০৭:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক:

স্বামীর নিষ্ঠুরতার শিকার, তবু ইতিহাসে বিস্মৃত! চার্লস ডিকেন্সের স্ত্রী ক্যাথরিনের না বলা গল্প

  • প্রকাশিত ১২:৩৪:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৩৩ বার দেখা হয়েছে

তিনি তার স্বামীকে দশটি সন্তান উপহার দিয়েছিলেন। নিজের হাতে তিন সন্তানকে কবর দিয়েছেন। স্বামীর জন্য সাগর পাড়ি দিয়েছেন, তার খ্যাতি ও সংগ্রামের সময়ে পাশে থেকেছেন। তবুও, চার্লস ডিকেন্সের স্ত্রী ক্যাথরিন হোগার্থকে ছুড়ে ফেলা হয়েছিল, দোষারোপ করা হয়েছিল এবং ইতিহাস তাকে প্রায় ভুলেই গিয়েছিল।

বিখ্যাত লেখক চার্লস ডিকেন্স তার স্ত্রীকে ‘মোটা, অলস, ঈর্ষান্বিত এবং নির্বোধ’ বলে অভিযুক্ত করেছিলেন। এমনকি তিনি একটি চিঠি প্রকাশ করে নিজেকে ‘নির্যাতিত’ স্বামী হিসেবে দেখিয়েছিলেন। পৃথিবী তাকেই করুণা করেছিল, ক্যাথরিনকে নয়।

কিন্তু আসল কারণ ছিল অন্য। ডিকেন্স এলেন টারনান নামের এক তরুণী অভিনেত্রীর প্রেমে পড়েছিলেন। সেই সময়ে ডিভোর্স সম্ভব ছিল না, তাই ক্যাথরিনকে বলির পাঁঠা বানানো হয়। ডিকেন্স এমনকি তাদের ঘরের ভেতরেই দেয়াল তুলে দিয়েছিলেন তাকে আলাদা রাখার জন্য! অবশেষে, ক্যাথরিন একদিন বাড়ি ছেড়ে চলে যান, হারিয়ে ফেলেন তার সন্তান, ঘর এবং সামাজিক সম্মান।

মৃত্যুর আগে তার একটাই ইচ্ছা ছিল—ডিকেন্সের লেখা পুরোনো প্রেমের চিঠিগুলো যেন প্রকাশ করা হয়, যাতে পৃথিবী জানতে পারে যে তিনিও একসময় ভালোবাসার পাত্রী ছিলেন। সেই ইচ্ছাও পূরণ হয়নি।

কিন্তু তার গল্প বেঁচে আছে। ক্যাথরিন ডিকেন্স কোনো বোঝা ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন সংগ্রামী, যিনি সব প্রতিকূলতা সহ্য করেছিলেন।

Tag :
জনপ্রিয়

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে অনশন ভঙ্গ ১৮ তম নিবন্ধন প্রত্যাশীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

স্বামীর নিষ্ঠুরতার শিকার, তবু ইতিহাসে বিস্মৃত! চার্লস ডিকেন্সের স্ত্রী ক্যাথরিনের না বলা গল্প

প্রকাশিত ১২:৩৪:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

তিনি তার স্বামীকে দশটি সন্তান উপহার দিয়েছিলেন। নিজের হাতে তিন সন্তানকে কবর দিয়েছেন। স্বামীর জন্য সাগর পাড়ি দিয়েছেন, তার খ্যাতি ও সংগ্রামের সময়ে পাশে থেকেছেন। তবুও, চার্লস ডিকেন্সের স্ত্রী ক্যাথরিন হোগার্থকে ছুড়ে ফেলা হয়েছিল, দোষারোপ করা হয়েছিল এবং ইতিহাস তাকে প্রায় ভুলেই গিয়েছিল।

বিখ্যাত লেখক চার্লস ডিকেন্স তার স্ত্রীকে ‘মোটা, অলস, ঈর্ষান্বিত এবং নির্বোধ’ বলে অভিযুক্ত করেছিলেন। এমনকি তিনি একটি চিঠি প্রকাশ করে নিজেকে ‘নির্যাতিত’ স্বামী হিসেবে দেখিয়েছিলেন। পৃথিবী তাকেই করুণা করেছিল, ক্যাথরিনকে নয়।

কিন্তু আসল কারণ ছিল অন্য। ডিকেন্স এলেন টারনান নামের এক তরুণী অভিনেত্রীর প্রেমে পড়েছিলেন। সেই সময়ে ডিভোর্স সম্ভব ছিল না, তাই ক্যাথরিনকে বলির পাঁঠা বানানো হয়। ডিকেন্স এমনকি তাদের ঘরের ভেতরেই দেয়াল তুলে দিয়েছিলেন তাকে আলাদা রাখার জন্য! অবশেষে, ক্যাথরিন একদিন বাড়ি ছেড়ে চলে যান, হারিয়ে ফেলেন তার সন্তান, ঘর এবং সামাজিক সম্মান।

মৃত্যুর আগে তার একটাই ইচ্ছা ছিল—ডিকেন্সের লেখা পুরোনো প্রেমের চিঠিগুলো যেন প্রকাশ করা হয়, যাতে পৃথিবী জানতে পারে যে তিনিও একসময় ভালোবাসার পাত্রী ছিলেন। সেই ইচ্ছাও পূরণ হয়নি।

কিন্তু তার গল্প বেঁচে আছে। ক্যাথরিন ডিকেন্স কোনো বোঝা ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন সংগ্রামী, যিনি সব প্রতিকূলতা সহ্য করেছিলেন।