০৪:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক:

এলজিইডির ভিতর-বাহির দুদকের মামলায় ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি পিডি রফিকুল হাসান বহাল তবিয়তে * ভুয়া রোড আইডি দিয়ে তিন’শ কোটি টাকা লোপাট *মহারাজের দোসর মাহমুদুল ইসলাম ধরাছোঁয়ার বাইরে *রফিকুল হাসানের নতুন ক্যাশিয়ার মাহমুদুল হক

  • প্রকাশিত ০১:২৩:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
  • ১২৬ বার দেখা হয়েছে

দীর্ঘ বিরতির পর এলজিইডির অনিয়ম- দুর্নীতি ও উন্নয়ন কাজের ভাল দিকগুলো পাঠক সম্মুখের তুলে ধরার জন্য নিয়মিত ধারাবাহিক প্রতিবেদন ‘ এলজিইডির ভিতর – বাহির শীরনামে অনুসন্ধানি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এলজিইডি সহ অন্যান্য সরকারি সংস্থার অনিয়ম – দুর্নীতি ও ভাল কাজের উপর প্রতিবেদন তৈরির জন্য জাতীয় দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রার একঝাঁক অনুসন্ধানি প্রতিবেদক মাঠে কাজ করছে। আজকের পর্বে এলজিইডির পিডি রফিকুল হাসানের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন।
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ উন্নয়ন সংস্থা এলজিইডি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের সাথে সাথে পানি ব্যাবস্থাপনা ও নগরায়নের উপর কাজ করে এলজিইডি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়,কৃষি মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করছে এই সংস্থাটি।
এলজিইডির শ’দেড়েক প্রকল্পের মধ্যে একটি প্রকল্পের নাম আমফান। এই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক রফিকুল হাসান। তার অনিয়ম ও দুর্নীতি লিখে শেষ করা কঠিন। পতিত আওয়ামী লীগের দোসর মহিউদ্দিন মহারাজের একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন পিডি রফিকুল হাসান। গত ৫ আগস্ট ফেসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নড়েচড়ে বসে দুদক। তদন্তে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই তথ্যে জানা যায় এলজিইডির বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ না করে প্রায় ১৬’শ কোটি টাকা লোপাট করেছে মহারাজ। আমফান,স্টিল ব্রীজ,আই আর আই ডিপি,হাট বাজার উন্নয়ন প্রকল্প, নন মিউনিসিপ্যাল,বরিশাল, পিরোজপুর, পটুয়াখালীর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প সহ যে সব প্রকল্পে পিরোজপুর রিলেটেড আছে সকল প্রকল্পসমূহ থেকে ভুয়া আই ডি তৈরি করে ঘুপচি টেন্ডার করে ওই পরিমান টাকা লোপাট করেছে। একই রাস্তার ভিন্ন ভিন্ন নাম দিয়ে পৃথক পৃথক রোড আইডি তৈরি,একই নদী বা খালের একই স্থানে ভিন্ন ভিন্ন নাম ও চেইন এজ দিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পভুক্ত করে একসাথে এক টেন্ডার নোটিশে টেন্ডার দেখিয়ে কাজ না করে প্রেসার দিয়ে বিল উঠিয়ে নেয়।
এই হিন কাজের মন্ত্রদাতা রফিকুল হাসান। তিনি দীর্ঘদিন পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী ছিলেন। ওই সময় একই রাস্তার ভিন্ন ভিন্ন নাম দিয়ে পৃথক পৃথক রোড আইডি তৈরি করা,নদী ও খালের উপর একই স্থানে ভিন্ন ভিন্ন নাম ও চেইনএজ দিয়ে একাধিক নামে ব্রীজ নির্মাণের জন্য ভিন্ন ভিন্ন প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার কুঠচাল গুলো করেন এই রফিকুল হাসান। পরে সাবেক সংসদ মহিউদ্দিন মহারাজ রফিকুল হাসানকে আমফান প্রকল্পের পিডি বানিয়ে এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে পোস্টিং দিয়ে নিয়ে আসেন এবং তার মাধ্যমে আমফান প্রকল্পের সড়ক ও ব্রীজের ভিন্ন ভিন্ন আইডি তৈরি করা হয়েছিল সেগুলোর টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করেন। এখানে মহারাজের সাথে তার গোপন চুক্তি ছিল ফিফটি ফিফটি। এভাবে মহিউদ্দিন মহারাজ ১৬’শ কোটি টাকা খেলে তার অর্ধেক পেয়েছে পিডি রফিকুল হাসান।
