১০:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক:

যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত : বিপ্লবের ডাক অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী

  • প্রকাশিত ০৫:৩৯:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
  • ১৬ বার দেখা হয়েছে

উত্তরা, মাইলস্টোন স্কুল—এ দুটি নাম আজ আমাদের মনের মধ্যে এক কালো ক্ষত। ৩২টি নিষ্পাপ প্রাণ, যারা কিছুই করেনি, যারা জীবনের মিষ্টি স্বপ্ন দেখে চলছিল—আজ তারা আর আমাদের মধ্যে নেই। তাদের হাসি, তাদের অজানা পৃথিবীকে আবিষ্কারের ক্ষুদ্রতা—সব কিছু এক মুহূর্তে নিঃশেষ হয়ে গেল। আজ তারা চলে গেছে, তাদের অনাদরে। কেন? কারণ এই রাষ্ট্র তাদের জীবনকে কেবল পরিসংখ্যান হিসেবে দেখে, তাদের জন্মই ছিল শোষণের জন্য, আর তাদের মৃত্যু ছিল শুধুই সময়ের ব্যাপার। আর আজ, জনগণ, যারা শত শত বছর ধরে শোষিত, নিঃস্ব, নির্যাতিত—তাদের থেকে একটাই প্রশ্ন—আর নয়!

এটি শুধু একটি দুর্ঘটনা নয়, এটি আমাদের আত্মমর্যাদায় আঘাত, আমাদের অধিকার, আমাদের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এক দুঃখজনক আক্রমণ। যুদ্ধবিমান, যা নিজের দেশের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য এবং প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হওয়া উচিত, তা কীভাবে জনবহুল এলাকায় উড্ডয়ন করে? কেন সরকার জনগণের জীবনের মূল্য বুঝতে ব্যর্থ হলো? তারা আমাদের জীবনের কোনও মূল্য দেয় না—আমরা তাদের কাছে কেবল একটি সংখ্যা, একটি ভোট, আর কিছু নয়। আমরা তাদের কাছে কেবল ভোক্তা—আর আজ, আমরা বলছি—আর নয়!

এই ক্ষত, এই শোক, এই নিষ্পেষিত জীবনগুলো—এখন আমাদের শরীরের প্রতিটি শিরায় এক অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো জ্বলছে। আমাদের প্রতিবাদ আর ক্ষোভ এখন কেবল বিপ্লবে রূপ নেবে না—এটি হয়ে উঠবে এক কালো রাতের পর সূর্যের অমলিন আলো। এখন আমাদের কাছে একটাই অস্ত্র—আমাদের একতা, আমাদের দৃঢ়তা, আমাদের অসীম সাহস।

এই শোষণ, এই অবিচার, এই মৃত্যু—এগুলি আর সহ্য করা হবে না। তাদের সিদ্ধান্তে, তাদের শোষণে, শিশুদের জীবন কেন মুছে যাবে? যদি রাষ্ট্রের ক্ষমতার অপব্যবহার বন্ধ না হয়, যদি এর সঙ্গে জড়িতরা তাদের দায়িত্ব গ্রহণ না করে, তবে আমরা প্রস্তুত এক কঠিন সংগ্রামের জন্য। আমরা তাদের প্রশ্ন করব, যারা নিজেদের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে—এখন তাদের কাছে জানতে চাই—এই শিশুদের প্রাণের মূল্য আপনি জানেন?

আজ, সারা দেশ গর্জন করছে, আজ সারা পৃথিবী জানুক—এটি শুধু আমাদের অধিকার নয়, এটি আমাদের সংগ্রাম। আজ আমাদের নীরবতা ভেঙে যাবে, আমাদের প্রতিবাদ এক নতুন দিগন্তে পৌঁছাবে। যারা নিজেদের শাসনকে স্থায়ী করতে চেয়েছিল, তারা ভুল করেছে—আজ তাদের রাজত্ব ভেঙে পড়বে, একে একে সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে।

