চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডে ১৫ জুলাই রোজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার সময় সীতাকুণ্ড বিএনপি’র প্রতিটা ইউনিয়ন এর পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান, অবস্থান কর্মসূচি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
অবৈধভাবে জবরদখল করে হওয়া অত্র ইউনিয়নের অবৈধ চেয়ারম্যান নিজ অপকর্মের কারণে গত ৫ই আগস্ট ২০২৪ ইং থেকে পালিয়ে গিয়ে জনগণকে সেবা থেকে বঞ্চিত করে চরম ভোগান্তিতে ফেলার প্রতিবাদে এবং সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে জনগণের সেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রত্যেকটা ইউনিয়ন এর সর্বস্তরের জনসাধারণের পক্ষ থেকে অবৈধ চেয়ারম্যান কে অপসারণের দাবিতে এই স্মারকলিপি প্রদান অবস্থান কর্মসূচি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় সীতাকুন্ড উপজেলা পরিষদের সামনে।
এই অবস্থান কর্মসূচি ও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি’র স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মোরসালিন,উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বিএনপি দলের চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক ছাত্রনেতা কাজী মোঃ সালাউদ্দিন, সীতাকুন্ড উপজেলা সাধারণ সদস্য সচিব কাজী মোঃ মহিউদ্দিন, সীতাকুন্ড উপজেলা সাবেক সদস্য সচিব চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সংগ্রামী সদস্য জহুরুল আমিন জহুর, সীতাকুন্ড পৌর বিএনপি’র সদস্য সচিব সালেহ আহমদ, সীতাকুন্ড উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন দুলাল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি আবুল মুনসুর, আরো উপস্থিত ছিলেন প্রত্যেকটা ইউনিয়ন থেকে আগত ১ থেকে ১০ নং ইউনিয়ন পর্যন্ত সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক,সাংগঠনিক সম্পাদকসহ আরো বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।১নং ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি কাজী এনামুল বারী, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আইনুজ্জামান সহ আরো অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।২ নং ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি জাফর ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন মাসুম সহ আরো অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।৪ নং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আকবর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার কামাল সহ আরো অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। ৫ নং ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত রাসেল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। ৬ নং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সালামত উল্লাহ সালাম,সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস মেম্বার, ২ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার সহ আরো অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। ৭ নং কুমিরা ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি ইদ্রিস মিয়া মনির, সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দোহা, ইব্রাহিম সহ আরো অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সোনাইছড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ দ্দৌলা, ৮ নং ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি নুরুল আলম চেয়ারম্যান,সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম।১০ নং সলিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম,সদস্য সচিব নাজিম উদ্দিন সহ আরো অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি’র স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মোঃ মুরসালিন বলেন, প্রত্যেকটা ইউনিয়নের অবৈধ চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে সরকারি প্রশাসন নিয়োগ করে প্রতিটি ইউনিয়নে যেহেতু জনগণ সেবা পায় সে ব্যবস্থা করার জন্যই আজ আমাদের এই মানববন্ধন কর্মসূচি। আমরা কিছুক্ষণ পরেই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে সরকারের কাছে আমাদের স্মারকলিপি প্রদান করব। আমরা আগামীকাল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে আমরা সরকারের কাছে এই স্মারকলিপি পৌঁছে দিব। এই সময় তিনি আরো বলেন ফেসিস্ট সরকার যেমন অবৈধ সরকার ঠিক তেমনি ভাবে প্রত্যেকটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরাও অবৈধ। যারা ভোট চোর ডাকাত তারা সব সময় সুযোগ বুঝে পালিয়ে যাবে সুতরাং ওই সরকারের আমলে যারা অবৈধভাবে বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হয়েছে তাদেরকে তাদের কার্যক্রম করার জন্য সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। পাঁচই আগস্টে রাজনৈতিক বিবর্তনের কারণে তারা পালিয়ে গিয়েছিল যেহেতু তারা চুরি করেছে ডাকাতি করেছে। তখন জনগণ সেবা পাওয়ার জন্য সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং এসিলেন্ট কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ইউনিয়ন পরিষদ গুলা ভাগ করে ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব পরিচালনা করার জন্য। গত মাসের ২৩ শে জুন একটি রিড করেছিল এই রিড দেওয়া হয়েছিল চেয়ারম্যানরা তাদের দায়িত্ব ফিরে পাওয়ার জন্য। হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল প্রত্যেকটা চেয়ারম্যান তাদের কার্যক্রম গুলো পরিচালনা করবে। আমরাও তাদের স্বাগতম জানিয়েছি যেহেতু জনগণ পুনরায় আবার তাদের সেবাগুলো পায়। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন চেয়ারম্যান এই রিড পাওয়ার পরও এলাকায় আসেনি। যার কারণে জনগণ তাদের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। একটি ইউনিয়ন পরিষদের অনেকগুলো কার্যক্রম রয়েছে।সেই কার্যক্রম যেন নির্বিঘ্নে পরিচালনা করতে পারে এবং জনগণ যেহেতু সেবা পায় সরকার যেন একটি প্রশাসন নিয়োগ করেন আর সরকারের পক্ষ থেকে একটি পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্ত আসুক পুনরায় ইউনিয়ন পরিষদ গুলা সচল হোক জনগণ সেবা পাক সেই কারণেই আজকের আমাদের এই মানববন্ধন কর্মসূচি। আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে সরকারকে আমাদের দাবিগুলো জানাতে এসেছি আপনাদের সকলকে সাথে নিয়ে আমরা ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি দিব। এবং আগামীকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়ে আমরা জনগণের দুঃখ দুর্দশার কথাগুলো জানাবো যেন সরকার মহোদয় একটি সিদ্ধান্ত নেন আমাদের প্রত্যেক জনগণ যেহেতু ইউনিয়ন পর্যায়ের সর্বোচ্চ সেবা পায়।