বাগেরহাট জেলার উপকূলীয় অঞ্চলে সরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি উক্ত উপজেলার মোট ১১০৪০০ জন জনসংখ্যার স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র সরকারি হাসপাতাল। সরনখোলা থেকে জেলা সদর বাগেরহাট এর দূরত্ব প্রায় ৯০ কিলোমিটার এবং খুলনা মেডিকেল কলেজের দূরত্ব প্রায় ১৫০শ কিলোমিটার হওয়ার ফলে এই বিশাল জনগোষ্ঠী তাদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটির উপর নির্ভরশীল ।এখানে গড়ে প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৩০০ থেকে ৪০০ জন রোগী সেবা নিতে আসে ।এছাড়া ৫০ থেকে ৭০ জন রোগী নিয়মিত ভর্তি থাকে।সরনখোলা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালটিতে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর জনবলের অভাবে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। জনবলের মধ্যে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ( রেডিও) মঞ্জুরীকৃত পদ ১ টি, মেডিকেল টেকনোলজি (ডেন্টাল) মঞ্জুরীকৃত পদ ১টি, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ফিজিও) মঞ্জুরীকৃত পদ ১টি থাকলেও এই পদে কোন জনবল নাই। ফার্মাসিস্ট মঞ্জুরীকৃত পদ ২টি থাকার কথা থাকলেও এই পদে কোন লোক নেই।, কম্পিউটার অপারেটর মঞ্জুরীকৃত পদ ১টি, পরিসংখ্যানবিদ মঞ্জুরীকৃত পদ ১টি থাকলেও এই পদে কোন জনবল নেই। জুনিয়র মেকানিক মঞ্জুরীকৃত পদ ১ টি এখানেও কোন জনবল নেই। অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মঞ্জুরীকৃত পদ ৩টি আছে ১জন। অফিস সহকারী কাম ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মঞ্জুরীকৃত পদ ১টি এখানে কোন জনবল নেই।নিরাপত্তা কর্মী মঞ্জুরীকৃত পদ ২টি আছে মাত্র ১জন। আয়া মঞ্জুরীকৃত পদ ২টিথাকলেও এ পদক কোন লোক নেই। কুক/মসালচী মঞ্জুরীকৃত পদ ২টি আছে মাত্র ১জন, ওয়ার্ড বয় ৩টি আছে মাত্র ১জন। পরিছন্নতা কর্মী মঞ্জুরীকৃত পদ ৫টি থাকলেও আছে মাত্র ১টি, মোট মঞ্জুরীকৃত পদ ২৯ টির অনুকূলে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর জনবল আছে মাত্র ৭ জন শূন্য পদ ২২ জন। ফলে হাসপাতালটির পরিচ্ছন্নতা সহ অন্যান্য সকল কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে। সার্ভিস বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও কর্মকর্তা ডাঃ প্রিয় গোপাল বিশ্বাস বলেন ,বিষয়টি নিয়ে আমি বিভিন্ন সময়ে সিভিল সার্জন অফিস সহ আমার ঊর্ধ্বতন ও কর্তৃপক্ষকে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানিয়েছি। পাশাপাশি ১৯৮১ সালের নির্মিত হাসপাতাল ভবনটি এখন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এছাড়া ভিতরে ডাক্তারদের থাকার কোয়ার্টার গুলির অবস্থা চরম খারাপ। ড্রেনেস ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়েছে কোনোরকম একটু বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে পুরো হাসপাতাল।
সরনখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুদীপ্ত কুমার সিংহের সাথে দুরবস্থা হাসপাতালের ড্রেনের ব্যবস্থাপনার দুরাবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে জানি, তারপর জানাবো।
সার্বিক বিষয়ে সিভিল সার্জন বাগেরহাট ডাঃ আ, স, ম, মোঃ মাহবুবুল আলম বলেন, একটি মামলার জন্য ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর জনবল নিয়োগ বাগেরহাটের জেলা উপজেলার হাসপাতালগুলোতে বন্ধ রয়েছে ফলে, একই চিত্র বাগেরহাটের সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে। আগামী ১২ ই জুলাই সচিব মহোদয় বাগেরহাট পরিদর্শনে আসবেন বিষয়টি কিভাবে দ্রুত নিষ্পত্তি করে জনবল নিয়োগ করা যায় এ বিষয়ে আমি যোগদানের পর থেকেই তৎপর আছি আশা করছি খুব দ্রুত এ সংকট সমাধান হবে।