০২:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এম.এইচ আকাশ মাহমুদ মোল্লা :

৬৪ টি জেলায় বেকারত্ব সমস্যা সমাধান হলে বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে

  • প্রকাশিত ০৩:০৮:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
  • ১৭৭ বার দেখা হয়েছে

২০২৫ সালের বাংলাদেশে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বেকারত্ব সমস্যা, যা দেশের ৬৪টি জেলার প্রতিটিতে কমবেশি বিদ্যমান এবং এই সমস্যাটি এখন জাতীয় উন্নয়নের ধারাকে ব্যাহত করছে। দেশের মোট কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ তরুণ, যারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পরও উপযুক্ত চাকরি না পেয়ে হতাশায় নিমজ্জিত হচ্ছে এবং অনেক সময় তারা দক্ষতা হারিয়ে সমাজের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য প্রতিটি জেলায় স্থানীয় সম্পদ ও চাহিদার ভিত্তিতে শিল্প, কৃষিভিত্তিক উদ্যোগ, কারিগরি প্রশিক্ষণ, তথ্যপ্রযুক্তি খাত, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা বিকাশ এবং ফ্রিল্যান্সিং সুযোগ তৈরি করা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজধানীকেন্দ্রিক কর্মসংস্থানের প্রবণতা রোধ করে প্রতিটি জেলায় আত্মনির্ভর কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা গেলে শুধু বেকারত্ব নয়, বরং অভ্যন্তরীণ অভিবাসন, নগরায়ণের চাপ, সামাজিক বৈষম্য ও দারিদ্র্য সমস্যারও টেকসই সমাধান সম্ভব। সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্পের সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হলে জেলা পর্যায়ে উদ্যোক্তা সহায়তা কেন্দ্র, নারী ও যুব প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, প্রযুক্তি নির্ভর কাজের পরিবেশ, ক্ষুদ্র শিল্প অঞ্চল, ডিজিটাল মার্কেট প্ল্যাটফর্ম এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ আবশ্যক। যদি প্রতিটি জেলা প্রশাসনের সক্রিয় অংশগ্রহণে বছরে অন্তত ১০ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা যায়, তবে সারাদেশে প্রায় ৬৪ লাখ মানুষের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে, যা দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়াতে, অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে এবং দীর্ঘমেয়াদি সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রভিত্তিক উন্নয়নের ধারণা থেকে সরে এসে প্রান্তিক জেলা ভিত্তিক কর্মসংস্থানমুখী উন্নয়নই হবে বাংলাদেশের জন্য টেকসই উন্নয়নের অন্যতম কার্যকর কৌশল, যা একদিকে জাতীয় উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং অন্যদিকে একটি সমতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের পথ সুগম করবে।

Tag :
জনপ্রিয়

৭ নং চরবানী পাকুরিয়া ইউনিয়ন কৃষক দল আয়োজিত বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ

এম.এইচ আকাশ মাহমুদ মোল্লা :

৬৪ টি জেলায় বেকারত্ব সমস্যা সমাধান হলে বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে

প্রকাশিত ০৩:০৮:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫

২০২৫ সালের বাংলাদেশে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বেকারত্ব সমস্যা, যা দেশের ৬৪টি জেলার প্রতিটিতে কমবেশি বিদ্যমান এবং এই সমস্যাটি এখন জাতীয় উন্নয়নের ধারাকে ব্যাহত করছে। দেশের মোট কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ তরুণ, যারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পরও উপযুক্ত চাকরি না পেয়ে হতাশায় নিমজ্জিত হচ্ছে এবং অনেক সময় তারা দক্ষতা হারিয়ে সমাজের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য প্রতিটি জেলায় স্থানীয় সম্পদ ও চাহিদার ভিত্তিতে শিল্প, কৃষিভিত্তিক উদ্যোগ, কারিগরি প্রশিক্ষণ, তথ্যপ্রযুক্তি খাত, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা বিকাশ এবং ফ্রিল্যান্সিং সুযোগ তৈরি করা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজধানীকেন্দ্রিক কর্মসংস্থানের প্রবণতা রোধ করে প্রতিটি জেলায় আত্মনির্ভর কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা গেলে শুধু বেকারত্ব নয়, বরং অভ্যন্তরীণ অভিবাসন, নগরায়ণের চাপ, সামাজিক বৈষম্য ও দারিদ্র্য সমস্যারও টেকসই সমাধান সম্ভব। সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্পের সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হলে জেলা পর্যায়ে উদ্যোক্তা সহায়তা কেন্দ্র, নারী ও যুব প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, প্রযুক্তি নির্ভর কাজের পরিবেশ, ক্ষুদ্র শিল্প অঞ্চল, ডিজিটাল মার্কেট প্ল্যাটফর্ম এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ আবশ্যক। যদি প্রতিটি জেলা প্রশাসনের সক্রিয় অংশগ্রহণে বছরে অন্তত ১০ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা যায়, তবে সারাদেশে প্রায় ৬৪ লাখ মানুষের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে, যা দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়াতে, অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে এবং দীর্ঘমেয়াদি সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রভিত্তিক উন্নয়নের ধারণা থেকে সরে এসে প্রান্তিক জেলা ভিত্তিক কর্মসংস্থানমুখী উন্নয়নই হবে বাংলাদেশের জন্য টেকসই উন্নয়নের অন্যতম কার্যকর কৌশল, যা একদিকে জাতীয় উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং অন্যদিকে একটি সমতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের পথ সুগম করবে।