আমফান প্রকল্পের প্রকৌশলী মাসুদুল ইসলাম মহারাজের আরো একজন দোসর।মাসুদুল একই সাথে একই রাস্তার ভিন্ন ভিন্ন নামের যে রাস্তা ও ব্রীজ আছে সেগুলোর অনুমোদন দিয়ে একটি গ্রুপ তৈরি করে অখ্যাত পত্রিকায় টাকা দিয়ে ঘুপচি টেন্ডার করে তড়িঘড়ি কার্যাদেশ দিয়েই ফান্ড প্লেস করত ।এখানে মজার বিষয় মহারাজদের ৩/৪ টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আছে এবং ঘুপচি টেন্ডারে তাদের ফার্ম গুলো টেন্ডারে অংশ নিত এর মধ্যে এক এক সময় এক একটি ফার্মের নামে কার্যাদেশ দিত আর দুই তিনটি বিলে সকল টাকা উঠিয়ে নিত। মাসদুল ইসলাম পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী,পিডি রফিকুল হাসান ও মহারাজের মধ্যে সমন্বয় করত। মহারাজ ও পিডি রফিকুল হাসান তাকেও মোটা অংকের টাকা দিত। দুদকের কেসে অদৃশ্য কোন কারনে মাসুদের নাম বাদ পড়ে। দুদকের মামলায় মাসুদের নাম বাদ পড়ায় পিডি রফিকুল হাসান এখন আর মাসুদকে বিশ্বাস করতে পারে না। যে কারনে মাসুদকে বাদ দিয়ে এখন মাহমুদুল হককে আমলে নিয়ে তার মাধ্যমে পিডি রফিকুল হাসান তার অনিয়ম ও দুর্নীতির নতুন ফাঁদ খুলে বসেছেন।
আউটসোর্সিং এ নিয়োগ প্রাপ্ত মাহমুদুল হক এখন স্কিম অনুমোদন,বিল ছাড়, প্রকল্পের কেনাকাটা সব কাজ করছে। সূত্র জানায় পিডির নতুন বিশ্বস্ত মাহমুদুল হক দশ পার্সেন্ট হারে নগদ টাকা নিয়ে স্কিম অনুমোদন দেয় আবার বিলের জিও ছাড়ের সময়েও পৃথক পাঁচ পার্সেন্ট টাকা ঘুষ দিতে হয়। শুধু তাই নয় ওই মাহমুদুল হক এখন এতটাই ক্ষমতাধর যে পিডির নিজের ব্যবহারের গাড়িটি প্রয় সময় সে ব্যবহার করে। সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদুল হক প্রকল্পের সকল কেনাকাটা নিজেই করে। সূত্র জানায় কেনাকাটার নামে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এবং পিডি ও সে ভাগা ভাগি করছে। আমফান প্রকল্পের বিভিন্ন কোডের কনটিজেন্সি খাতের টাকা বিভিন্ন কলে কৌশলে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে টাকা উঠিয়ে পকেটে ভরছে পিডি রফিকুল হাসান আর এই কাজে সহায়তা করছে আউটসোর্সিং নিয়োগ প্রাপ্ত মাহমুদুল হক।
সূত্র জানায় দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক দীর্ঘ তদন্তের পর মামলা দায়ের করে এবং সেই মামলায় পিডি রফিকুল হাসান আসামি।ওই মামলায় ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও রফিকুল হাসান গ্রেফতার হননি এবং হচ্ছেন না কেন তা বোধগম্য নয়। তবে একটি সূত্র জানায় মাহমুদুল হক মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করেছে।যেহেতু বর্তমান সময়ে পুলিশ তেমন তৎপর নয় আরো মোটা অংকের ঘুষ পেয়ে বেমালুম ভুলে গেছেন ওয়ারেন্টের কথা। সূত্র জানায় ইতোমধ্যে দুদক কয়েকবার হানা দিয়েও আমফান অফিসের হিসাব রক্ষক থেকে শুরু করে দায়িত্বশীল কাউকে না পেয়ে সিংহভাগ ফাইল পত্র সিজ করে নিয়ে যায় দুদক। পুলিশ ও দুদক কর্মকর্তারা আসলেই রিসিপশন থেকে তাদের জানিয়ে দেয় সাথে সাথে ওই প্রকল্পের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা সটকে পড়ে। শোনা যায় ইতোমধ্যে দুদককেও ম্যানেজ করে নিয়েছেন পিডি রফিকুল হাসান। যে কারনে তিনি এখন ফুরফুরে মেজাজে অফিস করছেন এবং প্রকল্পের টাকা অবৈধ ভাবে খাওয়ার নানান ফন্দি ফিকির করছেন মাহমুদুল হককে সাথে নিয়ে। সূত্র জানায় প্রকল্পের শেষ পর্যায় মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতে নতুন পথ বাতলাচ্ছেন। যা পরবর্তী তদন্ত প্রতিবেদন বেরিয়ে আসবে।

