০৩:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫, ১৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন, সাতকানিয়া চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :

সাতকানিয়ায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে ধর্ষণে অভিযোগে বাবা আটক

  • প্রকাশিত ০৬:১৫:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৫৫ বার দেখা হয়েছে

চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নে ষষ্ঠ শ্রেণিপড়ুয়া নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবাকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ২০২৫ ইং সকালে উপজেলার কেরানীহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে অভিযুক্ত বাবাকে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম।

আটক মোহাম্মদ আলী (৪০) উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মনোহর চৌধুরী পাড়ার বাসিন্দা মৃত এমদাদ আলীর ছেলে।

এ ঘটনায় অভিযুক্তের স্ত্রী নাহিদা আক্তার বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন।

জানা যায়, গত ১০ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পেট ব্যথাসহ বমি হওয়ায় গত ২২ এপ্রিল তাকে অভিযুক্ত বাবা মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে উপজেলার কেরানীহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠান মা নাহিদা আক্তার। ওই সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাহিদাকে ফোন দিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বলেন। নাহিদা তাৎক্ষণিক হাসপাতালে গিয়ে দেখেন তার মেয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে।

তিনি চিকিৎসকের কাছে কি হয়েছে জানতে চাইলে চিকিৎসক জানান, তার মেয়ে গর্ভবতী। গর্ভবতী হওয়ার কারণে তার পেট ব্যথাসহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। পরে অভিযুক্ত বাবা মোহাম্মদ আলীর অনুরোধে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেয়েটির গর্ভপাত করান। এর পর নাহিদা তার মেয়েকে এ ঘটনাকে কে ঘটিয়েছে জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি রাত ১২ টার দিকে ও ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১ টার দিকে দু’দফায় তার শয়ন কক্ষে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন তারই বাবা মোহাম্মদ আলী।

এ ঘটনা কাউকে প্রকাশ করলে হত্যার হুমকিও দেন অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলী। পরে মেয়েটির মা নাহিদা আক্তার তার ভাই মো. নাজিম উদ্দিনকে ফোন দিয়ে হাসপাতালে ডেকে আনেন। এ সময় তারা ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলী ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে এ বিষয়ে কাউকে না জানানোর জন্য অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে মা ও আত্মীয়-স্বজন অভিযুক্তকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।

মা নাহিদা আক্তার বলেন, যে মানুষ নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করতে পারে সে কখনোই আমার স্বামী হতে পারে না। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

সাতকানিয়া থানার ওসি মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত বাবাকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।

Tag :
জনপ্রিয়

ভোলার দৌলতখানে ভবানীপুর ইউনিয়নে সরকার কর্তৃক গরীব অসহায়দের মাঝে রেশন কার্ডের চাল বিতরন

মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন, সাতকানিয়া চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :

সাতকানিয়ায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে ধর্ষণে অভিযোগে বাবা আটক

প্রকাশিত ০৬:১৫:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নে ষষ্ঠ শ্রেণিপড়ুয়া নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবাকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ২০২৫ ইং সকালে উপজেলার কেরানীহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে অভিযুক্ত বাবাকে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম।

আটক মোহাম্মদ আলী (৪০) উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মনোহর চৌধুরী পাড়ার বাসিন্দা মৃত এমদাদ আলীর ছেলে।

এ ঘটনায় অভিযুক্তের স্ত্রী নাহিদা আক্তার বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন।

জানা যায়, গত ১০ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পেট ব্যথাসহ বমি হওয়ায় গত ২২ এপ্রিল তাকে অভিযুক্ত বাবা মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে উপজেলার কেরানীহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠান মা নাহিদা আক্তার। ওই সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাহিদাকে ফোন দিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বলেন। নাহিদা তাৎক্ষণিক হাসপাতালে গিয়ে দেখেন তার মেয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে।

তিনি চিকিৎসকের কাছে কি হয়েছে জানতে চাইলে চিকিৎসক জানান, তার মেয়ে গর্ভবতী। গর্ভবতী হওয়ার কারণে তার পেট ব্যথাসহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। পরে অভিযুক্ত বাবা মোহাম্মদ আলীর অনুরোধে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেয়েটির গর্ভপাত করান। এর পর নাহিদা তার মেয়েকে এ ঘটনাকে কে ঘটিয়েছে জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি রাত ১২ টার দিকে ও ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১ টার দিকে দু’দফায় তার শয়ন কক্ষে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন তারই বাবা মোহাম্মদ আলী।

এ ঘটনা কাউকে প্রকাশ করলে হত্যার হুমকিও দেন অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলী। পরে মেয়েটির মা নাহিদা আক্তার তার ভাই মো. নাজিম উদ্দিনকে ফোন দিয়ে হাসপাতালে ডেকে আনেন। এ সময় তারা ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলী ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে এ বিষয়ে কাউকে না জানানোর জন্য অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে মা ও আত্মীয়-স্বজন অভিযুক্তকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।

মা নাহিদা আক্তার বলেন, যে মানুষ নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করতে পারে সে কখনোই আমার স্বামী হতে পারে না। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

সাতকানিয়া থানার ওসি মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত বাবাকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।