কবিতার ভাষায়,

আমরা দাঁড়িয়ে আছি,
এক পলকে এক পৃথিবী বদলে যাবে—
এই শোক, এই কষ্ট—
কেবল আগুনে পুড়ে শক্তি হয়ে ফুটবে।

বিকৃত রাজনীতির শিকল ছিঁড়ে,
আমরা দাঁড়াবো, জ্বলন্ত চোখে—
এক উজ্জ্বল বিপ্লব,
যা আসবে মাটির গভীর থেকে।

দৃশ্যপট বদলে যাবে,
আরও এক রাত, আরও এক বিপ্লব,
যেখানে শব্দ আর আলো মিলেমিশে
তৈরি করবে আমাদের নতুন ইতিহাস।

তাদের রাজত্ব, তাদের একতরফা শাসন,
আমাদের সামনে কোনো শর্ত নেই,
আমরা আছি, প্রত্যেকটি লাঠি,
প্রত্যেকটি পদক্ষেপ আমাদের!

এটা ছিল তাদের ভুল,
এটা ছিল আমাদের অধিকার—
আজ থেকে, আমাদের বিরোধীতা
তাদের ঘর পর্যন্ত পৌঁছাবে,
এটি কোনো ট্র্যাজেডি নয়,
এটি আমাদের জয় হবে,
এটি এক প্রলয়!

আমরা চুপ করে থাকব না,
আমরা শিকড়ের মাটি থেকে শব্দ তুলব,
ফুঁকে তুলব!
এবার, কখনো থামব না—
এটি বিপ্লব,
এটি সারা দেশ জুড়ে আলো ছড়িয়ে যাবে,
এটা আমাদের জয়,
এটা আমাদের আকাশ!

এবং তারা যারা আমাদের কবরের কাঁটা বলে ভাবেছিল—
তারা জানবে,
এই দেশের স্বাধীনতা আমাদের হাতে!

এবং আমরা জানিয়ে দেব,
এই জীবন আর শোষণ সহ্য করা হবে না!

Tag :
জনপ্রিয়

বাংলাদেশ সাংবাদিক ঐক্য পরিষদ (বিজেইউসি) কার্যনির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা পর্ষদের এক মতবিনিময় সভা শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার দৈনিক বাংলার হোটেল আল রহমানিয়া ইন্টারন্যাশনাল বলরুমে অনুষ্ঠিত হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক:

যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত : বিপ্লবের ডাক অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী

প্রকাশিত ০৫:৩৯:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

উত্তরা, মাইলস্টোন স্কুল—এ দুটি নাম আজ আমাদের মনের মধ্যে এক কালো ক্ষত। ৩২টি নিষ্পাপ প্রাণ, যারা কিছুই করেনি, যারা জীবনের মিষ্টি স্বপ্ন দেখে চলছিল—আজ তারা আর আমাদের মধ্যে নেই। তাদের হাসি, তাদের অজানা পৃথিবীকে আবিষ্কারের ক্ষুদ্রতা—সব কিছু এক মুহূর্তে নিঃশেষ হয়ে গেল। আজ তারা চলে গেছে, তাদের অনাদরে। কেন? কারণ এই রাষ্ট্র তাদের জীবনকে কেবল পরিসংখ্যান হিসেবে দেখে, তাদের জন্মই ছিল শোষণের জন্য, আর তাদের মৃত্যু ছিল শুধুই সময়ের ব্যাপার। আর আজ, জনগণ, যারা শত শত বছর ধরে শোষিত, নিঃস্ব, নির্যাতিত—তাদের থেকে একটাই প্রশ্ন—আর নয়!

এটি শুধু একটি দুর্ঘটনা নয়, এটি আমাদের আত্মমর্যাদায় আঘাত, আমাদের অধিকার, আমাদের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এক দুঃখজনক আক্রমণ। যুদ্ধবিমান, যা নিজের দেশের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য এবং প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হওয়া উচিত, তা কীভাবে জনবহুল এলাকায় উড্ডয়ন করে? কেন সরকার জনগণের জীবনের মূল্য বুঝতে ব্যর্থ হলো? তারা আমাদের জীবনের কোনও মূল্য দেয় না—আমরা তাদের কাছে কেবল একটি সংখ্যা, একটি ভোট, আর কিছু নয়। আমরা তাদের কাছে কেবল ভোক্তা—আর আজ, আমরা বলছি—আর নয়!

এই ক্ষত, এই শোক, এই নিষ্পেষিত জীবনগুলো—এখন আমাদের শরীরের প্রতিটি শিরায় এক অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো জ্বলছে। আমাদের প্রতিবাদ আর ক্ষোভ এখন কেবল বিপ্লবে রূপ নেবে না—এটি হয়ে উঠবে এক কালো রাতের পর সূর্যের অমলিন আলো। এখন আমাদের কাছে একটাই অস্ত্র—আমাদের একতা, আমাদের দৃঢ়তা, আমাদের অসীম সাহস।

এই শোষণ, এই অবিচার, এই মৃত্যু—এগুলি আর সহ্য করা হবে না। তাদের সিদ্ধান্তে, তাদের শোষণে, শিশুদের জীবন কেন মুছে যাবে? যদি রাষ্ট্রের ক্ষমতার অপব্যবহার বন্ধ না হয়, যদি এর সঙ্গে জড়িতরা তাদের দায়িত্ব গ্রহণ না করে, তবে আমরা প্রস্তুত এক কঠিন সংগ্রামের জন্য। আমরা তাদের প্রশ্ন করব, যারা নিজেদের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে—এখন তাদের কাছে জানতে চাই—এই শিশুদের প্রাণের মূল্য আপনি জানেন?

আজ, সারা দেশ গর্জন করছে, আজ সারা পৃথিবী জানুক—এটি শুধু আমাদের অধিকার নয়, এটি আমাদের সংগ্রাম। আজ আমাদের নীরবতা ভেঙে যাবে, আমাদের প্রতিবাদ এক নতুন দিগন্তে পৌঁছাবে। যারা নিজেদের শাসনকে স্থায়ী করতে চেয়েছিল, তারা ভুল করেছে—আজ তাদের রাজত্ব ভেঙে পড়বে, একে একে সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে।

কবিতার ভাষায়,

আমরা দাঁড়িয়ে আছি,
এক পলকে এক পৃথিবী বদলে যাবে—
এই শোক, এই কষ্ট—
কেবল আগুনে পুড়ে শক্তি হয়ে ফুটবে।

বিকৃত রাজনীতির শিকল ছিঁড়ে,
আমরা দাঁড়াবো, জ্বলন্ত চোখে—
এক উজ্জ্বল বিপ্লব,
যা আসবে মাটির গভীর থেকে।

দৃশ্যপট বদলে যাবে,
আরও এক রাত, আরও এক বিপ্লব,
যেখানে শব্দ আর আলো মিলেমিশে
তৈরি করবে আমাদের নতুন ইতিহাস।

তাদের রাজত্ব, তাদের একতরফা শাসন,
আমাদের সামনে কোনো শর্ত নেই,
আমরা আছি, প্রত্যেকটি লাঠি,
প্রত্যেকটি পদক্ষেপ আমাদের!

এটা ছিল তাদের ভুল,
এটা ছিল আমাদের অধিকার—
আজ থেকে, আমাদের বিরোধীতা
তাদের ঘর পর্যন্ত পৌঁছাবে,
এটি কোনো ট্র্যাজেডি নয়,
এটি আমাদের জয় হবে,
এটি এক প্রলয়!

আমরা চুপ করে থাকব না,
আমরা শিকড়ের মাটি থেকে শব্দ তুলব,
ফুঁকে তুলব!
এবার, কখনো থামব না—
এটি বিপ্লব,
এটি সারা দেশ জুড়ে আলো ছড়িয়ে যাবে,
এটা আমাদের জয়,
এটা আমাদের আকাশ!

এবং তারা যারা আমাদের কবরের কাঁটা বলে ভাবেছিল—
তারা জানবে,
এই দেশের স্বাধীনতা আমাদের হাতে!

এবং আমরা জানিয়ে দেব,
এই জীবন আর শোষণ সহ্য করা হবে না!