১০:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সাবিনা সোমা:

ডাকসু নির্বাচন ও কিছু কথা

  • প্রকাশিত ০৪:৫৯:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৩৫ বার দেখা হয়েছে

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ডাকসুর ভিপি হিসেবে নির্বাচিত হন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন থেকে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মাহবুবুর জামান। এরপরে নির্বাচন হয় ১৯৭৯, ৮০ আর ৮২ সালে।

১৯৯০ সালের পর ১৯৯১ সালের ১৮ জুন ডাকসু নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময় সহিংসতার কারণে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়।

১৯৯৪ ও ১৯৯৫ সালে উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু ছাত্রলীগের বিরোধিতার কারণে নির্বাচন হয়নি।
১৯৯৬ সালে অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী উপাচার্য হওয়ার পর একাধিকবার ডাকসু নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করেছিলেন, কিন্তু তা কখনও বাস্তবায়ন হয়নি।

১৯৯৮ সালে ডাকসু কমিটি ভেঙে দেওয়ার পর কর্তৃপক্ষ পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিল, কিন্তু সেটিও কখনও বাস্তবায়িত হয়নি। মাঝে মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছেন এবং সিনেটে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব হয়েছে। তবে তাতে কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি।

২০০৫ সালে ডাকসু নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করে, এই সময় ছাত্রদল ডাকসু নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করলেও ছাত্রলীগের প্রতিরোধের কারণে তাদের দাবি বাস্তবায়িত হয়নি। এরপর ২০১২ সালে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ, ধর্মঘট, কালো পতাকা মিছিল এবং ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে ডাকসু নির্বাচনের দাবি জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চ’ তৈরি করা হয় এবং লাগাতার আন্দোলনও চলে বেশ কিছুদিন। তবে নির্বাচনের দাবি উঠলেও সেটা খুব জোরালো হয়নি কখনও।

২০১৯ সালে হাইকোর্টের রায়ের পর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের কারণে নির্বাচনটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

এরপরে আজকে ছ’বছর পরে হচ্ছে ডাকসুর নির্বাচন। সবারই প্রত্যাশা, এবারের নির্বাচনে বিতর্ক কমই হবে। ভোটারদের উপস্থিতি একটা দারুণ উৎসবের আমেজ দিচ্ছে আজকের নির্বাচন অনুষ্ঠানে। ব্যাপারটা খুব স্বাভাবিক, কারণ ৫৪ বছরে মাত্রই ছ’বার হয়েছে ডাকসু নির্বাচন, তার উপর এখন দেশের পরিস্থিতি ভীষণ রকম অন্যরকম। নতুন ইতিহাস হবে আজকে ডাকসুর নির্বাচনে, নতুন নেতৃত্বের হাত ধরে, অনেকদিন পরে।

Tag :
জনপ্রিয়

কন্ঠের মুগ্ধতায় ও উপস্থাপনার নান্দনিকতায় আলোচিত এক নাম মাসুদ রানা …

সাবিনা সোমা:

ডাকসু নির্বাচন ও কিছু কথা

প্রকাশিত ০৪:৫৯:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ডাকসুর ভিপি হিসেবে নির্বাচিত হন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন থেকে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মাহবুবুর জামান। এরপরে নির্বাচন হয় ১৯৭৯, ৮০ আর ৮২ সালে।

১৯৯০ সালের পর ১৯৯১ সালের ১৮ জুন ডাকসু নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময় সহিংসতার কারণে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়।

১৯৯৪ ও ১৯৯৫ সালে উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু ছাত্রলীগের বিরোধিতার কারণে নির্বাচন হয়নি।
১৯৯৬ সালে অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী উপাচার্য হওয়ার পর একাধিকবার ডাকসু নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করেছিলেন, কিন্তু তা কখনও বাস্তবায়ন হয়নি।

১৯৯৮ সালে ডাকসু কমিটি ভেঙে দেওয়ার পর কর্তৃপক্ষ পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিল, কিন্তু সেটিও কখনও বাস্তবায়িত হয়নি। মাঝে মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছেন এবং সিনেটে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব হয়েছে। তবে তাতে কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি।

২০০৫ সালে ডাকসু নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করে, এই সময় ছাত্রদল ডাকসু নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করলেও ছাত্রলীগের প্রতিরোধের কারণে তাদের দাবি বাস্তবায়িত হয়নি। এরপর ২০১২ সালে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ, ধর্মঘট, কালো পতাকা মিছিল এবং ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে ডাকসু নির্বাচনের দাবি জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চ’ তৈরি করা হয় এবং লাগাতার আন্দোলনও চলে বেশ কিছুদিন। তবে নির্বাচনের দাবি উঠলেও সেটা খুব জোরালো হয়নি কখনও।

২০১৯ সালে হাইকোর্টের রায়ের পর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের কারণে নির্বাচনটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

এরপরে আজকে ছ’বছর পরে হচ্ছে ডাকসুর নির্বাচন। সবারই প্রত্যাশা, এবারের নির্বাচনে বিতর্ক কমই হবে। ভোটারদের উপস্থিতি একটা দারুণ উৎসবের আমেজ দিচ্ছে আজকের নির্বাচন অনুষ্ঠানে। ব্যাপারটা খুব স্বাভাবিক, কারণ ৫৪ বছরে মাত্রই ছ’বার হয়েছে ডাকসু নির্বাচন, তার উপর এখন দেশের পরিস্থিতি ভীষণ রকম অন্যরকম। নতুন ইতিহাস হবে আজকে ডাকসুর নির্বাচনে, নতুন নেতৃত্বের হাত ধরে, অনেকদিন পরে।