০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মোঃ মাহমুদুল হাবিব রিপন,

ফুলছড়ির উদাখালি-উড়িয়া সংযোগ সেতুর বেহাল দশা: বিপাকে হাজারো মানুষ

  • প্রকাশিত ১০:২৭:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
  • ৯১ বার দেখা হয়েছে

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালি ইউনিয়নের দক্ষিণ কাঠের শেষ প্রান্তে অবস্থিত একমাত্র সংযোগ সেতুটি দীর্ঘদিন অবহেলিত ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বেহাল এ সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ২০ গ্রামের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। সেতুর রেলিং ভেঙে যাওয়া, নিচের অংশে ফাটল এবং পুরনো কাঠামোর ক্ষয়ে যাওয়া-সব মিলিয়ে এটি এখন মারাত্মক ঝুঁকির প্রতীক।
‎এ সেতুর পাশেই রয়েছে উড়িয়া ইউনিয়নের কাঁটাতারা নৌঘাট, যা চরাঞ্চলের মানুষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যকেন্দ্র। এখান থেকে প্রতিদিন বাজার-সদাই, কৃষিপণ্য বিক্রি এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক কাজের জন্য শত শত মানুষ পারাপার হয়। কিন্তু সেতুর বর্তমান অবস্থার কারণে অনেকেই এ পথ এড়িয়ে ১০-১২ কিলোমিটার ঘুরে শহরে হচ্ছেন। এতে করে চরাঞ্চলের কৃষক, খামারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় পণ্যে দাম বাড়ছে, আবার সরবরাহ কমে যাওয়ায় নৌঘাট এলাকাও একপ্রকার নিস্তেজ হয়ে পড়েছে।
‎এ বিষয়ে উদাখালি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান কাবিলা উদ্দিন বলেন,
‎ব্রীজটি অনেক পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। ভারী যানবাহন চলাচল নিষেধ করা হয়েছে। এ পথটিই চরাঞ্চলের মানুষের প্রধান সংযোগ। তাই এলাকার উন্নয়ন ও মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে সেতুটি দ্রুত সংস্কার বা নতুন করে নির্মাণ জরুরি।
‎তিনি স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের কাছে জরুরি ভিত্তিতে একটি নতুন সেতুর নির্মাণের দাবি জানান।
‎স্থানীয়রা জানান, বাণিজ্যের মূল কেন্দ্র কাঁটাতারা নৌঘাটের সঙ্গে সহজ যোগাযোগ না থাকায় পুরো এলাকাজুড়ে অর্থনৈতিক চাপ তৈরি হয়েছে। সময়মতো ফসল বা পশুপণ্য বাজারে নিতে না পারায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তারা আশা করছেন, দ্রুত সেতুটি সংস্কার করা হলে এলাকার বাণিজ্য পুনরুজ্জীবিত হবে ও মানুষের ভোগান্তি দূর হবে।
‎সরকারি উদ্যোগ না এলে যে কোনো মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে-এমন আশঙ্কা থেকেই স্থানীয়দের একটাই দাবি: উন্নয়নের স্বার্থে আধুনিক ও স্থায়ী একটি নতুন সেতু চাই।

Tag :

মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিশুকে অপহরণের পরে হত্যা, রায়ে আসামীর ফাঁসি:

মোঃ মাহমুদুল হাবিব রিপন,

ফুলছড়ির উদাখালি-উড়িয়া সংযোগ সেতুর বেহাল দশা: বিপাকে হাজারো মানুষ

প্রকাশিত ১০:২৭:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালি ইউনিয়নের দক্ষিণ কাঠের শেষ প্রান্তে অবস্থিত একমাত্র সংযোগ সেতুটি দীর্ঘদিন অবহেলিত ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বেহাল এ সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ২০ গ্রামের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। সেতুর রেলিং ভেঙে যাওয়া, নিচের অংশে ফাটল এবং পুরনো কাঠামোর ক্ষয়ে যাওয়া-সব মিলিয়ে এটি এখন মারাত্মক ঝুঁকির প্রতীক।
‎এ সেতুর পাশেই রয়েছে উড়িয়া ইউনিয়নের কাঁটাতারা নৌঘাট, যা চরাঞ্চলের মানুষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যকেন্দ্র। এখান থেকে প্রতিদিন বাজার-সদাই, কৃষিপণ্য বিক্রি এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক কাজের জন্য শত শত মানুষ পারাপার হয়। কিন্তু সেতুর বর্তমান অবস্থার কারণে অনেকেই এ পথ এড়িয়ে ১০-১২ কিলোমিটার ঘুরে শহরে হচ্ছেন। এতে করে চরাঞ্চলের কৃষক, খামারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় পণ্যে দাম বাড়ছে, আবার সরবরাহ কমে যাওয়ায় নৌঘাট এলাকাও একপ্রকার নিস্তেজ হয়ে পড়েছে।
‎এ বিষয়ে উদাখালি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান কাবিলা উদ্দিন বলেন,
‎ব্রীজটি অনেক পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। ভারী যানবাহন চলাচল নিষেধ করা হয়েছে। এ পথটিই চরাঞ্চলের মানুষের প্রধান সংযোগ। তাই এলাকার উন্নয়ন ও মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে সেতুটি দ্রুত সংস্কার বা নতুন করে নির্মাণ জরুরি।
‎তিনি স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের কাছে জরুরি ভিত্তিতে একটি নতুন সেতুর নির্মাণের দাবি জানান।
‎স্থানীয়রা জানান, বাণিজ্যের মূল কেন্দ্র কাঁটাতারা নৌঘাটের সঙ্গে সহজ যোগাযোগ না থাকায় পুরো এলাকাজুড়ে অর্থনৈতিক চাপ তৈরি হয়েছে। সময়মতো ফসল বা পশুপণ্য বাজারে নিতে না পারায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তারা আশা করছেন, দ্রুত সেতুটি সংস্কার করা হলে এলাকার বাণিজ্য পুনরুজ্জীবিত হবে ও মানুষের ভোগান্তি দূর হবে।
‎সরকারি উদ্যোগ না এলে যে কোনো মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে-এমন আশঙ্কা থেকেই স্থানীয়দের একটাই দাবি: উন্নয়নের স্বার্থে আধুনিক ও স্থায়ী একটি নতুন সেতু চাই।