১২:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক:

শিল্পকলায় কালজয়ী সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন-এর একক সংগীতানুষ্ঠান ও সম্মাননা প্রদান আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

  • প্রকাশিত ১০:২৭:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১১ বার দেখা হয়েছে

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, রবিবার সন্ধ্যা ৭টায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে কালজয়ী সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন-কে সম্মাননা প্রদান এবং শিল্পীর একক সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। শিল্পীকে সম্মাননা প্রদান করবেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মফিদুর রহমান।

‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’ শিরোনামে অনুষ্ঠানে সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিটে দ্বিতীয় পর্বে থাকবে সাবিনা ইয়াসমিন এর জীবনভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, দেশবরেণ্য শিল্পীদের স্মৃতিচারণ, নবীন জনপ্রিয় শিল্পী ও সংগীত পরিচালকদের কম্পোজিশনে সাবিনা ইয়াসমিনের গান এবং শিল্পীর একক সংগীতানুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে পরিবেশন করবেন তাঁর বিখ্যাত ও জনপ্রিয় গানগুলো। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় থাকবেন বিশিষ্ট অভিনেতা আফজাল হোসেন।

বাংলা গানের গৌরব কোকিলকণ্ঠী খ্যাত বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন ১৯৫৪ সালের ৪ঠা সেপ্টেম্বর এক সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। সাবিনা ইয়াসমিন-এর সংগীতের হাতেখড়ি তার মায়ের কাছে। মাত্র ৬ বছর বয়সে সাবিনা ইয়াসমিন ‘অল পাকিস্তান স্কুল মিউজিক কম্পিটিশানে’ গান গেয়ে প্রথম পুরস্কারটি জিতে নেন। এরপর একে একে বিভিন্ন ছায়াছবিতে শিশু শিল্পী হিসেবে কণ্ঠ দেন। সাবিনা ইয়াসমিন এ পর্যন্ত ষোল হাজারের মত গান রেকর্ড করেছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই ছায়াছবির গান। এ ছাড়াও রয়েছে আধুনিক বাংলা গান, পল্লীগীতি, রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল সংগীত ও গজলসহ বিভিন্ন ধরনের গান। তিনি বেতার ও টেলিভিশনের নিয়মিত শিল্পী। তার গাওয়া বিভিন্ন দেশের গানও রয়েছে। এছাড়াও তিনি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেছেন।

১৯৮৩ সালে তাঁকে ভারতের বিশ্ব উন্নয়ন সংসদ ‘সংসদ রত্ন’ উপাধিতে ভূষিত করে এবং ১৯৮৫ সালে তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। তিনি বাংলাদেশে সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘একুশে পদক’ (১৯৮৪) এবং স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৯৬) লাভ করেন। বাংলাদেশে তিনিই একমাত্র শিল্পী যিনি শ্রেষ্ঠ সংগীত শিল্পী হিসাবে ১৫ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। এছাড়াও দেশে-বিদেশে আরও অনেক পুরস্কার অর্জন করেন।

Tag :
জনপ্রিয়

জয়পুরহাটের চিত্র শিল্পী মাহবুব ও মারুফের বিরুদ্ধে মায়ের সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

শিল্পকলায় কালজয়ী সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন-এর একক সংগীতানুষ্ঠান ও সম্মাননা প্রদান আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রকাশিত ১০:২৭:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, রবিবার সন্ধ্যা ৭টায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে কালজয়ী সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন-কে সম্মাননা প্রদান এবং শিল্পীর একক সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। শিল্পীকে সম্মাননা প্রদান করবেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মফিদুর রহমান।

‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’ শিরোনামে অনুষ্ঠানে সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিটে দ্বিতীয় পর্বে থাকবে সাবিনা ইয়াসমিন এর জীবনভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, দেশবরেণ্য শিল্পীদের স্মৃতিচারণ, নবীন জনপ্রিয় শিল্পী ও সংগীত পরিচালকদের কম্পোজিশনে সাবিনা ইয়াসমিনের গান এবং শিল্পীর একক সংগীতানুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে পরিবেশন করবেন তাঁর বিখ্যাত ও জনপ্রিয় গানগুলো। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় থাকবেন বিশিষ্ট অভিনেতা আফজাল হোসেন।

বাংলা গানের গৌরব কোকিলকণ্ঠী খ্যাত বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন ১৯৫৪ সালের ৪ঠা সেপ্টেম্বর এক সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। সাবিনা ইয়াসমিন-এর সংগীতের হাতেখড়ি তার মায়ের কাছে। মাত্র ৬ বছর বয়সে সাবিনা ইয়াসমিন ‘অল পাকিস্তান স্কুল মিউজিক কম্পিটিশানে’ গান গেয়ে প্রথম পুরস্কারটি জিতে নেন। এরপর একে একে বিভিন্ন ছায়াছবিতে শিশু শিল্পী হিসেবে কণ্ঠ দেন। সাবিনা ইয়াসমিন এ পর্যন্ত ষোল হাজারের মত গান রেকর্ড করেছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই ছায়াছবির গান। এ ছাড়াও রয়েছে আধুনিক বাংলা গান, পল্লীগীতি, রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল সংগীত ও গজলসহ বিভিন্ন ধরনের গান। তিনি বেতার ও টেলিভিশনের নিয়মিত শিল্পী। তার গাওয়া বিভিন্ন দেশের গানও রয়েছে। এছাড়াও তিনি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেছেন।

১৯৮৩ সালে তাঁকে ভারতের বিশ্ব উন্নয়ন সংসদ ‘সংসদ রত্ন’ উপাধিতে ভূষিত করে এবং ১৯৮৫ সালে তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। তিনি বাংলাদেশে সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘একুশে পদক’ (১৯৮৪) এবং স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৯৬) লাভ করেন। বাংলাদেশে তিনিই একমাত্র শিল্পী যিনি শ্রেষ্ঠ সংগীত শিল্পী হিসাবে ১৫ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। এছাড়াও দেশে-বিদেশে আরও অনেক পুরস্কার অর্জন করেন।