১১:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হিলি ইমিগ্রেশনে কমেছে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার

  • প্রকাশিত ০৪:১৯:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • ২৪ বার দেখা হয়েছে

স্বদেশ বিচিত্রা প্রতিবেদক : ভিসা জটিলতায় দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে কমেছে ভ্রমণকারীদের চলাচাল কমেছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে শুরু হয় এই ভিসা জটিলতা। এর আগে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৬৫০ ভ্রমণকারী পারাপার হলেও বর্তমানে তা কমে ১৫০ থেকে ১৮০ জনে দাঁড়িয়েছে।

বর্তমানে যে ভ্রমণকারীরা চেকপোস্ট দিয়ে পারপার হচ্ছেন, তাদের কাছে রয়েছে হয় মেডিকেল, নাহয় স্টুডেন্ট ভিসা। টুরিস্ট ও বিজনেস ভিসা বন্ধ থাকায় কমেছে পারাপার, বলছেন ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।

বিজনেস ও টুরিস্ট ভিসা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারক এবং বিভিন্ন প্রয়োজনে ভারতে যেতে চাওয়া সাধারণ মানুষ।

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে বিপাকে পড়েছেন বন্দরের আমদানিকারকরা। এতে করে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে কমেছে পাসপোটধারী যাত্রী পারাপার। তবে যেসব ব্যবসায়ীদের বিজনেস ভিসার মেয়াদ এখনো আছে, তারাই শুধু যাতায়াত করতে পারছেন।

হিলির স্থানীয় রমেন বসাক বলেন, “ভারতে আমার অনেক আত্মীয়-স্বজন আছেন। টুরিস্ট ভিসা বন্ধ থাকায় তাদের সঙ্গে দেখা করতে ভারত যেতে পারছি না।”

কয়েকজন পাসপোর্টধারী স্টুডেন্ট বলছেন, আগে তাদের অভিভাবকরা টুরিস্ট ভিসা নিয়ে দেখা করতে যাওয়া-আসা করতেন। এখন ভিসা বন্ধ থাকায় তারা আর দেখা করতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে তাদেরই স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে বাবা-মাসহ আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক এসএম রেজা আহমেদ বিপুল বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ভারতের টুরিস্ট ও বিজনেস ভিসা বন্ধ থাকায় আমরা ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পড়েছি। ভারতীয় পণ্য মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও বা ছবি দেখে আমদানি করতে হচ্ছে। অনেক সময় আমদানি করা এসব পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে আমাদের।”

হিলি ইমিগ্রেশন ওসি আরিফুল ইসলাম বলেন, “ভিসা বন্ধ থাকার কারণে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বর্তমানে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার কমেছে। তবে যদি ভারত সরকার ভিসা ইস্যু করে তাহলে আবার যাত্রী পারাপার আগের মতো স্বাভাবিক হবে।”
স্বদেশ বিচিত্রা/এআর

Tag :
জনপ্রিয়

রংপুরে বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস পালিত

হিলি ইমিগ্রেশনে কমেছে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার

প্রকাশিত ০৪:১৯:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

স্বদেশ বিচিত্রা প্রতিবেদক : ভিসা জটিলতায় দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে কমেছে ভ্রমণকারীদের চলাচাল কমেছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে শুরু হয় এই ভিসা জটিলতা। এর আগে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৬৫০ ভ্রমণকারী পারাপার হলেও বর্তমানে তা কমে ১৫০ থেকে ১৮০ জনে দাঁড়িয়েছে।

বর্তমানে যে ভ্রমণকারীরা চেকপোস্ট দিয়ে পারপার হচ্ছেন, তাদের কাছে রয়েছে হয় মেডিকেল, নাহয় স্টুডেন্ট ভিসা। টুরিস্ট ও বিজনেস ভিসা বন্ধ থাকায় কমেছে পারাপার, বলছেন ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।

বিজনেস ও টুরিস্ট ভিসা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারক এবং বিভিন্ন প্রয়োজনে ভারতে যেতে চাওয়া সাধারণ মানুষ।

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে বিপাকে পড়েছেন বন্দরের আমদানিকারকরা। এতে করে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে কমেছে পাসপোটধারী যাত্রী পারাপার। তবে যেসব ব্যবসায়ীদের বিজনেস ভিসার মেয়াদ এখনো আছে, তারাই শুধু যাতায়াত করতে পারছেন।

হিলির স্থানীয় রমেন বসাক বলেন, “ভারতে আমার অনেক আত্মীয়-স্বজন আছেন। টুরিস্ট ভিসা বন্ধ থাকায় তাদের সঙ্গে দেখা করতে ভারত যেতে পারছি না।”

কয়েকজন পাসপোর্টধারী স্টুডেন্ট বলছেন, আগে তাদের অভিভাবকরা টুরিস্ট ভিসা নিয়ে দেখা করতে যাওয়া-আসা করতেন। এখন ভিসা বন্ধ থাকায় তারা আর দেখা করতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে তাদেরই স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে বাবা-মাসহ আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক এসএম রেজা আহমেদ বিপুল বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ভারতের টুরিস্ট ও বিজনেস ভিসা বন্ধ থাকায় আমরা ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পড়েছি। ভারতীয় পণ্য মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও বা ছবি দেখে আমদানি করতে হচ্ছে। অনেক সময় আমদানি করা এসব পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে আমাদের।”

হিলি ইমিগ্রেশন ওসি আরিফুল ইসলাম বলেন, “ভিসা বন্ধ থাকার কারণে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বর্তমানে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার কমেছে। তবে যদি ভারত সরকার ভিসা ইস্যু করে তাহলে আবার যাত্রী পারাপার আগের মতো স্বাভাবিক হবে।”
স্বদেশ বিচিত্রা/এআর