সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এবারে দুর্গাপূজায় কুমিল্লা জেলায় ৮১৮টি পূজা মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। পূজা মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তা জেলা পুলিশ ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। জেলা পুলিশ দুর্গাপূজা উপলক্ষে পূজার প্রস্তুতি সময়, পূজাকালীন সময়, প্রতিমা বিসর্জনের সময়কে তিন ভাগে ভাগ করে নিরাপত্তার ছক তৈরি করেছে।
মঙ্গলবার জেলা পুলিশের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাশেদুল হক চৌধুরী, পংকজ বড়ুয়াসহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তাগণ।
পুলিশ সুপার বলেন, পূজা মণ্ডপগুলোর গুরুত্ব বিবেচনা করে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭৬৫ মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন হবে। পূজা মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তায় ৯৫০ পুলিশ সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া ৯০টি মোবাইল টিম, গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপে ফিক্সড পুলিশ টিম, দুর্গম এলাকায় দ্রুত পৌঁছানোর জন্য মোটরসাইকেল টিম, ডিবি পুলিশের কুইক রেস্পন্স টিম ও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য পূজা মণ্ডপ ও আশপাশের এলাকা সাদা পোশাকে ডিএসবি পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
পুলিশ সুপার বলেন, পূজার ভেন্যু কেন্দ্রিক চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিং কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এছাড়াও যাতে কেউ গুজব ছড়িয়ে উস্কানি কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্যে সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিংসহ সাইবার স্পেসে পুলিশের নজরদারি থাকবে। এর আগে জেলা পুলিশ সুপার সহ পুলিশের কর্মকর্তাগণ জেলার পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে পূজা মণ্ডপের শৃঙ্খলার স্বার্থে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, সিসি ক্যামেরা স্থাপন, পূজা মণ্ডপে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিসর্জন কাজ শেষ করা, বিকল্প বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা রাখা, যেকোনো প্রয়োজনে জেলা পুলিশের সংশ্লিষ্ট নাম্বারে কিংবা ৯৯৯ এ কল করা সহ পূজারীদের নানান দিক নির্দেশনা দেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, এবার  পূজায় কোন ধরনের বিশৃঙ্খল কিংবা নাশকতার আশঙ্কা এ পর্যন্ত নেই। তিনি পুলিশী নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি অন্যান্য অংশীজনের প্রয়োজনীয় দায়িত্ব পালনের  মাধ্যমে এবারে শারদীয় দূর্গা উৎসব শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।