০৮:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিকতার সৎ দীপ্তিতে জেগে উঠুক আমাদের বাংলাদেশ

  • প্রকাশিত ০৩:৫৬:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
  • ২৬ বার দেখা হয়েছে

এম. এইচ আকাশ মাহমুদ মোল্লা :

বাংলার রক্তস্নাত ইতিহাস আর আত্মদানের অমর মহাকাব্য রচনা করেছিলেন আমাদের মহান শহীদরা, যাঁদের স্বপ্ন ছিল একটি স্বাধীন, স্বপ্নময়, আত্মমর্যাদাশীল এবং মানবিক রাষ্ট্রের নির্মাণ। তাঁদের লালিত অভিপ্রায় ছিল এমন এক সোনার বাংলার, যেখানে বৈষম্য থাকবে না, নিপীড়নের ছায়া থাকবে না; থাকবে মানুষের অধিকার, সম্মান, মর্যাদা ও ভালোবাসার অবাধ বিচরণ। কিন্তু আজ, কালের পরিক্রমায় আমরা দেখতে পাচ্ছি, সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বাসা বেঁধেছে দুর্নীতি, হিংসা, বিভেদ, অসহিষ্ণুতা আর ভ্রান্ত তথ্যের বিষবাষ্প।এই সংকটময় মুহূর্তে সাংবাদিকতার মহান ব্রত শুধু সংবাদ পরিবেশন নয়-বরং সত্যের দীপ্ত আলোয় আলোকিত করে জাতিকে সঠিক পথ দেখানো। গণমাধ্যম আর সাংবাদিকতা কোনো নিছক পেশা নয়, এটি জাতির আত্মার প্রতিচ্ছবি, বিবেকের কণ্ঠস্বর।

একজন সাংবাদিকের কলম হতে পারে বিদ্যুৎ ঝলকের মতো, যা অন্ধকারকে বিদীর্ণ করে দেয়; তাঁর শব্দ হতে পারে মানবতার ঝর্ণাধারা, যা তপ্ত সমাজকে শীতল শান্তিতে সিক্ত করে।একবিংশ শতাব্দীর এই দ্রæত পরিবর্তনশীল বাস্তবতায়, যখন সোশ্যাল মিডিয়ার অসংখ্য কণ্ঠে সত্য চাপা পড়ে যাচ্ছে মিথ্যার কলরবে, তখন সত্যনিষ্ঠ, সৎ ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতাই পারে সমাজকে সত্যের মাপকাঠিতে দাঁড় করাতে। জাতি যখন ধ্বংসের প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকে, তখন সাংবাদিকই হন তার প্রথম আশ্রয়। একমাত্র প্রকৃত সাংবাদিকতার শক্তিতেই সম্ভব বিভ্রান্তি থেকে মুক্তি, অসত্য থেকে উত্তরণ, সংকীর্ণতা থেকে উদারতার দিকে যাত্রা।এই মহৎ চেতনা ও দায়বদ্ধতাকে হৃদয়ে ধারণ করে আমরা কিছু স্বপ্নবান তরুণ-তরুণী একত্র হয়ে প্রতিষ্ঠা করেছি- মানুষের অধিকার এবং সোনার দেশ সাংবাদিক গোষ্ঠী।

এটি কেবল একটি প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি আদর্শ, একটি আন্দোলন, একটি নবজাগরণের নাম। আমরা বিশ্বাস করি, কলমের শক্তি বন্দুকের গোলার চেয়েও প্রভাবশালী, যদি তা সত্য, ন্যায় ও মানবতার পক্ষে প্রয়োগ করা যায়।আমাদের এই পথচলায় আমরা পেয়েছি কিছু আলোকবর্তিকা স্বরূপ অ]িাবক, যাঁরা উচ্চচিন্তা, সুস্থ সংস্কৃতি ও নির্মল মানবিকতায় সমৃদ্ধ। তাঁদের দিকনির্দেশনা ও মমতাপূর্ণ সহচর্য আমাদের সামনে খুলে দিয়েছে সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত। “দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিকা ” সহ দেশের সকল পত্রিকা কেবল কাগজে ছাপা কিছু শব্দ নয়, বরং এটি কোটি মানুষের স্বপ্ন দাবীর অধিকার এবং প্রতিশ্রæত ভবিষ্যতের কথা বলে। আমরা প্রত্যয়ী সাংবাদিকতা হবে আমাদের মুক্তির পথ, মানবিক বিপ্লবের হাতিয়ার। সত্য, সাহস, সততা ও দায়িত্বশীলতার সেতু হয়ে সাংবাদিকরা দাঁড়াবেন জাতির প্রত্যাশার কেন্দ্রে। সেই সাংবাদিকতা হবে-আলোকিত, প্রাজ্ঞ, চিন্তাশীল, মানবিক ও দায়বদ্ধ। আজ সময় এসেছে, আমরা সবাই মিলে কলমকে করি শাণিত তরবারির মতো, যার এক পাশ সত্য প্রতিষ্ঠার আরেক পাশ দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রতীক। সময় এসেছে কলমের সিংহগর্জনে হানাহানি, বিভাজন আর অন্যায়ের মূলোৎপাটন করার।আসুন, আমরা একসাথে সেই দীপ্ত প্রতিজ্ঞায় শপথ নিই- মানবিক সাংবাদিকতা দিয়েই আমরা গড়ে তুলবো এক অবিকল সোনার বাংলা, যেখানে থাকবে না অন্ধকারের ঘনঘটা, থাকবে আলোর অনন্ত প্রভা।

