০১:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  মোসা: বেবিয়ারা খাতুন। শিবগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি 

শিবগঞ্জে পদ্মার নদীর  ভাঙ্গনে বিলীন  ৭০টি বাড়ি,ঝুকিতে ১০০ পরিবার 

  • প্রকাশিত ০৯:০৪:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
  • ৯৬ বার দেখা হয়েছে

 চাঁপাইনবাবগঞ্জের  শিবগঞ্জে পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হলো ৭০ বাড়ি. সহ¯্রাধীক হাজার বিঘা জমি,আম বাগান,বাঁশ বাগান,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,মসজিদও গোরস্তান। আরো প্রায় এক শো পরিবার ঝুকির মধ্যে আছে। অসহায় পরিবারগুলো আর্থিক সংকটের কারণে খোলা আকাশের নীচে অনাহারে –অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। রবিবার  ও সোমবার সরজমিনে  দূর্লভপুর ও পাকা ইউনিয়নের ৭/৮ গ্রাম ঘ ুরে অসহায় পরিবার গুলোর সাথে কথা বলে ভয়াবহ চিত্র পাওযা গেছে। দূর্লভপুর ইউনিয়নের ঝাল পাড়া গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা আব্দুল খালেক জানান গত ২০ দিনে আমাদের গ্রামে ১৪টি বাড়ি,একটি মসজিদ ও প্রায় চার শো বিঘা ফসলি জমি ও গত তিন  বছরে প্রায় ৬০ টি বাড়ি ও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এক হাজার বিঘা ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।

 পন্ডিত পাড়ার তোহরুল ইসলাম জানান আমরা পাঁচ ভাইসহ মোট ১০টি পরিবার  নদীর তীর ঘেষে খোলা আকাশের নীচে বাস করছি। ঘরগুলো কিছুটা দূরে সরিযে রেখেছি।  কিন্তু কোন উপায় নেই কোথাও যাবার। তিনি আরো জানান এ বছরে শুধু পন্ডিত পাড়ার প্রায় ১৫টি বাড়ি  বিলীন হয়েছে। গত চার বছরে এ গ্রামে  ৬০টি বাড়ি,প্রায় দেড় হাজার বিঘা জমি, একটি জামে মসজিদ সহ আম বাগান সহ সব কিছু বিলীন হয়ে গেছে। বাদশাহ পাড়া গ্রামের বাবুল উ্িদ্দন জানান এবার দিয়ে চারবার ভাঙ্গনের কবলে পড়লাম। ্। ৩০বিঘা জমি ছিল, আম বাগান ছিল,গরু ছাগল ছিল। সব শেষ হয়ে গেছে। এখন আমি নি:স্ব। তিনি বলেন এ গত ২০দিনে  বাদশাহ পাড়ার ১৫টি বাড়ি বিলীন হয়েছে। তিনি আরো জানানা গত চার বছরে এ গ্রামে প্রায় ৩০০টি বাড়ি, দুইটা জামে মসজিদ,দুইটা প্রাইমারী স্কুল,দুইটি ওয়াক্তিয়া মসজিদ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ৮০ বছরের মুরব্বী সোহবার হোসেন জানান,এবার দিযে পাঁচবার ভাঙ্গনের কবল�

Tag :
জনপ্রিয়

বিশ্ব বাঙালি সংসদের নতুন কমিটি গঠনে সার্চ কমিটি গঠিত

  মোসা: বেবিয়ারা খাতুন। শিবগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি 

শিবগঞ্জে পদ্মার নদীর  ভাঙ্গনে বিলীন  ৭০টি বাড়ি,ঝুকিতে ১০০ পরিবার 

প্রকাশিত ০৯:০৪:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

 চাঁপাইনবাবগঞ্জের  শিবগঞ্জে পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হলো ৭০ বাড়ি. সহ¯্রাধীক হাজার বিঘা জমি,আম বাগান,বাঁশ বাগান,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,মসজিদও গোরস্তান। আরো প্রায় এক শো পরিবার ঝুকির মধ্যে আছে। অসহায় পরিবারগুলো আর্থিক সংকটের কারণে খোলা আকাশের নীচে অনাহারে –অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। রবিবার  ও সোমবার সরজমিনে  দূর্লভপুর ও পাকা ইউনিয়নের ৭/৮ গ্রাম ঘ ুরে অসহায় পরিবার গুলোর সাথে কথা বলে ভয়াবহ চিত্র পাওযা গেছে। দূর্লভপুর ইউনিয়নের ঝাল পাড়া গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা আব্দুল খালেক জানান গত ২০ দিনে আমাদের গ্রামে ১৪টি বাড়ি,একটি মসজিদ ও প্রায় চার শো বিঘা ফসলি জমি ও গত তিন  বছরে প্রায় ৬০ টি বাড়ি ও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এক হাজার বিঘা ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।

 পন্ডিত পাড়ার তোহরুল ইসলাম জানান আমরা পাঁচ ভাইসহ মোট ১০টি পরিবার  নদীর তীর ঘেষে খোলা আকাশের নীচে বাস করছি। ঘরগুলো কিছুটা দূরে সরিযে রেখেছি।  কিন্তু কোন উপায় নেই কোথাও যাবার। তিনি আরো জানান এ বছরে শুধু পন্ডিত পাড়ার প্রায় ১৫টি বাড়ি  বিলীন হয়েছে। গত চার বছরে এ গ্রামে  ৬০টি বাড়ি,প্রায় দেড় হাজার বিঘা জমি, একটি জামে মসজিদ সহ আম বাগান সহ সব কিছু বিলীন হয়ে গেছে। বাদশাহ পাড়া গ্রামের বাবুল উ্িদ্দন জানান এবার দিয়ে চারবার ভাঙ্গনের কবলে পড়লাম। ্। ৩০বিঘা জমি ছিল, আম বাগান ছিল,গরু ছাগল ছিল। সব শেষ হয়ে গেছে। এখন আমি নি:স্ব। তিনি বলেন এ গত ২০দিনে  বাদশাহ পাড়ার ১৫টি বাড়ি বিলীন হয়েছে। তিনি আরো জানানা গত চার বছরে এ গ্রামে প্রায় ৩০০টি বাড়ি, দুইটা জামে মসজিদ,দুইটা প্রাইমারী স্কুল,দুইটি ওয়াক্তিয়া মসজিদ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ৮০ বছরের মুরব্বী সোহবার হোসেন জানান,এবার দিযে পাঁচবার ভাঙ্গনের কবল