বিশেষ প্রতিনিধি : সোনালী বিকেলে জমকালো আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পালিত হল ‘শেরে-ই-বাংলা স্টার অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’। ‘শের-ই-বাংলা স্টার অ্যাওয়ার্ড’ সাধারণত শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্মৃতি রক্ষার্থে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য প্রদান করা হয়। এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে গবেষণামূলক ও তথ্যভিত্তিক ডকুমেন্টারি নির্মাতা ও সামাজিক কার্যক্রমও গুণীজন সংবর্ধনায় বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত হন বিশিষ্ট ব্যাংকার, লেখক, গবেষক, ফিল্ম মেকার ও সমাজ সংস্কারক রিফাত মাহমুদ সাকিব।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকাল ৫ʼ৩০ টায় নয়াপল্টনে অরন্টে (থ্রি ষ্টার) হোটেলের শেরে-ই-বাংলা সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে পালিত হল ‘শেরে-ই-বাংলা স্টার অ্যাওয়ার্ড – ২০২৫’।অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক বিচারপতি মীর হাশমত আলী (বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট)। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন মোঃ মোশাররফ হোসেন (সহকারী পরিচালক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়), উদ্ভাবক হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজি (চেয়ারম্যান, জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি)। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, আব্দুল মালেক (সাংবাদিক, দৈনিক যুগান্তর, শ্রীপুর,গাজীপুর), মোঃ শামছুল আলম (চেয়ারম্যান, আইন সহায়ক কেন্দ্র, মানবাধিকার ফাউন্ডেশন), ড. মোঃ আলমগীর হোসেন (চীফ এডভাইজার, লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল), মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ প্রিন্স, মনোয়ার হাসান জীবন (যুগ্ম আহবায়ক, আদাবর থানা, বিএনপি), বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভিত্তিক বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যাংকার, লেখক, গবেষক, ফিল্ম মেকার ও সমাজ সংস্কারক রিফাত মাহমুদ সাকিব। অনুষ্ঠানে সভাপতির বিশেষ বক্তব্য রাখেন সৈয়দ মার্গুব মুর্শেদ (সাবেক তথ্য সচিব ও চেয়ারম্যান, বি আর টি)।
বিশিষ্ট লেখক, গবেষক, ফিল্ম মেকার ও সমাজ সংস্কারক রিফাত মাহবুব সাকিব তার একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক এমন একজন ব্যক্তি যার সম্বন্ধে বলতে গেলেও যথেষ্ট পরিমাণ যোগ্যতার প্রয়োজন হয় যেটা আমার নেই। তিনি ছিলেন বাংলার বাঘ। শেরেবাংলা একে ফজলুল হক ঊনবিংশ শতাব্দীর একজন প্রভাবশালী ও প্রতিভাবান রাজনীতিবিদ এবং বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। কৃষি, শিক্ষা ও রাজনীতি তিনটি স্তরে ছিল তার সমান অবদান। একটি ভিন্ন ভাবে বলে শেরেবাংলা একে ফজলুল হক একজন বড় রাজনীতিবিদ ও নেতা ছিলেন, তার মত কিন্তু নেতা এখন আমরা আর বর্তমানে পাইনি বা তৈরি হয়নি। কিন্তু ভালো লেভেলের নেতা আমরা চাইলেই তৈরি করতে পারি। নেতা কিন্তু তৈরি হয় প্রথমে নিজের পরিবার থেকে, তারপরে সমাজের, তারপরে দেশের, অতঃপর সে বিখ্যাত হয় সারা পৃথিবীতে। পরিবার থেকে একজন ভালো নেতা তৈরি হতে গেলে পিতা-মাতার সহযোগিতা সর্বপ্রথম লাগবে। সন্তানের সামনে পিতা-মাতা কলহ করা যাবে না এবং পিতাকে অসম্মানজনক কথা বলা যাবে না যে কথা শুনে পিতা সন্তানের কাছে ছোট হয়ে যাবে। তাই পরিবারের পিতা কে সবসময় সন্তানের কাছে হিরো হিসেবে সংবর্ধন করেন এবং উপস্থাপন করেন তাহলে দেখবেন ভালো একজন নেতা হিসেবে সন্তান তৈরি হবে।
অনুষ্ঠান সমাজের প্রতিভাবান ও গুণী ব্যক্তিগণ বিশেষ ক্যাটাগরিতে ‘শেরে-ই-বাংলা স্টার অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ গ্রহনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।