১১:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম :

সন্দ্বীপ কলোনিতে আধিপত্য যুদ্ধে রক্তপাত: নিরীহ ব্যক্তিকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রচার, চাঁদাবাজি-মাদকের দখলদারি নিয়ে সংঘর্ষ, ভাইজানকে ঘিরে প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্য

  • প্রকাশিত ০৫:০৮:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
  • ১১১ বার দেখা হয়েছে

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সন্দ্বীপ কলোনিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাখাওয়াত ও সুমন গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত ৮ জুন গভীর রাতে সংঘটিত এই সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হয় আরিফ (১৬) নামে এক কিশোর, যিনি বর্তমানে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এলাকাটি চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, জায়গা দখল, গাছ কাটা ও নারী পাচারের মত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন রাতে সাখাওয়াত বাহিনী প্রতিপক্ষ সুমনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ৫ লক্ষ টাকা, ৬ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে ও বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর জবাবে সুমন গ্রুপ সিএনজি করে সাখাওয়াতের আড্ডাস্থলে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয় এবং একপর্যায়ে চার রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়।
গুলির শব্দে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিছু মসজিদে ‘ডাকাত পড়েছে’ বলে মাইকিং হলে স্থানীয় জনতা জড়ো হয় এবং সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ কিশোর আরিফ সাখাওয়াত গ্রুপের সক্রিয় সদস্য বলে জানা গেছে।
এদিকে, ঘটনার পর এক গোষ্ঠী সামাজিক মাধ্যমে এবং একটি স্থানীয় অনলাইন লাইভে দাবি করে, ভাইজান ওরফে বাচা নামের এক ব্যক্তি এই ঘটনার সাথে জড়িত। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।

বাচা প্রকাশ ভাইজান দৈনিক ভোরের পাতাকে জানান, তাঁর বাড়ি হাটহাজারীর গড়দুয়ারা ইউনিয়নে এবং বর্তমানে পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে বসবাস করছেন। সন্দীপ কলোনির সাথে তার কোনো পরিচয়, সংশ্লিষ্টতা বা যোগাযোগ নেই। এমনকি তিনি কখনো ঐ এলাকায় যাননি বলেও জানিয়েছেন। তিনি এই অপপ্রচারের নেপথ্যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চক্রান্ত রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন এবং বিষয়টির নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের বিচারের দাবি জানান।

স্থানীয় এলাকাবাসীরাও জানান, ভাইজান নামের কাউকে সন্দীপ কলোনিতে কখনো দেখেননি বা শোনেননি। হঠাৎ তার নাম এই ঘটনায় জড়ানোয় তারা বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ।
এলাকাবাসী প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে সন্দীপ কলোনিকে সন্ত্রাস ও অপরাধমুক্ত রাখা হোক।

Tag :
জনপ্রিয়

১৯জুলাই’২৫ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ বাস্তবায়নে তেজগাঁও থানা দক্ষিণ জামায়তের স্বাগত মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম :

সন্দ্বীপ কলোনিতে আধিপত্য যুদ্ধে রক্তপাত: নিরীহ ব্যক্তিকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রচার, চাঁদাবাজি-মাদকের দখলদারি নিয়ে সংঘর্ষ, ভাইজানকে ঘিরে প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্য

প্রকাশিত ০৫:০৮:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সন্দ্বীপ কলোনিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাখাওয়াত ও সুমন গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত ৮ জুন গভীর রাতে সংঘটিত এই সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হয় আরিফ (১৬) নামে এক কিশোর, যিনি বর্তমানে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এলাকাটি চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, জায়গা দখল, গাছ কাটা ও নারী পাচারের মত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন রাতে সাখাওয়াত বাহিনী প্রতিপক্ষ সুমনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ৫ লক্ষ টাকা, ৬ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে ও বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর জবাবে সুমন গ্রুপ সিএনজি করে সাখাওয়াতের আড্ডাস্থলে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয় এবং একপর্যায়ে চার রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়।
গুলির শব্দে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিছু মসজিদে ‘ডাকাত পড়েছে’ বলে মাইকিং হলে স্থানীয় জনতা জড়ো হয় এবং সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ কিশোর আরিফ সাখাওয়াত গ্রুপের সক্রিয় সদস্য বলে জানা গেছে।
এদিকে, ঘটনার পর এক গোষ্ঠী সামাজিক মাধ্যমে এবং একটি স্থানীয় অনলাইন লাইভে দাবি করে, ভাইজান ওরফে বাচা নামের এক ব্যক্তি এই ঘটনার সাথে জড়িত। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।

বাচা প্রকাশ ভাইজান দৈনিক ভোরের পাতাকে জানান, তাঁর বাড়ি হাটহাজারীর গড়দুয়ারা ইউনিয়নে এবং বর্তমানে পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে বসবাস করছেন। সন্দীপ কলোনির সাথে তার কোনো পরিচয়, সংশ্লিষ্টতা বা যোগাযোগ নেই। এমনকি তিনি কখনো ঐ এলাকায় যাননি বলেও জানিয়েছেন। তিনি এই অপপ্রচারের নেপথ্যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চক্রান্ত রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন এবং বিষয়টির নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের বিচারের দাবি জানান।

স্থানীয় এলাকাবাসীরাও জানান, ভাইজান নামের কাউকে সন্দীপ কলোনিতে কখনো দেখেননি বা শোনেননি। হঠাৎ তার নাম এই ঘটনায় জড়ানোয় তারা বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ।
এলাকাবাসী প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে সন্দীপ কলোনিকে সন্ত্রাস ও অপরাধমুক্ত রাখা হোক।