বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় কাঠভিত্তিক অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে। টানা পাঁচ মাস ধরে ব্যক্তিমালিকানাধীন ফ্রি জোত পারমিটের গাছকাঠ পরিবহন ও বাজারজাত কার্যক্রম বন্ধ করে রেখেছে লামা বন বিভাগ। এর ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন হাজারো কাঠ শ্রমিক, বাগান মালিক ও ব্যবসায়ী।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বন বিভাগের অদক্ষতা ও নির্লিপ্ত মনোভাবের কারণেই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন,
“লামা থেকে বিভাগীয় বন কার্যালয় না হয় অদক্ষ নির্লিপ্ত বন কর্মকর্তাকে সরিয়ে নিন।” এই দাবিকে কেন্দ্র করে এলাকায় আন্দোলনের আভাস মিলছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আন্দোলন শুরু হলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে।
কাঠ পরিবহন বন্ধ কেন?
লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি—এই তিন উপজেলায় ফ্রি জোতের কাঠ পরিবহন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকলেও বান্দরবান জেলার অন্য দুটি বন বিভাগে প্রতিদিন ৩০-৪০ ট্রাক কাঠ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এটি সরকারের বিদ্যমান ট্রানজিট আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের শামিল।
শ্রমিকদের চরম দুর্দশা
জীবিকার প্রধান উৎস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শ্রমিকদের পরিবার এখন অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। বাগান মালিক ও কাঠ ব্যবসায়ীরা বন বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরে ধর্ণা দিয়েও কোনো সমাধান পাচ্ছেন না।
এক বাগান মালিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা পাহাড়ের মাটিকে শরীর আর গাছকে রক্তের ফসল মনে করি। অথচ বন কর্মকর্তারা আমাদের কষ্ট বোঝেন না। আজ আমরা বাঁচার লড়াই করছি।”
গণরোষের আশঙ্কা
কাঠ পরিবহন বন্ধ থাকায় স্থানীয় অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে। বাগান মালিক ও শ্রমিকরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। যেকোনো সময় গণরোষের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্লোগান উঠেছে, “অদক্ষ বন কর্মকর্তাকে সরিয়ে দিন।”
জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন
পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে লামায় আইনশৃঙ্খলার বড় ধরনের অবনতি ঘটতে পারে।
এ অবস্থায় স্থানীয়রা বান্দরবান বন কমিটি, জেলা প্রশাসক এবং নীতিনির্ধারকদের অবিলম্বে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।









