১২:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
কুমিল্লা প্রতিনিধি :

কুমিল্লায় অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলন

  • প্রকাশিত ০২:২০:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫
  • ১১ বার দেখা হয়েছে

কুমিল্লায় অপপ্রচার এবং ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিএনপি নেতা ইসতিয়াক সরকার বিপুকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। রবিবার সকালে কুমিল্লা প্রেস ক্লাবে কুমিল্লায় কর্মরত সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এই অভিযোগটি তুলে ধরেন ইসতিয়াক সরকার বিপুর বড় ভাই এবং ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইমতিয়াজ সরকার নিপু।
সংবাদ সম্মেলনের ইমতিয়াজ সরকার নিপু বলেন, আমার ভাই ১৯৮৯ সাল থেকে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। বিগত দিনে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন ও আওয়ামী বিরোধী বিভিন্ন আন্দোলনে বিপুর ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। হয়েছেন মামলা হামলার স্বীকার, করেছেন কারা বরণ।
৫ আগস্টের পরে বিপু কুমিল্লা মহানগর বিএনপির ৫ নং ওয়ার্ড আহ্বায়ক নির্বাচিত হয় এবং কাউন্সিলর নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর পর থেকেই শুরু হয় তাঁর বিরুদ্ধে নানামুখি ষড়যন্ত্র। এরই ধারাবাহিকতায় কিছু কুচক্রীমহল এবং কতিপয় ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের পতিত নেতাদের যোগসাজশে ৫ আগস্ট সংগঠিত হওয়া আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ হত্যা মামলায় জড়ানোর জোড় প্রচেষ্টা চলছে বলে জানতে পেরেছি।যদিও ৫ আগস্টের এই হত্যাকাণ্ডের সময় বিপু কোতয়ালী থানা রক্ষায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কোতয়ালী থানায় উপস্থিত ছিলেন যার সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল।
৫ আগস্ট দুপুরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের পতনের পর নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পূবালী চত্বরে সমবেত হয়েছিলেন বিপু। সেসময় পুলিশ সদস্যদের ফোন আসে বিপুর কাছে। কোতয়ালী থানায় হামলা হতে পারে এমন আশংকা প্রকাশ করতেই বিপু নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে থানা রক্ষায় সেখানে পৌঁছায়। সেসময় কোতয়ালী থানায় আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার ও সাবেক কাউন্সিলর গোলাম কিবরিয়াসহ মহানগর ও ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও ছাত্র জনতা ।
৫নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি ও ইসতিয়াক সরকার বিপু’র বড়ভাই ইমতিয়াজ সরকার নিপু আরো জানান যে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে বিপুর নামটি জড়ায় সেও আইনজীবী হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি নয়। পরবর্তীতে অন্য মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হলে তাকে এবং তার পরিবারকে বুঝানো হয় তার গ্রেফতারের সাথে বিপুর সম্পর্ক রয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে বিপুকে জড়িয়ে বক্তব্য দেয়। ওই ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে বিপু তাকে গ্রেপ্তার করিয়ে দিয়েছে বলেও বক্তব্য দেয়। শুধু তাই নয় এই মামলায় ৫নং ওয়ার্ডের আরো কয়েকজন নিরপরাধ মানুষকে জড়ানোর চেষ্টা চূড়ান্ত করা হয়েছে । পরবর্তীতে এই ষড়যন্ত্র আরো শক্তিশালী করতে আরও আইনী জটিলতা তৈরি করা হচ্ছে বলেও আমরা জানতে পেরেছি। আমরা এই কুচক্র, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য যে, গত কিছুদিন যাবত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যাতে দেখা যায় “ফেইস দ্যা পিউপল”এর জনপ্রিয় সাংবাদিক সাইফুর রহমান সাগর এই হত্যা মামলার বাদীকে প্রশ্ন করেন ইসতিয়াক সরকার বিপু নামে কাউকে চিনেন কিনা! এবং বাদী সঙ্গে সঙ্গেই উত্তর দেন “না আমি ওই নামের কাউকে চিনি না তদুপরি নামটি আমি এই প্রথম আপনার মুখেই শুনলাম”।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কবির হোসেন, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা এস আলম,১১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. জহিরুল হক, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল আলম তিতাস,সহ-সভাপতি কামরুল আহসান মামুন, ৫নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ফখরুল আলম উল্লাসসহ অন্যান্যরা।

