১২:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকারি অর্থায়নে ৬ লেনের রাস্তা ও চীনের অর্থায়নে ১টি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের দাবি বরিশালবাসীর

  • প্রকাশিত ০৪:১৯:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • ৩ বার দেখা হয়েছে

স্বদেশ বিচিত্রা প্রতিবেদক : ২৮ এপ্রিল সোমবার সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি ভাঙ্গা হতে কুয়াকাটা পর্যন্ত ৬ লেনের রাস্তা নির্মাণ ও চীন সরকারের অর্থায়নে বরিশাল বিভাগে ১টি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণসহ বিভিন্ন দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন বরিশাল চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এবায়েদুল হক চান। দাবিগুলো নিম্নরূপ- ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত বিদ্যমান দুই লেনের মহাসড়ককে ছয় লেনের মহাসড়ক করতে হবে।

চীন সরকারের সহযোগিতায় যে তিন টি বিশেষায়িত হাসপাতাল বাংলাদেশে স্থাপিত হবে তার একটি হাসপাতাল বরিশাল বিভাগে স্থাপন করতে হবে। বিশেষ করে দক্ষিনাঞ্চলের সার্বিক জীবন-যাত্রার মান উন্নয়নে লক্ষ্যে ভাঙ্গা থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন করতে হবে। ভোলার সাথে সারা দেশের সড়ক পথে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বরিশাল-ভোলা সেতু নির্মাণ এবং ভোলার গ্যাস দক্ষিণাঞ্চলের সমস্ত জেলায় সরবরাহ করতে হবে। পটুয়াখালীর বগা নদীতে সেতু স্থাপন করতে হবে। বাবুগঞ্জ থেকে মুলাদী (ময়দানের হাটে) সেতু নির্মান করতে হবে। পাথঘাটা থেকে বরগুনা সদর (কাকচিড়ায়) সেতু নির্মাণ করতে হবে। দক্ষিণাঞ্চলে একটি আন্তর্জাতিক মানের ই.পি.জেড নির্মাণ করতে হবে। কুয়াকাটাকে আর্ন্তজাতিকমানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। ভ্যাট কমিশনারেট অফিস বরিশালে স্থাপন করতে হবে। পূর্ণাঙ্গ আয়কর আপিল আদালত বরিশালে স্থাপন করতে হবে। বিস্ফোরক অধিদপ্তরের পূর্নাঙ্গ বিভাগীয় অফিস বরিশালে স্থাপন করতে হবে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পূর্নাঙ্গ বিভাগীয় কার্যালয় বরিশালে স্থাপন করতে হবে।

আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর-এর বিভাগীয় অফিস বরিশালে স্থাপন করতে হবে। বাংলার শষ্যভান্ডার হিসেবে বিখ্যাত (প্রাক্তন বাকেরগঞ্জ জেলা) দক্ষিণাঞ্চলের পতিত-জমিতে কৃষকেরা প্রতিবছর যেন ৩টি করে ফসল চাষ করতে পারে সেই লক্ষ্যে আধুনিক সেচ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে এবং কৃষকদের পঞ্চাশ হাজার টাকা থেকে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা ৫% সুদে কৃষি ঋন প্রদান করতে হবে। বরগুনার কাকচিড়ার বড়ই-তলা নামক স্থানে নদী পারাপারের জন্য রো-রো ফেরীর ব্যবস্থা করতে হবে। আমতলী-বরগুনা সেতু নির্মান করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন বাবু, সাবেক সংসদ সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ, দেওয়ান আব্দুর রশিদ নিলু, দি পটুয়াখালী চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন, সাংবাদিক মোঃ মতিউর রহমান সরদার।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ একটি প্রকাশিত সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে অবগত হয়েছি যে, রোড এন্ড হাইওয়েজ এর প্রস্তাব অনুযায়ী ৬ (ছয়) লেনের কাজ ফরিদপুর থেকে শুরু করে শেষ হবে পায়রা বন্দর পর্যন্ত।

পায়রাবন্দর থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ২০-২৫ কি.মি কাজ তারা করবেন না। উক্ত ২০-২৫ কি.মি মধ্যে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মৎস্য মার্কেট (আলিপুর, মুহিপুরের অবস্থিত) এবং কুয়াকাটা পষ্টন কেন্দ্র অবস্থিত যা পৃথিবীর মধ্যে বিরলতম একটি। এখান থেকে সূর্য উদয় এবং সূর্যাস্থ দেখা যায়। আমাদের প্রস্তাব ভাঙ্গা-কুয়াকাটা একটি প্রকল্প এবং ভাঙ্গা-ফরিদপুর পর্যন্ত অন্য আরেকটি প্রকল্প নেয়া হোক তা না হলে আমরা দক্ষিণাঞ্চল বাসী আবারও অধিকার থেকে বঞ্চিত হব।
স্বদেশ বিচিত্রা/এআর

