রাজধানীর মাদানি এভিনিউ ১০০ ফিট রোড ভাটারা নয়া বাড়ি বাসা নং ৬ রওজা ট্রাভেলস এন্ড কনসালটেন্সি নামক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী প্রবাসী আবুল বশর এর সাথে রওজা ট্রাভেলস এন্ড কনসালটেন্সি, টিএস ওভারসিজ এন্টারপ্রাইজ ,পাওয়ার মুজিব ট্রাভেলস এজেন্সি যাহার আর এল নং- ৯৯২ মুল মালিক মোঃ মানিক হওলাদার ,পিতা: হাসমত হাওলাদার মাতা: হনুফা বেগম ,ঠিকানা দাগ নং -২৫৫৯ ,প্লট নং- ৬৯,( দ্বিতীয় তলা )মাদানী এভিনিউ ১০০ ফিট, ভাটারা, ঢাকা ১২১২ ।এবং জাতীয় পরিচয় পত্র নং ৪৬২৪৯১২৫৬৬। এরকম নামে বেনামে আরো অনেক প্রতিষ্ঠান এবং ঠিকানা ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছেন বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগী জানান মানিক হাওলাদার গত এক বছর আগে সার্বিয়ার ভিসা প্রদান করবে বলে আবুল বশর এর কাছে জনবল সংগ্রহ করার কথা বলেন এবং জনবল সংগ্রহ করে দিতে পারলে তিনি ভালো একটা কমিশন পাবেন বলে আশ্বস্ত করেন।ভুক্তভোগী আবুল বশর তার কথায় সরল বিশ্বাস করে তার পরিচিতজনদের এবং আত্মীয়-স্বজনের কাছে বিষয়টি অবগত করলে তারা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে সার্ভিয়া যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন এরই পরিপ্রেক্ষিতে মানিক হাওলাদার এর সাথে ভুক্তভোগী আবুল বশর আলোচনা করলে তিনি জানান এক মাসের ভিতরে ২০টি ভিসা ব্যবস্থা করে দিবেন এবং বিনিময়ে প্রত্যেকের ৮ লক্ষ টাকা করে প্রদান করতে হবে বলে জানান। প্রথমে পাসপোর্ট জমা দেয়ার সময় তিন লক্ষ টাকা জমা নিবেন এবং বাকি পাঁচ লক্ষ টাকা ভিসা হওয়ার পরে দিতে হবে বলে তারা চুক্তিবদ্ধে আবদ্ধ হন। ভুক্তভোগী আবুল বশর মানিক হাওলাদারের কথা অনুযায়ী এক কোটি ১৪ লাখ ৪৮ হাজার ৩৮৫ টাকা তাকে প্রদান করেন এবং যার প্রমাণস্বরূপ স্ট্যাম্পে এগ্রিমেন্ট রয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় পর্যাপ্ত ভিসা না দিয়ে তিনি ১৪ টি ভিসা প্রদান করেন যা পরে জাল এবং ভুয়া প্রমাণিত হয়। নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগী তার সাথে যোগাযোগ করলেও তিনি সঠিক কোন সমাধান না দিয়ে তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করলে ভুক্তভোগী আবুল বশর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত ফুলগাজী ফেনীতে একটি অর্থ আত্মসাৎ এবং প্রতারণার মামলা দায়ের করেন যাহার কেস নং ফুলগাজী মি.আর. নং -১৬। মামলার ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হলেও গত ২০/৪/২৫ ইংরেজি তারিখ আপস মীমাংসার স্বার্থে বিজ্ঞ আদালতের কাছ থেকে জামিন নেন, কিন্তু বিজ্ঞ আদালতের শর্ত অমান্য করে ১২. ৫ .২০২৫ ইংরেজি তারিখ আদালতে উপস্থিতির নির্দেশনা থাকলেও তিনি আদালতে উপস্থিত হননি এবং এরই পরিপ্রেক্ষিতে আবার বিজ্ঞ আদালত তার গ্রেফতারি পরোয়ানা বহাল রাখেন । কিন্তু ভুক্তভোগী আবুল বশরকে আসামি মানিক হাওলাদার এবং তার পরিবারবর্গ বিভিন্নভাবে জীবননাশের হুমকি প্রদান করলে নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগী জীবন রক্ষার স্বার্থে rab-1 উত্তরা এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গুলশান- ২ এ দুটি অভিযোগ দাখিল করেন । বিশেষ সূত্রে পাওয়া ভুক্তভোগী আবুল বশর আরো বলেন মানিক হাওলাদার তার নাম পরিবর্তন করে অন্য নামে এনআইডি তৈরি করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং বিদেশে পাড়ি জমানোর পায়তারা চালাচ্ছেন এমতাবস্থায় তিনি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কাছেও অনুরোধ জানিয়েছেন যাহাতে একই ব্যক্তি প্রতারণা করে ভিন্ন নামে এনআইডি তৈরি করতে না পারেন। ভুক্তভোগী প্রশাসন এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা কে বলেন ৫০০ টাকার বন্ডের মাধ্যমে একজন প্রতারক যাহাতে জামিন নিয়ে আইনের অসম্মান করে পালিয়ে বেড়াতে না পারেন তাহার ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন পলাতক আসামি মানিক হাওলাদার যাহাতে অতি দ্রুত প্রশাসনের হাতে ধরা পড়েন এবং আর কোন পরিবার যাহাতে এই প্রতারকের হাতে নিঃস্ব না হয় তাহার বিহিত বিধানে মর্জি প্রার্থনা করছেন।
০৬:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম