০৮:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিশেষ প্রতিনিধি:

কুমিল্লায় যৌথবাহিনীর অভিযানে ইয়াবা ও গাঁজাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ী আটক

  • প্রকাশিত ০৬:২৪:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
  • ২০ বার দেখা হয়েছে

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ৪ কেজি গাঁজা ও ৩শ’ ৯৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে।
আটককৃতরা হলো: ইসলামিয়া হোটেলের মালিক ও চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী, উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের আমানগন্ডা গ্রামের মৃত এরশাদ উল্লাহর ছেলে মো: আব্দুল কুদ্দুস (৪৩)। তার অন্যতম সহযোগী মুন্সীরহাট ইউনিয়নের বারাইশ গ্রামের আনা মিয়া ভূঁইয়ার ছেলে মো: মীর হোসেন ভূঁইয়া (৪০), চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই থানার পশ্চিম মিরসরাই গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে কামাল উদ্দিন (৪৫),এবং চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার পূর্বচর কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত হাসান সরকারের ছেলে মো: ইয়াছিন (৫০)। রবিবার (০৬ জুলাই) দুপুরে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো: গুলজার আলম।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ছুফুয়া রাস্তার মাথা এলাকার আল-আমিন পেট্রোল পাম্পের দক্ষিণ পাশের ইসলামিয়া ট্রাক হোটেলে যৌথবাহিনী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বিক্রির জন্য হোটেলে মজুত রাখা অবস্হায় ৩৯৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৪ কেজি গাঁজা সহ এলাকার চিহিৃত ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে । এ সময় মাদক বেচাকেনার কাজে ব্যবহৃত ৩টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ১টি বাটন মোবাইল ফোন সহ মাদক বিক্রির নগদ ৮৮ হাজার ৫৪০ টাকা জব্দ করা হয়। আটককৃতদে বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের শেষে রবিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন ট্রাক হোটেলগুলোতে রমরমা মাদক ব্যবসা চলছে। এসব হোটেলের মালিকরাই তাদের কর্মচারীদের মাধ্যমে ট্রাক ড্রাইভার-হেলপার সহ এলাকার যুব সমাজের হাতে মরণ নেশা মাদক তুলে দিচ্ছে। বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ ও অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা সহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারির কারণে ইতিমধ্যেই মাদক বেচাকেনা অনেকটাই কমে এসেছে। মাদকের বিষয়ে থানা প্রশাসন জিরো টলারেন্স নীতিতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। মাদক নির্মূলে থানা পুলিশের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Tag :
জনপ্রিয়

নোয়াখালীর সেনবাগে রক্তাক্ত ৬ ই জুলাইয়ের প্রতিবাদ সমাবেশ।

বিশেষ প্রতিনিধি:

কুমিল্লায় যৌথবাহিনীর অভিযানে ইয়াবা ও গাঁজাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ী আটক

প্রকাশিত ০৬:২৪:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ৪ কেজি গাঁজা ও ৩শ’ ৯৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে।
আটককৃতরা হলো: ইসলামিয়া হোটেলের মালিক ও চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী, উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের আমানগন্ডা গ্রামের মৃত এরশাদ উল্লাহর ছেলে মো: আব্দুল কুদ্দুস (৪৩)। তার অন্যতম সহযোগী মুন্সীরহাট ইউনিয়নের বারাইশ গ্রামের আনা মিয়া ভূঁইয়ার ছেলে মো: মীর হোসেন ভূঁইয়া (৪০), চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই থানার পশ্চিম মিরসরাই গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে কামাল উদ্দিন (৪৫),এবং চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার পূর্বচর কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত হাসান সরকারের ছেলে মো: ইয়াছিন (৫০)। রবিবার (০৬ জুলাই) দুপুরে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো: গুলজার আলম।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ছুফুয়া রাস্তার মাথা এলাকার আল-আমিন পেট্রোল পাম্পের দক্ষিণ পাশের ইসলামিয়া ট্রাক হোটেলে যৌথবাহিনী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বিক্রির জন্য হোটেলে মজুত রাখা অবস্হায় ৩৯৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৪ কেজি গাঁজা সহ এলাকার চিহিৃত ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে । এ সময় মাদক বেচাকেনার কাজে ব্যবহৃত ৩টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ১টি বাটন মোবাইল ফোন সহ মাদক বিক্রির নগদ ৮৮ হাজার ৫৪০ টাকা জব্দ করা হয়। আটককৃতদে বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের শেষে রবিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন ট্রাক হোটেলগুলোতে রমরমা মাদক ব্যবসা চলছে। এসব হোটেলের মালিকরাই তাদের কর্মচারীদের মাধ্যমে ট্রাক ড্রাইভার-হেলপার সহ এলাকার যুব সমাজের হাতে মরণ নেশা মাদক তুলে দিচ্ছে। বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ ও অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা সহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারির কারণে ইতিমধ্যেই মাদক বেচাকেনা অনেকটাই কমে এসেছে। মাদকের বিষয়ে থানা প্রশাসন জিরো টলারেন্স নীতিতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। মাদক নির্মূলে থানা পুলিশের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।