Tag :
জনপ্রিয়

যৌতুকের কাছে হেরে যাচ্ছে শাহিনার জীবন, হাসপাতালের বেডে শুয়ে গুনছে মৃত্যুর প্রহর

সরকারি অর্থায়নে ৬ লেনের রাস্তা ও চীনের অর্থায়নে ১টি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের দাবি বরিশালবাসীর

প্রকাশিত ০৪:১৯:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

স্বদেশ বিচিত্রা প্রতিবেদক : ২৮ এপ্রিল সোমবার সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি ভাঙ্গা হতে কুয়াকাটা পর্যন্ত ৬ লেনের রাস্তা নির্মাণ ও চীন সরকারের অর্থায়নে বরিশাল বিভাগে ১টি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণসহ বিভিন্ন দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন বরিশাল চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এবায়েদুল হক চান। দাবিগুলো নিম্নরূপ- ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত বিদ্যমান দুই লেনের মহাসড়ককে ছয় লেনের মহাসড়ক করতে হবে।

চীন সরকারের সহযোগিতায় যে তিন টি বিশেষায়িত হাসপাতাল বাংলাদেশে স্থাপিত হবে তার একটি হাসপাতাল বরিশাল বিভাগে স্থাপন করতে হবে। বিশেষ করে দক্ষিনাঞ্চলের সার্বিক জীবন-যাত্রার মান উন্নয়নে লক্ষ্যে ভাঙ্গা থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন করতে হবে। ভোলার সাথে সারা দেশের সড়ক পথে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বরিশাল-ভোলা সেতু নির্মাণ এবং ভোলার গ্যাস দক্ষিণাঞ্চলের সমস্ত জেলায় সরবরাহ করতে হবে। পটুয়াখালীর বগা নদীতে সেতু স্থাপন করতে হবে। বাবুগঞ্জ থেকে মুলাদী (ময়দানের হাটে) সেতু নির্মান করতে হবে। পাথঘাটা থেকে বরগুনা সদর (কাকচিড়ায়) সেতু নির্মাণ করতে হবে। দক্ষিণাঞ্চলে একটি আন্তর্জাতিক মানের ই.পি.জেড নির্মাণ করতে হবে। কুয়াকাটাকে আর্ন্তজাতিকমানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। ভ্যাট কমিশনারেট অফিস বরিশালে স্থাপন করতে হবে। পূর্ণাঙ্গ আয়কর আপিল আদালত বরিশালে স্থাপন করতে হবে। বিস্ফোরক অধিদপ্তরের পূর্নাঙ্গ বিভাগীয় অফিস বরিশালে স্থাপন করতে হবে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পূর্নাঙ্গ বিভাগীয় কার্যালয় বরিশালে স্থাপন করতে হবে।

আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর-এর বিভাগীয় অফিস বরিশালে স্থাপন করতে হবে। বাংলার শষ্যভান্ডার হিসেবে বিখ্যাত (প্রাক্তন বাকেরগঞ্জ জেলা) দক্ষিণাঞ্চলের পতিত-জমিতে কৃষকেরা প্রতিবছর যেন ৩টি করে ফসল চাষ করতে পারে সেই লক্ষ্যে আধুনিক সেচ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে এবং কৃষকদের পঞ্চাশ হাজার টাকা থেকে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা ৫% সুদে কৃষি ঋন প্রদান করতে হবে। বরগুনার কাকচিড়ার বড়ই-তলা নামক স্থানে নদী পারাপারের জন্য রো-রো ফেরীর ব্যবস্থা করতে হবে। আমতলী-বরগুনা সেতু নির্মান করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন বাবু, সাবেক সংসদ সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ, দেওয়ান আব্দুর রশিদ নিলু, দি পটুয়াখালী চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন, সাংবাদিক মোঃ মতিউর রহমান সরদার।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ একটি প্রকাশিত সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে অবগত হয়েছি যে, রোড এন্ড হাইওয়েজ এর প্রস্তাব অনুযায়ী ৬ (ছয়) লেনের কাজ ফরিদপুর থেকে শুরু করে শেষ হবে পায়রা বন্দর পর্যন্ত।

পায়রাবন্দর থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ২০-২৫ কি.মি কাজ তারা করবেন না। উক্ত ২০-২৫ কি.মি মধ্যে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মৎস্য মার্কেট (আলিপুর, মুহিপুরের অবস্থিত) এবং কুয়াকাটা পষ্টন কেন্দ্র অবস্থিত যা পৃথিবীর মধ্যে বিরলতম একটি। এখান থেকে সূর্য উদয় এবং সূর্যাস্থ দেখা যায়। আমাদের প্রস্তাব ভাঙ্গা-কুয়াকাটা একটি প্রকল্প এবং ভাঙ্গা-ফরিদপুর পর্যন্ত অন্য আরেকটি প্রকল্প নেয়া হোক তা না হলে আমরা দক্ষিণাঞ্চল বাসী আবারও অধিকার থেকে বঞ্চিত হব।
স্বদেশ বিচিত্রা/এআর