১০:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মোঃ আমির হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার :

গাজীপুর মহানগর পূবাইল থানা পুলিশের নাম ভাঙিয়ে আওয়ামী লীগ কর্মী ও সাংবাদিক টাকা ভাগাভাগি

  • প্রকাশিত ০৪:২৩:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • ১০০ বার দেখা হয়েছে

গাজীপুর মহানগর পূবাইলে গাঁজা সেবন কারী আসামি কে ছাড়াতে পূবাইল থানা পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে ১৪ হাজার টাকা নিয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীর মা। যার মধ্যে আওয়ামী লীগ কর্মী বাচ্চু মিয়া ১০ হাজার ও স্হানীয় সাংবাদিক ৪ হাজার নেয়। আওয়ামী কর্মী বাচ্চু মিয়া নগরীর ৪১নং ওয়ার্ড উদুর এলাকার
লেহাজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি ইতিপূর্বে আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন তিনি বিভিন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে গাজীপুরের পূবাইল উদুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্র কমিটির দায়িত্ব পালন করেন গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর উদুর কেন্দ্র কমিটির যুগ্ন আহবায়ক এর দায়িত্ব পালন করেন বলে জানান এলাকাবাসী। পাশাপাশি পূবাইলের স্থানীয় সাংবাদিক মামলা হালকা করে দিবে মর্মে পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে চার হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন বলে জানা যায় ।ঘটনার বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন এখনও কিভাবে আওয়ামী লীগের দোসররা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করেন তাকে আইনের আওতায় আনা উচিত। ঘটনাটি ঘটে গত ২৬ শে জুন উদুর এলাকায়।এর আগে অভিযুক্ত গাজা সেবন কারী
অর্পণ চন্দ্র দাসকে ২৫শে জুন সন্ধ্যার পর পূবাইল পোস্ট অফিস এলাকা থেকে আটক করেন পূবাইল থানা পুলিশের এস আই নাসির উদ্দিন। ২৬শে জুন অর্পণ চন্দ্র দাস কে প্রচিকিউশন দিয়ে গাজীপুর কোটে প্রেরণ করেন। অর্পণ চন্দ্র দাসের বড় ভাই রতন চন্দ্র দাস জানান,আমার ভাইয়ের সাথে গাজা পেয়ে পূবাইল থানার এস আই নাসির উদ্দিন তাকে ধরে পূবাইল থানায় নিয়ে যান। তাকে ছাড়াতে এগিয়ে আসেন আমাদের এলাকার আওয়ামী লীগ কর্মী বাচ্চু মিয়া এবং বলেন তোমার ভাইকে ছাড়াতে থানা পুলিশ ও উকিলকে দেওয়ার জন্য ১৪ হাজার টাকা দিতে হবে না হলে পুলিশ মামলা দিয়ে জেলে পাঠাবে। অভিযুক্তর মা ১৪ হাজার টাকা জোগাড় করে আওয়ামী লীগ কর্মী বাচ্চু মিয়ার হাতে দেন পরে ১৪ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা রেখে ৪ হাজার টাকা রবিউল সাংবাদিকের হাতে দেন
এস আই নাসির উদ্দীনকে দেওয়ার জন্য।এ বিষয়ে পূবাইল থানার
এস আই নাসির উদ্দিনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান আমার সাথে কোন প্রকার লেনদেন হয় নাই। যদি আমার কথা বলে কেউ টাকা নিয়ে থাকে তাহলে
ওসি স্যারের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিব। পূবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম আমিরুল ইসলাম জানান,পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে অনেকে অনেক কিছু করে এ বিষয়ে কি বলব আমার জানা নেই তবে যে আওয়ামী লীগ কর্মী এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Tag :
জনপ্রিয়

আজিজ আল কায়সার: দূরদর্শী নেতৃত্বে এক উজ্জ্বল নাম

মোঃ আমির হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার :

গাজীপুর মহানগর পূবাইল থানা পুলিশের নাম ভাঙিয়ে আওয়ামী লীগ কর্মী ও সাংবাদিক টাকা ভাগাভাগি

প্রকাশিত ০৪:২৩:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

গাজীপুর মহানগর পূবাইলে গাঁজা সেবন কারী আসামি কে ছাড়াতে পূবাইল থানা পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে ১৪ হাজার টাকা নিয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীর মা। যার মধ্যে আওয়ামী লীগ কর্মী বাচ্চু মিয়া ১০ হাজার ও স্হানীয় সাংবাদিক ৪ হাজার নেয়। আওয়ামী কর্মী বাচ্চু মিয়া নগরীর ৪১নং ওয়ার্ড উদুর এলাকার
লেহাজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি ইতিপূর্বে আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন তিনি বিভিন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে গাজীপুরের পূবাইল উদুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্র কমিটির দায়িত্ব পালন করেন গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর উদুর কেন্দ্র কমিটির যুগ্ন আহবায়ক এর দায়িত্ব পালন করেন বলে জানান এলাকাবাসী। পাশাপাশি পূবাইলের স্থানীয় সাংবাদিক মামলা হালকা করে দিবে মর্মে পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে চার হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন বলে জানা যায় ।ঘটনার বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন এখনও কিভাবে আওয়ামী লীগের দোসররা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করেন তাকে আইনের আওতায় আনা উচিত। ঘটনাটি ঘটে গত ২৬ শে জুন উদুর এলাকায়।এর আগে অভিযুক্ত গাজা সেবন কারী
অর্পণ চন্দ্র দাসকে ২৫শে জুন সন্ধ্যার পর পূবাইল পোস্ট অফিস এলাকা থেকে আটক করেন পূবাইল থানা পুলিশের এস আই নাসির উদ্দিন। ২৬শে জুন অর্পণ চন্দ্র দাস কে প্রচিকিউশন দিয়ে গাজীপুর কোটে প্রেরণ করেন। অর্পণ চন্দ্র দাসের বড় ভাই রতন চন্দ্র দাস জানান,আমার ভাইয়ের সাথে গাজা পেয়ে পূবাইল থানার এস আই নাসির উদ্দিন তাকে ধরে পূবাইল থানায় নিয়ে যান। তাকে ছাড়াতে এগিয়ে আসেন আমাদের এলাকার আওয়ামী লীগ কর্মী বাচ্চু মিয়া এবং বলেন তোমার ভাইকে ছাড়াতে থানা পুলিশ ও উকিলকে দেওয়ার জন্য ১৪ হাজার টাকা দিতে হবে না হলে পুলিশ মামলা দিয়ে জেলে পাঠাবে। অভিযুক্তর মা ১৪ হাজার টাকা জোগাড় করে আওয়ামী লীগ কর্মী বাচ্চু মিয়ার হাতে দেন পরে ১৪ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা রেখে ৪ হাজার টাকা রবিউল সাংবাদিকের হাতে দেন
এস আই নাসির উদ্দীনকে দেওয়ার জন্য।এ বিষয়ে পূবাইল থানার
এস আই নাসির উদ্দিনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান আমার সাথে কোন প্রকার লেনদেন হয় নাই। যদি আমার কথা বলে কেউ টাকা নিয়ে থাকে তাহলে
ওসি স্যারের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিব। পূবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম আমিরুল ইসলাম জানান,পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে অনেকে অনেক কিছু করে এ বিষয়ে কি বলব আমার জানা নেই তবে যে আওয়ামী লীগ কর্মী এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।