Tag :
জনপ্রিয়

গফরগাঁও উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

এলজিইডির ভিতর-বাহির দুদকের মামলায় ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি পিডি রফিকুল হাসান বহাল তবিয়তে * ভুয়া রোড আইডি দিয়ে তিন’শ কোটি টাকা লোপাট *মহারাজের দোসর মাহমুদুল ইসলাম ধরাছোঁয়ার বাইরে *রফিকুল হাসানের নতুন ক্যাশিয়ার মাহমুদুল হক

প্রকাশিত ০১:২৩:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

দীর্ঘ বিরতির পর এলজিইডির অনিয়ম- দুর্নীতি ও উন্নয়ন কাজের ভাল দিকগুলো পাঠক সম্মুখের তুলে ধরার জন্য নিয়মিত ধারাবাহিক প্রতিবেদন ‘ এলজিইডির ভিতর – বাহির শীরনামে অনুসন্ধানি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এলজিইডি সহ অন্যান্য সরকারি সংস্থার অনিয়ম – দুর্নীতি ও ভাল কাজের উপর প্রতিবেদন তৈরির জন্য জাতীয় দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রার একঝাঁক অনুসন্ধানি প্রতিবেদক মাঠে কাজ করছে। আজকের পর্বে এলজিইডির পিডি রফিকুল হাসানের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন।
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ উন্নয়ন সংস্থা এলজিইডি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের সাথে সাথে পানি ব্যাবস্থাপনা ও নগরায়নের উপর কাজ করে এলজিইডি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়,কৃষি মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করছে এই সংস্থাটি।
এলজিইডির শ’দেড়েক প্রকল্পের মধ্যে একটি প্রকল্পের নাম আমফান। এই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক রফিকুল হাসান। তার অনিয়ম ও দুর্নীতি লিখে শেষ করা কঠিন। পতিত আওয়ামী লীগের দোসর মহিউদ্দিন মহারাজের একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন পিডি রফিকুল হাসান। গত ৫ আগস্ট ফেসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নড়েচড়ে বসে দুদক। তদন্তে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই তথ্যে জানা যায় এলজিইডির বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ না করে প্রায় ১৬’শ কোটি টাকা লোপাট করেছে মহারাজ। আমফান,স্টিল ব্রীজ,আই আর আই ডিপি,হাট বাজার উন্নয়ন প্রকল্প, নন মিউনিসিপ্যাল,বরিশাল, পিরোজপুর, পটুয়াখালীর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প সহ যে সব প্রকল্পে পিরোজপুর রিলেটেড আছে সকল প্রকল্পসমূহ থেকে ভুয়া আই ডি তৈরি করে ঘুপচি টেন্ডার করে ওই পরিমান টাকা লোপাট করেছে। একই রাস্তার ভিন্ন ভিন্ন নাম দিয়ে পৃথক পৃথক রোড আইডি তৈরি,একই নদী বা খালের একই স্থানে ভিন্ন ভিন্ন নাম ও চেইন এজ দিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পভুক্ত করে একসাথে এক টেন্ডার নোটিশে টেন্ডার দেখিয়ে কাজ না করে প্রেসার দিয়ে বিল উঠিয়ে নেয়।
এই হিন কাজের মন্ত্রদাতা রফিকুল হাসান। তিনি দীর্ঘদিন পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী ছিলেন। ওই সময় একই রাস্তার ভিন্ন ভিন্ন নাম দিয়ে পৃথক পৃথক রোড আইডি তৈরি করা,নদী ও খালের উপর একই স্থানে ভিন্ন ভিন্ন নাম ও চেইনএজ দিয়ে একাধিক নামে ব্রীজ নির্মাণের জন্য ভিন্ন ভিন্ন প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার কুঠচাল গুলো করেন এই রফিকুল হাসান। পরে সাবেক সংসদ মহিউদ্দিন মহারাজ রফিকুল হাসানকে আমফান প্রকল্পের পিডি বানিয়ে এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে পোস্টিং দিয়ে নিয়ে আসেন এবং তার মাধ্যমে আমফান প্রকল্পের সড়ক ও ব্রীজের ভিন্ন ভিন্ন আইডি তৈরি করা হয়েছিল সেগুলোর টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করেন। এখানে মহারাজের সাথে তার গোপন চুক্তি ছিল ফিফটি ফিফটি। এভাবে মহিউদ্দিন মহারাজ ১৬’শ কোটি টাকা খেলে তার অর্ধেক পেয়েছে পিডি রফিকুল হাসান।
