০৫:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
দাউদ ইব্রাহীম সোহেল :

সাইফুল্লাহ আরিফ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

  • প্রকাশিত ০৬:২৩:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৬৯ বার দেখা হয়েছে

ভোলায় নিহত ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল্লাহ আরিফের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে নিহত আরিফের বাবা জানান, গত ৩০ আগস্ট ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে বের হওয়ার সময় বাড়ির সামনে তার ছেলে সাইফুল্লাহ আরিফের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। কপাল ও হাতের কব্জি ভাঙা এবং কাটা অবস্থায় ছিল, পাশে পড়ে ছিল তার মোবাইল ফোন।

তিনি অভিযোগ করেন, ঘটনার পর ২ সেপ্টেম্বর পুলিশ অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা নিলেও সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করে আবার ছেড়ে দেয়। দুই সপ্তাহ পার হলেও এখনো মামলার এজাহার কপি ও পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট পরিবার হাতে পায়নি। অথচ ঘটনার ১৫ দিন পর পুলিশ ঘটনাটিকে দুর্ঘটনা বলে তদন্ত রিপোর্ট দিয়েছে, যা পরিবার প্রত্যাখ্যান করেছে।

আরিফের বাবা বলেন, ‘আমার ছেলে কখনো মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিল না, অথচ পুলিশ তাকে মাদকাসক্ত বলে আখ্যা দিয়েছে—আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। ঘটনার দিন আরিফ নিচতলার ঘর থেকে বের হয়েছিল, পুলিশ রিপোর্টে তিনতলার ঘরের কথা বলছে। এছাড়া বৃষ্টি পড়া অবস্থায় ছাদে পায়চারি করার গল্পও বাস্তবসম্মত নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি থাকা অবস্থায় কখনো কারো সঙ্গে খারাপ আচরণ করেনি। হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক রঙ না দিয়ে দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’

পরিবারের পক্ষ থেকে মামলাটি পুলিশের পরিবর্তে পিবিআই (PBI) বা সিআইডি (CID)-এর কাছে হস্তান্তরের দাবি জানানো হয়।

Tag :
জনপ্রিয়

গাঙচিলের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

দাউদ ইব্রাহীম সোহেল :

সাইফুল্লাহ আরিফ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত ০৬:২৩:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভোলায় নিহত ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল্লাহ আরিফের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে নিহত আরিফের বাবা জানান, গত ৩০ আগস্ট ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে বের হওয়ার সময় বাড়ির সামনে তার ছেলে সাইফুল্লাহ আরিফের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। কপাল ও হাতের কব্জি ভাঙা এবং কাটা অবস্থায় ছিল, পাশে পড়ে ছিল তার মোবাইল ফোন।

তিনি অভিযোগ করেন, ঘটনার পর ২ সেপ্টেম্বর পুলিশ অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা নিলেও সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করে আবার ছেড়ে দেয়। দুই সপ্তাহ পার হলেও এখনো মামলার এজাহার কপি ও পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট পরিবার হাতে পায়নি। অথচ ঘটনার ১৫ দিন পর পুলিশ ঘটনাটিকে দুর্ঘটনা বলে তদন্ত রিপোর্ট দিয়েছে, যা পরিবার প্রত্যাখ্যান করেছে।

আরিফের বাবা বলেন, ‘আমার ছেলে কখনো মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিল না, অথচ পুলিশ তাকে মাদকাসক্ত বলে আখ্যা দিয়েছে—আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। ঘটনার দিন আরিফ নিচতলার ঘর থেকে বের হয়েছিল, পুলিশ রিপোর্টে তিনতলার ঘরের কথা বলছে। এছাড়া বৃষ্টি পড়া অবস্থায় ছাদে পায়চারি করার গল্পও বাস্তবসম্মত নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি থাকা অবস্থায় কখনো কারো সঙ্গে খারাপ আচরণ করেনি। হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক রঙ না দিয়ে দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’

পরিবারের পক্ষ থেকে মামলাটি পুলিশের পরিবর্তে পিবিআই (PBI) বা সিআইডি (CID)-এর কাছে হস্তান্তরের দাবি জানানো হয়।