Tag :
জনপ্রিয়

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে তার মায়ের হেবা দেয়া ফ্ল্যাট থেকে উচ্ছেদের অভিযোগ

সাংবাদিকতার সৎ দীপ্তিতে জেগে উঠুক আমাদের বাংলাদেশ

প্রকাশিত ০৩:৫৬:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

এম. এইচ আকাশ মাহমুদ মোল্লা :

বাংলার রক্তস্নাত ইতিহাস আর আত্মদানের অমর মহাকাব্য রচনা করেছিলেন আমাদের মহান শহীদরা, যাঁদের স্বপ্ন ছিল একটি স্বাধীন, স্বপ্নময়, আত্মমর্যাদাশীল এবং মানবিক রাষ্ট্রের নির্মাণ। তাঁদের লালিত অভিপ্রায় ছিল এমন এক সোনার বাংলার, যেখানে বৈষম্য থাকবে না, নিপীড়নের ছায়া থাকবে না; থাকবে মানুষের অধিকার, সম্মান, মর্যাদা ও ভালোবাসার অবাধ বিচরণ। কিন্তু আজ, কালের পরিক্রমায় আমরা দেখতে পাচ্ছি, সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বাসা বেঁধেছে দুর্নীতি, হিংসা, বিভেদ, অসহিষ্ণুতা আর ভ্রান্ত তথ্যের বিষবাষ্প।এই সংকটময় মুহূর্তে সাংবাদিকতার মহান ব্রত শুধু সংবাদ পরিবেশন নয়-বরং সত্যের দীপ্ত আলোয় আলোকিত করে জাতিকে সঠিক পথ দেখানো। গণমাধ্যম আর সাংবাদিকতা কোনো নিছক পেশা নয়, এটি জাতির আত্মার প্রতিচ্ছবি, বিবেকের কণ্ঠস্বর।

একজন সাংবাদিকের কলম হতে পারে বিদ্যুৎ ঝলকের মতো, যা অন্ধকারকে বিদীর্ণ করে দেয়; তাঁর শব্দ হতে পারে মানবতার ঝর্ণাধারা, যা তপ্ত সমাজকে শীতল শান্তিতে সিক্ত করে।একবিংশ শতাব্দীর এই দ্রæত পরিবর্তনশীল বাস্তবতায়, যখন সোশ্যাল মিডিয়ার অসংখ্য কণ্ঠে সত্য চাপা পড়ে যাচ্ছে মিথ্যার কলরবে, তখন সত্যনিষ্ঠ, সৎ ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতাই পারে সমাজকে সত্যের মাপকাঠিতে দাঁড় করাতে। জাতি যখন ধ্বংসের প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকে, তখন সাংবাদিকই হন তার প্রথম আশ্রয়। একমাত্র প্রকৃত সাংবাদিকতার শক্তিতেই সম্ভব বিভ্রান্তি থেকে মুক্তি, অসত্য থেকে উত্তরণ, সংকীর্ণতা থেকে উদারতার দিকে যাত্রা।এই মহৎ চেতনা ও দায়বদ্ধতাকে হৃদয়ে ধারণ করে আমরা কিছু স্বপ্নবান তরুণ-তরুণী একত্র হয়ে প্রতিষ্ঠা করেছি- মানুষের অধিকার এবং সোনার দেশ সাংবাদিক গোষ্ঠী।

এটি কেবল একটি প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি আদর্শ, একটি আন্দোলন, একটি নবজাগরণের নাম। আমরা বিশ্বাস করি, কলমের শক্তি বন্দুকের গোলার চেয়েও প্রভাবশালী, যদি তা সত্য, ন্যায় ও মানবতার পক্ষে প্রয়োগ করা যায়।আমাদের এই পথচলায় আমরা পেয়েছি কিছু আলোকবর্তিকা স্বরূপ অ]িাবক, যাঁরা উচ্চচিন্তা, সুস্থ সংস্কৃতি ও নির্মল মানবিকতায় সমৃদ্ধ। তাঁদের দিকনির্দেশনা ও মমতাপূর্ণ সহচর্য আমাদের সামনে খুলে দিয়েছে সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত। “দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিকা ” সহ দেশের সকল পত্রিকা কেবল কাগজে ছাপা কিছু শব্দ নয়, বরং এটি কোটি মানুষের স্বপ্ন দাবীর অধিকার এবং প্রতিশ্রæত ভবিষ্যতের কথা বলে। আমরা প্রত্যয়ী সাংবাদিকতা হবে আমাদের মুক্তির পথ, মানবিক বিপ্লবের হাতিয়ার। সত্য, সাহস, সততা ও দায়িত্বশীলতার সেতু হয়ে সাংবাদিকরা দাঁড়াবেন জাতির প্রত্যাশার কেন্দ্রে। সেই সাংবাদিকতা হবে-আলোকিত, প্রাজ্ঞ, চিন্তাশীল, মানবিক ও দায়বদ্ধ। আজ সময় এসেছে, আমরা সবাই মিলে কলমকে করি শাণিত তরবারির মতো, যার এক পাশ সত্য প্রতিষ্ঠার আরেক পাশ দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রতীক। সময় এসেছে কলমের সিংহগর্জনে হানাহানি, বিভাজন আর অন্যায়ের মূলোৎপাটন করার।আসুন, আমরা একসাথে সেই দীপ্ত প্রতিজ্ঞায় শপথ নিই- মানবিক সাংবাদিকতা দিয়েই আমরা গড়ে তুলবো এক অবিকল সোনার বাংলা, যেখানে থাকবে না অন্ধকারের ঘনঘটা, থাকবে আলোর অনন্ত প্রভা।