আমফান প্রকল্পের প্রকৌশলী মাসুদুল ইসলাম মহারাজের আরো একজন দোসর।মাসুদুল একই সাথে একই রাস্তার ভিন্ন ভিন্ন নামের যে রাস্তা ও ব্রীজ আছে সেগুলোর অনুমোদন দিয়ে একটি গ্রুপ তৈরি করে অখ্যাত পত্রিকায় টাকা দিয়ে ঘুপচি টেন্ডার করে তড়িঘড়ি কার্যাদেশ দিয়েই ফান্ড প্লেস করত ।এখানে মজার বিষয় মহারাজদের ৩/৪ টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আছে এবং ঘুপচি টেন্ডারে তাদের ফার্ম গুলো টেন্ডারে অংশ নিত এর মধ্যে এক এক সময় এক একটি ফার্মের নামে কার্যাদেশ দিত আর দুই তিনটি বিলে সকল টাকা উঠিয়ে নিত। মাসদুল ইসলাম পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী,পিডি রফিকুল হাসান ও মহারাজের মধ্যে সমন্বয় করত। মহারাজ ও পিডি রফিকুল হাসান তাকেও মোটা অংকের টাকা দিত। দুদকের কেসে অদৃশ্য কোন কারনে মাসুদের নাম বাদ পড়ে। দুদকের মামলায় মাসুদের নাম বাদ পড়ায় পিডি রফিকুল হাসান এখন আর মাসুদকে বিশ্বাস করতে পারে না। যে কারনে মাসুদকে বাদ দিয়ে এখন মাহমুদুল হককে আমলে নিয়ে তার মাধ্যমে পিডি রফিকুল হাসান তার অনিয়ম ও দুর্নীতির নতুন ফাঁদ খুলে বসেছেন।
আউটসোর্সিং এ নিয়োগ প্রাপ্ত মাহমুদুল হক এখন স্কিম অনুমোদন,বিল ছাড়, প্রকল্পের কেনাকাটা সব কাজ করছে। সূত্র জানায় পিডির নতুন বিশ্বস্ত মাহমুদুল হক দশ পার্সেন্ট হারে নগদ টাকা নিয়ে স্কিম অনুমোদন দেয় আবার বিলের জিও ছাড়ের সময়েও পৃথক পাঁচ পার্সেন্ট টাকা ঘুষ দিতে হয়। শুধু তাই নয় ওই মাহমুদুল হক এখন এতটাই ক্ষমতাধর যে পিডির নিজের ব্যবহারের গাড়িটি প্রয় সময় সে ব্যবহার করে। সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদুল হক প্রকল্পের সকল কেনাকাটা নিজেই করে। সূত্র জানায় কেনাকাটার নামে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এবং পিডি ও সে ভাগা ভাগি করছে। আমফান প্রকল্পের বিভিন্ন কোডের কনটিজেন্সি খাতের টাকা বিভিন্ন কলে কৌশলে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে টাকা উঠিয়ে পকেটে ভরছে পিডি রফিকুল হাসান আর এই কাজে সহায়তা করছে আউটসোর্সিং নিয়োগ প্রাপ্ত মাহমুদুল হক।
সূত্র জানায় দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক দীর্ঘ তদন্তের পর মামলা দায়ের করে এবং সেই মামলায় পিডি রফিকুল হাসান আসামি।ওই মামলায় ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও রফিকুল হাসান গ্রেফতার হননি এবং হচ্ছেন না কেন তা বোধগম্য নয়। তবে একটি সূত্র জানায় মাহমুদুল হক মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করেছে।যেহেতু বর্তমান সময়ে পুলিশ তেমন তৎপর নয় আরো মোটা অংকের ঘুষ পেয়ে বেমালুম ভুলে গেছেন ওয়ারেন্টের কথা। সূত্র জানায় ইতোমধ্যে দুদক কয়েকবার হানা দিয়েও আমফান অফিসের হিসাব রক্ষক থেকে শুরু করে দায়িত্বশীল কাউকে না পেয়ে সিংহভাগ ফাইল পত্র সিজ করে নিয়ে যায় দুদক। পুলিশ ও দুদক কর্মকর্তারা আসলেই রিসিপশন থেকে তাদের জানিয়ে দেয় সাথে সাথে ওই প্রকল্পের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা সটকে পড়ে। শোনা যায় ইতোমধ্যে দুদককেও ম্যানেজ করে নিয়েছেন পিডি রফিকুল হাসান। যে কারনে তিনি এখন ফুরফুরে মেজাজে অফিস করছেন এবং প্রকল্পের টাকা অবৈধ ভাবে খাওয়ার নানান ফন্দি ফিকির করছেন মাহমুদুল হককে সাথে নিয়ে। সূত্র জানায় প্রকল্পের শেষ পর্যায় মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতে নতুন পথ বাতলাচ্ছেন। যা পরবর্তী তদন্ত প্রতিবেদন বেরিয়ে আসবে।