০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক:

বরেণ্য বুদ্ধিজীবী যতীন সরকারের প্রয়াণ

  • প্রকাশিত ০৮:০৬:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫
  • ১০৬ বার দেখা হয়েছে

প্রগতিশীল বাম ধারার বুদ্ধিজীবী, স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক,শিক্ষাবিদ অধ্যাপক যতীন সরকার আর নেই।তিনি  (১৩ আগস্ট) বুধবার আনুমানিক বিকাল পৌনে তিনটায় দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যুবরণ করেন।

যতীন সরকার বেশ কয়েক মাস ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। এ ছাড়া তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলি আর্থ্রাইটিসে ভুগছিলেন। জুন মাসে বেশ কিছু কারণে তার শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর ময়মনসিংহে তার মেয়ের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সম্প্রতি তাকে ময়মনসিংহে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ হরি কিশোর  রায় রোডের জেলা উদীচী কার্যালয়ে বিকেল ৪টায় সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আনা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সন্ধ্যা ছয়টা চল্লিশে নিজ জেলা নেত্রকোণায় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ১১ টায় নেত্রকোনা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।

যতীন সরকার ১৯৩৬ সালের ১৮ আগস্ট নেত্রকোনার কেন্দুয়ার চন্দপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজের বাংলা বিভাগের সাবেক এই শিক্ষক সুদীর্ঘকাল ধরে মননশীল সাহিত্যচর্চা, বাম রাজনীতি এবং প্রগতিশীল আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। তিনি দুই মেয়াদে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
লেখক হিসেবে যতীন সরকার ২০১০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার, ২০০৭ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পদক, ২০০৫ সালে ‘পাকিস্তানের জন্ম-মৃত্যু দর্শন’ গ্রন্থের জন্য প্রথম আলো বর্ষসেরা গ্রন্থপুরস্কার, ড. এনামুল হক স্বর্ণপদক, খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার, মনিরুদ্দীন ইউসুফ সাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেন।
৪২ বছরের বেশি সময় শিক্ষকতা পেশায় থেকে ২০০২ সালে অবসর গ্রহণের পর যতীন সরকার স্ত্রী কানন সরকারকে নিয়ে শিকড়ের টানে চলে যান নিজ জেলা নেত্রকোনায়। সেখানে শহরের সাতপাই এলাকার নিজ বাড়িতেই থাকতেন।

Tag :
জনপ্রিয়

অধ্যাপক যতীন সরকার-এর মৃত্যুতে যুব ইউনিয়নের শোক

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বরেণ্য বুদ্ধিজীবী যতীন সরকারের প্রয়াণ

প্রকাশিত ০৮:০৬:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

প্রগতিশীল বাম ধারার বুদ্ধিজীবী, স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক,শিক্ষাবিদ অধ্যাপক যতীন সরকার আর নেই।তিনি  (১৩ আগস্ট) বুধবার আনুমানিক বিকাল পৌনে তিনটায় দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যুবরণ করেন।

যতীন সরকার বেশ কয়েক মাস ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। এ ছাড়া তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলি আর্থ্রাইটিসে ভুগছিলেন। জুন মাসে বেশ কিছু কারণে তার শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর ময়মনসিংহে তার মেয়ের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সম্প্রতি তাকে ময়মনসিংহে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ হরি কিশোর  রায় রোডের জেলা উদীচী কার্যালয়ে বিকেল ৪টায় সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আনা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সন্ধ্যা ছয়টা চল্লিশে নিজ জেলা নেত্রকোণায় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ১১ টায় নেত্রকোনা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।

যতীন সরকার ১৯৩৬ সালের ১৮ আগস্ট নেত্রকোনার কেন্দুয়ার চন্দপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজের বাংলা বিভাগের সাবেক এই শিক্ষক সুদীর্ঘকাল ধরে মননশীল সাহিত্যচর্চা, বাম রাজনীতি এবং প্রগতিশীল আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। তিনি দুই মেয়াদে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
লেখক হিসেবে যতীন সরকার ২০১০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার, ২০০৭ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পদক, ২০০৫ সালে ‘পাকিস্তানের জন্ম-মৃত্যু দর্শন’ গ্রন্থের জন্য প্রথম আলো বর্ষসেরা গ্রন্থপুরস্কার, ড. এনামুল হক স্বর্ণপদক, খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার, মনিরুদ্দীন ইউসুফ সাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেন।
৪২ বছরের বেশি সময় শিক্ষকতা পেশায় থেকে ২০০২ সালে অবসর গ্রহণের পর যতীন সরকার স্ত্রী কানন সরকারকে নিয়ে শিকড়ের টানে চলে যান নিজ জেলা নেত্রকোনায়। সেখানে শহরের সাতপাই এলাকার নিজ বাড়িতেই থাকতেন।