০৭:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঈমান নিয়ে মৃত্যুবরণ করাটাই ঈমানদারের সর্বোচ্চ সফলতা – অধ্যক্ষ নুরুল আমিন

  • প্রকাশিত ০৫:২২:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
  • ১২ বার দেখা হয়েছে

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরের সেক্রেটারি এবং চট্টগ্রাম-২ আসনের প্রার্থী অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন বলেছেন, “ঈমানের ওপর মৃত্যুবরণ করাই একজন মুসলমানের সবচেয়ে বড় অর্জন ও সফলতা। এই দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী, একদিন সবাইকেই ফিরে যেতে হবে আল্লাহর কাছে।”

২৮ অক্টোবর বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর প্যারেড মাঠে অনুষ্ঠিত জানাজা উত্তর এক সমাবেশে তিনি এই কথা বলেন। এই জানাজা ছিল ফটিকছড়ি থানাধীন শুয়াবিল ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর জিএম ইলিয়াসের। মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় আয়োজিত এই সমাবেশে শোক প্রকাশের পাশাপাশি তার জীবনাদর্শ ও ইসলামী আন্দোলনে অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করা হয়।

সমাবেশে সঞ্চালনায় ছিলেন জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সেক্রেটারি আব্দুল জব্বার এবং নগর কর্মপরিষদ সদস্য আবু হেনা মোস্তফা কামাল।

বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য অধ্যক্ষ আমীরুজ্জামান। তিনি বলেন, “মরহুম জিএম ইলিয়াস ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ ইসলামপ্রিয় মানুষ। তিনি ইসলামী আন্দোলনের একজন নিঃস্বার্থ কর্মী হিসেবে আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন।”

অধ্যাপক আহসানউল্লাহ বলেন, “মরহুমের জীবন ছিল দ্বীনের পথে নিবেদিত একটি জীবন। তিনি সমাজে ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন।”

নগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. একেএম ফজলুল হক বলেন, “তিনি শুধু একজন সংগঠকই ছিলেন না, বরং একজন আদর্শিক মানুষ হিসেবে সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় ছিলেন।”

উত্তর জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী বলেন, “জিএম ইলিয়াস ছিলেন ত্যাগ, নিষ্ঠা ও আদর্শের প্রতীক। তার মৃত্যু জামায়াত পরিবার তথা ইসলামী আন্দোলনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।”

মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন শহিদুল্লাহ তালুকদার। তিনি বলেন, “আমার চাচা আমাদের জন্য যেমন আদর্শ ছিলেন, তেমনি ছিলেন সমাজের জন্য একজন দিকনির্দেশক।”

এইসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, চকবাজার থানা জামায়াতের আমীর খালেদুল আনোয়ার, পাচঁলাইশ থানা সেক্রেটারি মাওলানা মফিজুল হক, শুলকবহর ওয়ার্ড আমীর তাওহীদ আজাদ, ব্যাবসায়ী শওকত হোসেন প্রমুখ।
জানাজায় স্থানীয় বিভিন্ন স্তরের নেতা, কর্মী ও এলাকাবাসীর বিপুল উপস্থিতি ছিল লক্ষ্য করার মতো। সবাই মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার দেখানো আদর্শিক পথ অনুসরণের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

Tag :
জনপ্রিয়

নাঙ্গলকোটের বক্সগঞ্জে জামায়াতের ইসলামী’র কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঈমান নিয়ে মৃত্যুবরণ করাটাই ঈমানদারের সর্বোচ্চ সফলতা – অধ্যক্ষ নুরুল আমিন

প্রকাশিত ০৫:২২:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরের সেক্রেটারি এবং চট্টগ্রাম-২ আসনের প্রার্থী অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন বলেছেন, “ঈমানের ওপর মৃত্যুবরণ করাই একজন মুসলমানের সবচেয়ে বড় অর্জন ও সফলতা। এই দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী, একদিন সবাইকেই ফিরে যেতে হবে আল্লাহর কাছে।”

২৮ অক্টোবর বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর প্যারেড মাঠে অনুষ্ঠিত জানাজা উত্তর এক সমাবেশে তিনি এই কথা বলেন। এই জানাজা ছিল ফটিকছড়ি থানাধীন শুয়াবিল ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর জিএম ইলিয়াসের। মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় আয়োজিত এই সমাবেশে শোক প্রকাশের পাশাপাশি তার জীবনাদর্শ ও ইসলামী আন্দোলনে অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করা হয়।

সমাবেশে সঞ্চালনায় ছিলেন জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সেক্রেটারি আব্দুল জব্বার এবং নগর কর্মপরিষদ সদস্য আবু হেনা মোস্তফা কামাল।

বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য অধ্যক্ষ আমীরুজ্জামান। তিনি বলেন, “মরহুম জিএম ইলিয়াস ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ ইসলামপ্রিয় মানুষ। তিনি ইসলামী আন্দোলনের একজন নিঃস্বার্থ কর্মী হিসেবে আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন।”

অধ্যাপক আহসানউল্লাহ বলেন, “মরহুমের জীবন ছিল দ্বীনের পথে নিবেদিত একটি জীবন। তিনি সমাজে ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন।”

নগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. একেএম ফজলুল হক বলেন, “তিনি শুধু একজন সংগঠকই ছিলেন না, বরং একজন আদর্শিক মানুষ হিসেবে সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় ছিলেন।”

উত্তর জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী বলেন, “জিএম ইলিয়াস ছিলেন ত্যাগ, নিষ্ঠা ও আদর্শের প্রতীক। তার মৃত্যু জামায়াত পরিবার তথা ইসলামী আন্দোলনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।”

মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন শহিদুল্লাহ তালুকদার। তিনি বলেন, “আমার চাচা আমাদের জন্য যেমন আদর্শ ছিলেন, তেমনি ছিলেন সমাজের জন্য একজন দিকনির্দেশক।”

এইসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, চকবাজার থানা জামায়াতের আমীর খালেদুল আনোয়ার, পাচঁলাইশ থানা সেক্রেটারি মাওলানা মফিজুল হক, শুলকবহর ওয়ার্ড আমীর তাওহীদ আজাদ, ব্যাবসায়ী শওকত হোসেন প্রমুখ।
জানাজায় স্থানীয় বিভিন্ন স্তরের নেতা, কর্মী ও এলাকাবাসীর বিপুল উপস্থিতি ছিল লক্ষ্য করার মতো। সবাই মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার দেখানো আদর্শিক পথ অনুসরণের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।