অদ্য ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শনিবার বেলা সাড়ে ১২ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সোনার বাংলা পার্টি কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি সোনার বাংলা পার্টি ‘র সভাপতি সৈয়দ হারুন – অর-রশীদ সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এইউজেড প্রিন্স এর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সোনার বাংলা পার্টি ‘র সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রেহেনা পারভিন, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সংগঠক ফরহাদ হোসেন প্রমূখ।
মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ হারুন – অর-রশীদ, ড. মোহাম্মদ ইউনুস সরকারের প্রতি উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা বাংলাদেশের জনগণের আশা- আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বেঈমানী করেছেন।বাংলাদেশের জনগণ ভোটের অধিকার, উন্নত রাজনীতি, জানমালের নিরাপত্তা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, আইন – শৃঙ্খলার উন্নতি ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র জনগণের হাতে তুলে দেওয়া ইত্যাদি ছিল জনগণের চাওয়া। কিন্তু সর্বক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. মোহাম্মদ ইউনুস ব্যর্থ হয়েছেন। শুধু তাই নয়, এই সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মধ্যে ফেলে দিয়েছেন। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অস্থিরতা, সহিংসতা, আইন শৃঙ্খলার অবনতি ও জনসম্মুখে মানুষ হত্যার রাজনীতি শুরু হয়েছে। অন্যভাবে আগ্রাসন, ফ্যাসিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, লুটপাট ও দুর্নীতি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র হুমকির সম্মুখীন। এমতাবস্থায় দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক শক্তির ঐক্য গড়ে তুলতে সোনার বাংলা পার্টি কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গত এক বছরে ৩০ লক্ষ মানুষ অতি দরিদ্র হয়েছেন, তার মধ্যে ২০ লক্ষ নারী অতি দরিদ্র হয়েছেন। দুর্নীতি করে একবছরে ৯৮ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। সোনার বাংলা পার্টি উদ্বেগ প্রকাশ করছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ৫৪ বছরে ২৮ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ড. মোহাম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম গড়ে তুলতে রাজনৈতিক দল ও দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান সৈয়দ হারুন -অর-রশীদ।
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস প্রতি বলেন, আপনারা বাংলাদেশে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন করতে পারবেন না। অবিলম্বে বাংলাদেশ রক্ষায় বাংলাদেশের সকল দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলের বৈঠক আহ্বান করেন এবং উক্ত সর্বদলীয় সভায় দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বদলীয় জাতীয় সরকার গঠন করে বাংলাদেশের জনগণ থেকে ক্ষমা চেয়ে আপনারা প্রায় সকলেই দৈত্য নাগরিক, তাই আপনাদের জীবন বাঁচাতে বিদেশে চলে যান।
প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূইয়া বলেন , এই সময়ে আমাদের প্রয়োজন ছিল, বাংলার মজলুম জননেতা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে। আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে হুংকার দেওয়ার ক্ষমতা ছিল একমাত্র মওলানা ভাসানীর।











