১০:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক:

টানা বর্ষণে চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা, ড্রেনে পড়ে তিন বছরের শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

  • প্রকাশিত ০৬:৫২:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
  • ৩৪ বার দেখা হয়েছে

একদিকে টানা ভারী বর্ষণ এবং জোয়ারের পানি যুক্ত হওয়ায় সকাল থেকে হাঁটু পানি নিচে তলিয়ে যায় চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঠানথলী এলাকা। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় চকবাজার,বাকুলিয়া, ষোলশহর,জিসি,মুরাদপুর,আগ্রাবাদ সহ বেশিরভাগ নিচু এলাকায়। ভোগান্তিতে পড়েন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী এবং কর্মস্থলগামী মানুষেরা।

স্থানীয়দের মধ্যে কয়েকজন লোক বলেন, এখানে একটু ভারী বৃষ্টিপাতে হাটু পর্যন্ত পানি হয়ে যায়। এই সময় আমরা অনেক দুরবস্থায় থাকি এখানে একটু বৃষ্টি হলেই আমাদের হাঁটা চলার মত আর অবস্থা থাকে না। আমাদের ছেলেমেয়েরা ঠিকমতো স্কুল কলেজে যেতে পারে না। আমরা যারা শ্রমজীবী মানুষ রয়েছি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কর্মস্থলে পৌঁছাতে অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।আর যারা দিন এনে দিন খায় তারা এই বৃষ্টির মৌসুমে বের হতে না পারায় অনেক পরিবার অনাহারে থাকে।

অনেক জায়গায় ডুবে যায় সড়ক এবং পানি ঢুকে পড়ে বিভিন্ন দোকানপাট এবং বাসা বাড়িতে। বৃষ্টি হলেই এমন ভোগান্তি প্রায় কয়েক দশকের নিয়মিত চিত্র। দীর্ঘদিন এই সংকট সমাধান না হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকার ভুক্তভোগীরা। অনেকে আবার বলছেন এখানে সিটি কর্পোরেশনের রয়েছে অনেক গাফিলতি তারা তাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করছেনা। যদি তারা তাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করত তাহলে কয়েক দশকে মিলে এই ধরনের ভোগান্তিতে আমাদের পরতে হতো না।

জলবদ্ধতা নিরশনে কাজ করে যাচ্ছে সিটি কর্পোরেশন। সিটি কর্পোরেশন খাল নালা নর্দমা সংস্কার করছে। ফলে পানি জমে না থেকে দ্রুত পানি কমছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

জলবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প চসিক পরামর্শক শাহরিয়ার খালেদ বলেন, আগের বছরের তুলনায় অনেক পানি কম উঠেছে এখানে এক হাঁটু পানি উঠেছে পনের হতে বিশ দিন আগে কিন্তু এখন কিছুটা কাজ করার পর পানি অনেকটাই কমে গেছে। আমরা কাজ করে যাচ্ছি নিয়মিত এখানে পানি থাকবে না পানি আরো সরে যাবে।

আর এই দলবদ্ধতার কারণেই ৯ জুলাই বুধবার বিকেলে হালিশহর আনন্দিপুরে উন্মুক্ত নালায় পড়ে যায় হুমাইরা নামে তিন বছরের এক শিশু। প্রায় ৩০ মিনিট পর উদ্ধার করা হয় তার মরদেহ। স্থানীয়রা বলেন, রাস্তার পাশের বড় ড্রেন থেকে ছোট ড্রেন পর্যন্ত কোন প্রকার স্লেপ না থাকায় মেয়েটি যখন বল কুড়াতে যায় তখন ড্রেনে পড়ে যায়। পড়ে যাওয়ার পরে এলাকার এক ছোট ভাই ধরার চেষ্টা করে তবে সে ধরতে পারে নাই পানির স্রোতের কারণে।পরে সে সাথে সাথে এলাকাবাসী সবাইকে জানাই।পরে এলাকাবাসীরা অনেক চেষ্টা করে প্রায় ৩০ মিনিট পর মেয়েটির মরদেহটি উদ্ধার করে।

