০৮:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মোঃ খাইরুল আলম বিপ্লব,  তারাগঞ্জ রংপুর প্রতিনিধি :

সংবাদ প্রকাশের জের ধরে তারাগঞ্জে সাংবাদিকে হুমকি দিলেন আবু সাঈদ হত্যামামলার আসামী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান

  • প্রকাশিত ০৩:৪৩:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭৫ বার দেখা হয়েছে

সংবাদ প্রকাশের জের ধরে ঈদগাহ মাঠে প্রকাশ্য হুমকি প্রদান করলেন আবু সাঈদ হত্যামামলার আসামী সাবেক উপজেলা চেয়াম্যান আনিছুর রহমান লিটন। এনিয়ে ৬জন কে আসামী করে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। লিখিত অভিযোগ সূত্রে ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় গত ১২/০২/২০২৫ইং তারিখে জাতীয় দৈনিক মানবজমিন ও চাঁদনীবাজার পত্রিকা সহ বিভিন্ন পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারাগঞ্জে অবৈধ ইট ভাটা ও স-মিলের রমরমা ব্যবসা শীর্ষক একটি প্রতিবেতন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর আনিছুর রহমান লিটন সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ বিভিন্ন লোক মারফত প্রতিবেদনটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। কিন্তু প্রতিবেদক এ বিষয়েটি কর্ণপাত না করে তার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। উক্ত সংবাদের জের ধরে প্রতিবেদক ঈদের দিন ইকরচালী কবরস্থান মাঠে সকাল ৯ ঘটিকায় ঈদের নামাজ পড়ার জন্য গেলে তিনি মাইকে প্রতিবেদককে সকল মুসুল্লির সামনে তাকে ধরে গণপিটুনী দিয়ে মেরে ফেলার জন্য মাইকে প্রচার করতে থাকেন। কিন্তু উপস্থিত মুসুল্লিগণের মধ্যে ইকরচালী ইউনিয়ের মজনু মাষ্টারের পুত্র প্রিন্স মাহমুদ, মধু মিয়ার পুত্র অহিদুল ইসলাম (অবৈধ্য স-মিলের মালিক), ও তার ভাই মনিরুল ইসলাম, নিজাম উদ্দিনের পুত্র দেলোয়ার হোসেন ও আনিছুল রহমান লিটনের চাচাত ভাই জিয়া উদ্দিন মুকুল লাঠিসোঠা নিয়ে প্রতিবেদককে এলোপাথারী মারধর করেন। এ নিয়ে তারাগঞ্জ থানায় ১টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইকরচালী ইউনিয়নের অধিবাসী গোলাম সারোয়ার শাহিন বলেন জ্বলাই হত্যাকান্ডের আসামী কিভাবে প্রকাশ্য ঘুরে বেরায় এবং ঈদগাহ মাঠে কিভাবে মাইকে সাংবিদকে হুকমী দেয়। তারাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ সাইদুল ইসলাম অভিযোগ পেয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে রংপুর পুলিশ সুপার আবু সায়েম বলেন ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ান জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

Tag :
জনপ্রিয়

কুমিল্লায় বৃষ্টির জমা পানিতে ডুবে মামা- ভাগনের মৃত্যু

মোঃ খাইরুল আলম বিপ্লব,  তারাগঞ্জ রংপুর প্রতিনিধি :

সংবাদ প্রকাশের জের ধরে তারাগঞ্জে সাংবাদিকে হুমকি দিলেন আবু সাঈদ হত্যামামলার আসামী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান

প্রকাশিত ০৩:৪৩:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

সংবাদ প্রকাশের জের ধরে ঈদগাহ মাঠে প্রকাশ্য হুমকি প্রদান করলেন আবু সাঈদ হত্যামামলার আসামী সাবেক উপজেলা চেয়াম্যান আনিছুর রহমান লিটন। এনিয়ে ৬জন কে আসামী করে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। লিখিত অভিযোগ সূত্রে ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় গত ১২/০২/২০২৫ইং তারিখে জাতীয় দৈনিক মানবজমিন ও চাঁদনীবাজার পত্রিকা সহ বিভিন্ন পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারাগঞ্জে অবৈধ ইট ভাটা ও স-মিলের রমরমা ব্যবসা শীর্ষক একটি প্রতিবেতন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর আনিছুর রহমান লিটন সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ বিভিন্ন লোক মারফত প্রতিবেদনটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। কিন্তু প্রতিবেদক এ বিষয়েটি কর্ণপাত না করে তার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। উক্ত সংবাদের জের ধরে প্রতিবেদক ঈদের দিন ইকরচালী কবরস্থান মাঠে সকাল ৯ ঘটিকায় ঈদের নামাজ পড়ার জন্য গেলে তিনি মাইকে প্রতিবেদককে সকল মুসুল্লির সামনে তাকে ধরে গণপিটুনী দিয়ে মেরে ফেলার জন্য মাইকে প্রচার করতে থাকেন। কিন্তু উপস্থিত মুসুল্লিগণের মধ্যে ইকরচালী ইউনিয়ের মজনু মাষ্টারের পুত্র প্রিন্স মাহমুদ, মধু মিয়ার পুত্র অহিদুল ইসলাম (অবৈধ্য স-মিলের মালিক), ও তার ভাই মনিরুল ইসলাম, নিজাম উদ্দিনের পুত্র দেলোয়ার হোসেন ও আনিছুল রহমান লিটনের চাচাত ভাই জিয়া উদ্দিন মুকুল লাঠিসোঠা নিয়ে প্রতিবেদককে এলোপাথারী মারধর করেন। এ নিয়ে তারাগঞ্জ থানায় ১টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইকরচালী ইউনিয়নের অধিবাসী গোলাম সারোয়ার শাহিন বলেন জ্বলাই হত্যাকান্ডের আসামী কিভাবে প্রকাশ্য ঘুরে বেরায় এবং ঈদগাহ মাঠে কিভাবে মাইকে সাংবিদকে হুকমী দেয়। তারাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ সাইদুল ইসলাম অভিযোগ পেয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে রংপুর পুলিশ সুপার আবু সায়েম বলেন ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ান জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।