০৯:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

শ্রমিক দল নেতা শেখ আহমদ আলী রানার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা: উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়রানির অভিযোগ

  • প্রকাশিত ০৭:৩৩:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
  • ৮ বার দেখা হয়েছে

রাজধানীর মহাখালী এলাকায় শ্রমিক দল নেতা ও সাবেক ছাত্রনেতা শেখ আহমদ আলী রানার বিরুদ্ধে এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মাধ্যমে মিথ্যা মামলা দায়ের হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মামলা নং-২৯,, আসামী – ৩৫৯, তারিখ-২২/০৪/৩০২৫ইং , কদমতলী থানা, ডিএমপি, ঢাকা। মামলার বাদী পারভেজ হোসেন, পিতা বাবুল ও মাতা হোসনে আরা বেগম – ঠিকানা গ্যাস রোড, কদমতলী, ঢাকা।

রানা ও তার ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, এটি একটি দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত শত্রুতার ফল এবং মামলার মাধ্যমে তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় ও হয়রানি করতেই এই অপতৎপরতা চালানো হয়েছে। মামলায় ঘটনাস্থল ও সময়ের তথ্য উপস্থাপন করা হলেও রানার নাম জোরপূর্বক জড়ানো হয়েছে। তিনি হচ্ছেন শ্রমিক দলের নেতা অথচ মামলায় তাকে যুবলীগ সদস্য বানানো হয়েছে।

রানা বলেন,
“এটি একটি চক্রান্ত। আমার রাজনৈতিক পরিচিতিকে ব্যবহার করে আমাকে সামাজিকভাবে অপমান করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি ইতোমধ্যে আইনি পরামর্শ নিয়েছি এবং মানহানির পাল্টা মামলা দায়ের করব।”

ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে একে ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দেন। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটনের আহ্বান জানান।

এ বিষয়ে স্থানীয় নেতা কর্মীরা বলেন-
“এই ধরনের মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ দায়ের করে একজন ত্যাগী নেতাকে ফাঁসানোর চেষ্টা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসাথে আওয়ামী লীগের সহযোগী কুচক্রী মহলকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে সর্বোচ্চ জীবনের ঝুকি নিয়ে শেখ আহমদ আলী রানা গুরুত্বপূর্ণ ও সাহসী ভূমিকা পালন করেন। তিনি রাজধানীর বাড্ডা-ভাটারা এলাকায় নেতৃত্ব দিয়ে রামপুরা থেকে কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত হাজারো জনতাকে সংগঠিত করেন। গণঅভ্যুত্থান চলাকালে রানা শুধু নিজেই নয়, তার সহধর্মিনীসহ রাজপথে সক্রিয় ছিলেন এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে,
“তিনি শুধু আন্দোলনের সংগঠক ছিলেন না, বরং সরাসরি রাজপথে থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তার নেতৃত্বে গণজাগরণ শক্তিশালী হয় এবং বহু মানুষ অনুপ্রাণিত হন।”

এই প্রতিবেদন থেকে স্পষ্ট—শেখ আহমদ আলী রানা একজন সাহসী, ত্যাগী ও আদর্শিক নেতা। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা রাজনৈতিক প্রতিহিংসারই বহিঃপ্রকাশ। নেতাকর্মীরা এখন প্রশাসনের কাছে দ্রুত এই মামলার তদন্ত করে নির্দোষ ব্যক্তিকে হয়রানির হাত থেকে রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন এবং
এইসব কুচক্রী মহল ও আওয়ামী লীগের দোসরদের গ্রেফতার ও আইনের আওয়ায় আনা হোক।

Tag :
জনপ্রিয়

শ্রমিক দল নেতা শেখ আহমদ আলী রানার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা: উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়রানির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

শ্রমিক দল নেতা শেখ আহমদ আলী রানার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা: উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়রানির অভিযোগ

প্রকাশিত ০৭:৩৩:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

রাজধানীর মহাখালী এলাকায় শ্রমিক দল নেতা ও সাবেক ছাত্রনেতা শেখ আহমদ আলী রানার বিরুদ্ধে এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মাধ্যমে মিথ্যা মামলা দায়ের হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মামলা নং-২৯,, আসামী – ৩৫৯, তারিখ-২২/০৪/৩০২৫ইং , কদমতলী থানা, ডিএমপি, ঢাকা। মামলার বাদী পারভেজ হোসেন, পিতা বাবুল ও মাতা হোসনে আরা বেগম – ঠিকানা গ্যাস রোড, কদমতলী, ঢাকা।

রানা ও তার ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, এটি একটি দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত শত্রুতার ফল এবং মামলার মাধ্যমে তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় ও হয়রানি করতেই এই অপতৎপরতা চালানো হয়েছে। মামলায় ঘটনাস্থল ও সময়ের তথ্য উপস্থাপন করা হলেও রানার নাম জোরপূর্বক জড়ানো হয়েছে। তিনি হচ্ছেন শ্রমিক দলের নেতা অথচ মামলায় তাকে যুবলীগ সদস্য বানানো হয়েছে।

রানা বলেন,
“এটি একটি চক্রান্ত। আমার রাজনৈতিক পরিচিতিকে ব্যবহার করে আমাকে সামাজিকভাবে অপমান করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি ইতোমধ্যে আইনি পরামর্শ নিয়েছি এবং মানহানির পাল্টা মামলা দায়ের করব।”

ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে একে ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দেন। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটনের আহ্বান জানান।

এ বিষয়ে স্থানীয় নেতা কর্মীরা বলেন-
“এই ধরনের মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ দায়ের করে একজন ত্যাগী নেতাকে ফাঁসানোর চেষ্টা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসাথে আওয়ামী লীগের সহযোগী কুচক্রী মহলকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে সর্বোচ্চ জীবনের ঝুকি নিয়ে শেখ আহমদ আলী রানা গুরুত্বপূর্ণ ও সাহসী ভূমিকা পালন করেন। তিনি রাজধানীর বাড্ডা-ভাটারা এলাকায় নেতৃত্ব দিয়ে রামপুরা থেকে কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত হাজারো জনতাকে সংগঠিত করেন। গণঅভ্যুত্থান চলাকালে রানা শুধু নিজেই নয়, তার সহধর্মিনীসহ রাজপথে সক্রিয় ছিলেন এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে,
“তিনি শুধু আন্দোলনের সংগঠক ছিলেন না, বরং সরাসরি রাজপথে থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তার নেতৃত্বে গণজাগরণ শক্তিশালী হয় এবং বহু মানুষ অনুপ্রাণিত হন।”

এই প্রতিবেদন থেকে স্পষ্ট—শেখ আহমদ আলী রানা একজন সাহসী, ত্যাগী ও আদর্শিক নেতা। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা রাজনৈতিক প্রতিহিংসারই বহিঃপ্রকাশ। নেতাকর্মীরা এখন প্রশাসনের কাছে দ্রুত এই মামলার তদন্ত করে নির্দোষ ব্যক্তিকে হয়রানির হাত থেকে রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন এবং
এইসব কুচক্রী মহল ও আওয়ামী লীগের দোসরদের গ্রেফতার ও আইনের আওয়ায় আনা হোক।