Tag :
জনপ্রিয়

চট্টগ্রাম গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান ইবনে কামালের খুঁটির জোর কোথায় – ১০ বছরের অধিক সময় একই স্থানে পদায়িত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

টানা বর্ষণে চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা, ড্রেনে পড়ে তিন বছরের শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

প্রকাশিত ০৬:৫২:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

একদিকে টানা ভারী বর্ষণ এবং জোয়ারের পানি যুক্ত হওয়ায় সকাল থেকে হাঁটু পানি নিচে তলিয়ে যায় চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঠানথলী এলাকা। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় চকবাজার,বাকুলিয়া, ষোলশহর,জিসি,মুরাদপুর,আগ্রাবাদ সহ বেশিরভাগ নিচু এলাকায়। ভোগান্তিতে পড়েন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী এবং কর্মস্থলগামী মানুষেরা।

স্থানীয়দের মধ্যে কয়েকজন লোক বলেন, এখানে একটু ভারী বৃষ্টিপাতে হাটু পর্যন্ত পানি হয়ে যায়। এই সময় আমরা অনেক দুরবস্থায় থাকি এখানে একটু বৃষ্টি হলেই আমাদের হাঁটা চলার মত আর অবস্থা থাকে না। আমাদের ছেলেমেয়েরা ঠিকমতো স্কুল কলেজে যেতে পারে না। আমরা যারা শ্রমজীবী মানুষ রয়েছি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কর্মস্থলে পৌঁছাতে অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।আর যারা দিন এনে দিন খায় তারা এই বৃষ্টির মৌসুমে বের হতে না পারায় অনেক পরিবার অনাহারে থাকে।

অনেক জায়গায় ডুবে যায় সড়ক এবং পানি ঢুকে পড়ে বিভিন্ন দোকানপাট এবং বাসা বাড়িতে। বৃষ্টি হলেই এমন ভোগান্তি প্রায় কয়েক দশকের নিয়মিত চিত্র। দীর্ঘদিন এই সংকট সমাধান না হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকার ভুক্তভোগীরা। অনেকে আবার বলছেন এখানে সিটি কর্পোরেশনের রয়েছে অনেক গাফিলতি তারা তাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করছেনা। যদি তারা তাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করত তাহলে কয়েক দশকে মিলে এই ধরনের ভোগান্তিতে আমাদের পরতে হতো না।

জলবদ্ধতা নিরশনে কাজ করে যাচ্ছে সিটি কর্পোরেশন। সিটি কর্পোরেশন খাল নালা নর্দমা সংস্কার করছে। ফলে পানি জমে না থেকে দ্রুত পানি কমছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

জলবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প চসিক পরামর্শক শাহরিয়ার খালেদ বলেন, আগের বছরের তুলনায় অনেক পানি কম উঠেছে এখানে এক হাঁটু পানি উঠেছে পনের হতে বিশ দিন আগে কিন্তু এখন কিছুটা কাজ করার পর পানি অনেকটাই কমে গেছে। আমরা কাজ করে যাচ্ছি নিয়মিত এখানে পানি থাকবে না পানি আরো সরে যাবে।

আর এই দলবদ্ধতার কারণেই ৯ জুলাই বুধবার বিকেলে হালিশহর আনন্দিপুরে উন্মুক্ত নালায় পড়ে যায় হুমাইরা নামে তিন বছরের এক শিশু। প্রায় ৩০ মিনিট পর উদ্ধার করা হয় তার মরদেহ। স্থানীয়রা বলেন, রাস্তার পাশের বড় ড্রেন থেকে ছোট ড্রেন পর্যন্ত কোন প্রকার স্লেপ না থাকায় মেয়েটি যখন বল কুড়াতে যায় তখন ড্রেনে পড়ে যায়। পড়ে যাওয়ার পরে এলাকার এক ছোট ভাই ধরার চেষ্টা করে তবে সে ধরতে পারে নাই পানির স্রোতের কারণে।পরে সে সাথে সাথে এলাকাবাসী সবাইকে জানাই।পরে এলাকাবাসীরা অনেক চেষ্টা করে প্রায় ৩০ মিনিট পর মেয়েটির মরদেহটি উদ্ধার করে।