Tag :
জনপ্রিয়

সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ

কুমিল্লা প্রতিনিধি :

কুমিল্লায় অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত ০২:২০:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫

কুমিল্লায় অপপ্রচার এবং ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিএনপি নেতা ইসতিয়াক সরকার বিপুকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। রবিবার সকালে কুমিল্লা প্রেস ক্লাবে কুমিল্লায় কর্মরত সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এই অভিযোগটি তুলে ধরেন ইসতিয়াক সরকার বিপুর বড় ভাই এবং ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইমতিয়াজ সরকার নিপু।
সংবাদ সম্মেলনের ইমতিয়াজ সরকার নিপু বলেন, আমার ভাই ১৯৮৯ সাল থেকে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। বিগত দিনে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন ও আওয়ামী বিরোধী বিভিন্ন আন্দোলনে বিপুর ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। হয়েছেন মামলা হামলার স্বীকার, করেছেন কারা বরণ।
৫ আগস্টের পরে বিপু কুমিল্লা মহানগর বিএনপির ৫ নং ওয়ার্ড আহ্বায়ক নির্বাচিত হয় এবং কাউন্সিলর নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর পর থেকেই শুরু হয় তাঁর বিরুদ্ধে নানামুখি ষড়যন্ত্র। এরই ধারাবাহিকতায় কিছু কুচক্রীমহল এবং কতিপয় ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের পতিত নেতাদের যোগসাজশে ৫ আগস্ট সংগঠিত হওয়া আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ হত্যা মামলায় জড়ানোর জোড় প্রচেষ্টা চলছে বলে জানতে পেরেছি।যদিও ৫ আগস্টের এই হত্যাকাণ্ডের সময় বিপু কোতয়ালী থানা রক্ষায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কোতয়ালী থানায় উপস্থিত ছিলেন যার সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল।
৫ আগস্ট দুপুরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের পতনের পর নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পূবালী চত্বরে সমবেত হয়েছিলেন বিপু। সেসময় পুলিশ সদস্যদের ফোন আসে বিপুর কাছে। কোতয়ালী থানায় হামলা হতে পারে এমন আশংকা প্রকাশ করতেই বিপু নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে থানা রক্ষায় সেখানে পৌঁছায়। সেসময় কোতয়ালী থানায় আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার ও সাবেক কাউন্সিলর গোলাম কিবরিয়াসহ মহানগর ও ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও ছাত্র জনতা ।
৫নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি ও ইসতিয়াক সরকার বিপু’র বড়ভাই ইমতিয়াজ সরকার নিপু আরো জানান যে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে বিপুর নামটি জড়ায় সেও আইনজীবী হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি নয়। পরবর্তীতে অন্য মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হলে তাকে এবং তার পরিবারকে বুঝানো হয় তার গ্রেফতারের সাথে বিপুর সম্পর্ক রয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে বিপুকে জড়িয়ে বক্তব্য দেয়। ওই ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে বিপু তাকে গ্রেপ্তার করিয়ে দিয়েছে বলেও বক্তব্য দেয়। শুধু তাই নয় এই মামলায় ৫নং ওয়ার্ডের আরো কয়েকজন নিরপরাধ মানুষকে জড়ানোর চেষ্টা চূড়ান্ত করা হয়েছে । পরবর্তীতে এই ষড়যন্ত্র আরো শক্তিশালী করতে আরও আইনী জটিলতা তৈরি করা হচ্ছে বলেও আমরা জানতে পেরেছি। আমরা এই কুচক্র, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য যে, গত কিছুদিন যাবত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যাতে দেখা যায় “ফেইস দ্যা পিউপল”এর জনপ্রিয় সাংবাদিক সাইফুর রহমান সাগর এই হত্যা মামলার বাদীকে প্রশ্ন করেন ইসতিয়াক সরকার বিপু নামে কাউকে চিনেন কিনা! এবং বাদী সঙ্গে সঙ্গেই উত্তর দেন “না আমি ওই নামের কাউকে চিনি না তদুপরি নামটি আমি এই প্রথম আপনার মুখেই শুনলাম”।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কবির হোসেন, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা এস আলম,১১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. জহিরুল হক, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল আলম তিতাস,সহ-সভাপতি কামরুল আহসান মামুন, ৫নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ফখরুল আলম উল্লাসসহ অন্যান্যরা।