রয়েল হাসপাতালে ব্যবহার, হাসপাতালের সামগ্রী চুরি, কর্মচারীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ, এবং মাদক সেবন ও ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া, সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের ওপর শারীরিক আক্রমণ করেন তিনি। এমনকি, তার গলায় থাকা স্টেথিসকোপ দিয়ে সাংবাদিকদের উপর হামলা চালানো হয়, এবং পরে তার রয়েল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে সাংবাদিকদের ওপর দ্বিতীয় দফা হামলা চালানো হয়। এই ঘটনায় পরবর্তীতে সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ ফেসবুকে ভাইরাল করে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অপবাদ আরোপ করা হয়।

ডাঃ রেজাউল ইসলাম নিজে বিশেষজ্ঞ না হলেও নিজের প্রেসক্রিপশনে এবং ফাইল ফোল্ডারে “বক্ষব্যাধী ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, চেষ্ট মেডিসিন, এমএসিপি (আমেরিকা), বক্ষব্যাধী, এজমা ও ডায়াবেটিক রোগ বিশেষজ্ঞ” হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের একজন আবাসিক চিকিৎসক হলেও নিজের ভুয়া ডিগ্রী দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। তিনি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করানোর ফলে অনেক রোগী মৃত্যুর মুখে পড়েছে এবং রোগীদের unnecessary পরীক্ষার মাধ্যমে আর্থিকভাবে নিঃস্ব করেছেন।

এছাড়া, তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যার অভিযোগ রয়েছে। বিগত সরকারের সময় তার স্ত্রী ডাঃ গুলশান আরা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আরএমও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং তিনি একইভাবে হাসপাতাল থেকে লুটপাট করেছেন। বর্তমানে, তিনি আবার শহরের হামদহ এলাকায় একটি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুলেছেন, কিন্তু কোন বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, ডাঃ রেজাউল ইসলাম মেডিসিন বিশেষজ্ঞ নন এবং তার আমেরিকার ডিগ্রী বাংলাদেশে বৈধ নয়। তিনি জানান, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে, এবং বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে এবং পুলিশ সুপারের কাছে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। তবে, ডাঃ রেজাউল ইসলাম সাংবাদিকদের জীবননাশের হুমকি প্রদান অব্যাহত রেখেছেন।

Tag :
জনপ্রিয়

সীতাকুণ্ডে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

সদর হাসপাতালের ডাঃ রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ

প্রকাশিত ১২:২৬:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শিপন মিয়া, ঝিনাইদহ:

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি, হাসপাতালের ঔষধ তার ব্যক্তিগত রয়েল হাসপাতালে ব্যবহার, হাসপাতালের সামগ্রী চুরি, কর্মচারীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ, এবং মাদক সেবন ও ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া, সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের ওপর শারীরিক আক্রমণ করেন তিনি। এমনকি, তার গলায় থাকা স্টেথিসকোপ দিয়ে সাংবাদিকদের উপর হামলা চালানো হয়, এবং পরে তার রয়েল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে সাংবাদিকদের ওপর দ্বিতীয় দফা হামলা চালানো হয়। এই ঘটনায় পরবর্তীতে সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ ফেসবুকে ভাইরাল করে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অপবাদ আরোপ করা হয়।

ডাঃ রেজাউল ইসলাম নিজে বিশেষজ্ঞ না হলেও নিজের প্রেসক্রিপশনে এবং ফাইল ফোল্ডারে “বক্ষব্যাধী ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, চেষ্ট মেডিসিন, এমএসিপি (আমেরিকা), বক্ষব্যাধী, এজমা ও ডায়াবেটিক রোগ বিশেষজ্ঞ” হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের একজন আবাসিক চিকিৎসক হলেও নিজের ভুয়া ডিগ্রী দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। তিনি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করানোর ফলে অনেক রোগী মৃত্যুর মুখে পড়েছে এবং রোগীদের unnecessary পরীক্ষার মাধ্যমে আর্থিকভাবে নিঃস্ব করেছেন।

এছাড়া, তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যার অভিযোগ রয়েছে। বিগত সরকারের সময় তার স্ত্রী ডাঃ গুলশান আরা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আরএমও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং তিনি একইভাবে হাসপাতাল থেকে লুটপাট করেছেন। বর্তমানে, তিনি আবার শহরের হামদহ এলাকায় একটি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুলেছেন, কিন্তু কোন বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, ডাঃ রেজাউল ইসলাম মেডিসিন বিশেষজ্ঞ নন এবং তার আমেরিকার ডিগ্রী বাংলাদেশে বৈধ নয়। তিনি জানান, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে, এবং বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে এবং পুলিশ সুপারের কাছে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। তবে, ডাঃ রেজাউল ইসলাম সাংবাদিকদের জীবননাশের হুমকি প্রদান অব্যাহত রেখেছেন।