০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে ‘মার্চ ফর গাজা’: ফিলিস্তিনের জন্য হৃদয়ের প্রতিবাদ

  • প্রকাশিত ১২:০০:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭৪ বার দেখা হয়েছে

ঢাকা, ১২ এপ্রিল ২০২৫
গাজা যেন আর কেবল একটি ভূখণ্ড নয়—আজ তা হয়ে উঠেছে একটি বেদনার নাম, এক আর্তচিৎকারের প্রতিধ্বনি। এই আর্তনাদের পাশে দাঁড়াতে আজ বাংলাদেশের মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের নানা প্রান্তে পালিত হয়েছে ‘মার্চ ফর গাজা’। মুখে স্লোগান, হাতে ব্যানার, চোখে জল—সব মিলিয়ে যেন এক নিঃশব্দ কান্নার বহিঃপ্রকাশ।

ঢাকার শাহবাগ থেকে শুরু করে জাতীয় প্রেস ক্লাব, বায়তুল মোকাররম, ধানমন্ডি লেক, এমনকি ছোট শহরের মোড়েও মানুষের ঢল নেমেছিল। কেউ স্কুল থেকে ফিরে ইউনিফর্মেই চলে এসেছে, কেউ শিশুকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মানববন্ধনে। কারও হাতে ছিল ‘গাজা আমার ভাই’, কারও হাতে ‘ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধ করো’। অনেকেই ফিলিস্তিনের পতাকা জড়িয়ে মিছিল করেছেন, কেউ কেউ ‘কেফিয়ে’ পরে এসেছেন প্রতীকী সংহতির জন্য।

একজন বৃদ্ধা চোখ মুছতে মুছতে বললেন, “আমার নিজের কিছু নেই দেবার, তাই এই প্রতিবাদেই এসেছি। আমি চাই গাজার মানুষ শান্তিতে বাঁচুক।” এক তরুণ ছাত্রী বললেন, “যখন দেখলাম শিশুরা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যাচ্ছে, তখন চুপ থাকতে পারিনি। আজকে কণ্ঠটা তুলে ধরতেই এসেছি।”

ছাত্র সংগঠন, সামাজিক সংগঠন, নানা স্বেচ্ছাসেবী দল, এমনকি সাধারণ পথচারীরাও যেন এই কর্মসূচিতে একাত্ম হয়ে যান। কোনো দলীয় রং নেই, নেই কোনো রাজনৈতিক টানাপোড়েন—এ এক নিখাদ মানবতার চিত্র।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সারা দিন জুড়ে চলেছে #MarchForGaza, #SaveGaza, #StandWithPalestine হ্যাশট্যাগে পোস্ট, ছবি ও ভিডিওর বন্যা। কেউ একটি ছোট মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা করছেন, কেউ একটি কবিতা লিখে শেয়ার করছেন।

এই প্রতিবাদ ছিল শান্তিপূর্ণ, কিন্তু এর ভাষা ছিল খুব জোরালো। কারণ, এটি ছিল হৃদয়ের ভাষা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক মহলে যখন অনেকেই চুপ, তখন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের এই অবস্থান মানবতা ও ন্যায়ের পক্ষে এক শক্তিশালী বার্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Tag :
জনপ্রিয়

শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি হলেন খান মোহাম্মদ ফারাভী

বাংলাদেশে ‘মার্চ ফর গাজা’: ফিলিস্তিনের জন্য হৃদয়ের প্রতিবাদ

প্রকাশিত ১২:০০:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

ঢাকা, ১২ এপ্রিল ২০২৫
গাজা যেন আর কেবল একটি ভূখণ্ড নয়—আজ তা হয়ে উঠেছে একটি বেদনার নাম, এক আর্তচিৎকারের প্রতিধ্বনি। এই আর্তনাদের পাশে দাঁড়াতে আজ বাংলাদেশের মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের নানা প্রান্তে পালিত হয়েছে ‘মার্চ ফর গাজা’। মুখে স্লোগান, হাতে ব্যানার, চোখে জল—সব মিলিয়ে যেন এক নিঃশব্দ কান্নার বহিঃপ্রকাশ।

ঢাকার শাহবাগ থেকে শুরু করে জাতীয় প্রেস ক্লাব, বায়তুল মোকাররম, ধানমন্ডি লেক, এমনকি ছোট শহরের মোড়েও মানুষের ঢল নেমেছিল। কেউ স্কুল থেকে ফিরে ইউনিফর্মেই চলে এসেছে, কেউ শিশুকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মানববন্ধনে। কারও হাতে ছিল ‘গাজা আমার ভাই’, কারও হাতে ‘ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধ করো’। অনেকেই ফিলিস্তিনের পতাকা জড়িয়ে মিছিল করেছেন, কেউ কেউ ‘কেফিয়ে’ পরে এসেছেন প্রতীকী সংহতির জন্য।

একজন বৃদ্ধা চোখ মুছতে মুছতে বললেন, “আমার নিজের কিছু নেই দেবার, তাই এই প্রতিবাদেই এসেছি। আমি চাই গাজার মানুষ শান্তিতে বাঁচুক।” এক তরুণ ছাত্রী বললেন, “যখন দেখলাম শিশুরা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যাচ্ছে, তখন চুপ থাকতে পারিনি। আজকে কণ্ঠটা তুলে ধরতেই এসেছি।”

ছাত্র সংগঠন, সামাজিক সংগঠন, নানা স্বেচ্ছাসেবী দল, এমনকি সাধারণ পথচারীরাও যেন এই কর্মসূচিতে একাত্ম হয়ে যান। কোনো দলীয় রং নেই, নেই কোনো রাজনৈতিক টানাপোড়েন—এ এক নিখাদ মানবতার চিত্র।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সারা দিন জুড়ে চলেছে #MarchForGaza, #SaveGaza, #StandWithPalestine হ্যাশট্যাগে পোস্ট, ছবি ও ভিডিওর বন্যা। কেউ একটি ছোট মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা করছেন, কেউ একটি কবিতা লিখে শেয়ার করছেন।

এই প্রতিবাদ ছিল শান্তিপূর্ণ, কিন্তু এর ভাষা ছিল খুব জোরালো। কারণ, এটি ছিল হৃদয়ের ভাষা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক মহলে যখন অনেকেই চুপ, তখন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের এই অবস্থান মানবতা ও ন্যায়ের পক্ষে এক শক্তিশালী বার্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে।