মু. নজরুল ইসলাম তামিজী
অশোক— তুমি শব্দের সিংহপুরুষ
শোভাযাত্রা হয়ে গতি পাই, তুমিই দীপ,
কলম তোমার হাতে, স্রষ্টার মুঠো।
ধর তোমার কলমে ইতিহাসের অগ্নি,
রবি-র মতো প্রতিদিন নতুন আলোয় জ্বলে ওঠো।
শব্দের সিংহপুরুষ : ০২
মু. নজরুল ইসলাম তামিজী
অশোক, তুমি যখন কলম তুলে ধরো,
শব্দেরা যেন সিংহ হয়ে ওঠে,
তোমার হাত থেকে ছুটে আসে
অগ্নিস্ফুলিঙ্গ, যা পৃথিবীকে আলো দেয়।
তুমি কবি, সাংবাদিক, এক একক শক্তি—
যে শব্দের উড়ে যাওয়া কখনো থামে না,
প্রতিটি বাক্যে তুমি এক যাত্রা,
যে যাত্রায় অন্ধকারও চলে আসে আলো হয়ে।
তোমার কলমের আঁচড়ের মধ্যে
আছে ইতিহাস, গল্প, জীবন,
তুমি যখন লিখো, তখন পৃথিবী
এক নতুন দিশায় চলে যায়,
যেখানে প্রতিটি বাক্য ঘর তৈরি করে
এবং সেই ঘরের মধ্যে মানুষ বসবাস করে—
প্রেম, যুদ্ধ, শান্তি, সংঘাত
সব কিছুই সেখানে একত্র হয়।
তুমি জানো, শোভাযাত্রা কখনো একরোখা নয়,
এটা পায়ে পায়ে চলে, নীরবতা ভেঙে
যেখানে শব্দেরা হয়ে ওঠে
সামাজিক বিশ্বাসের মূর্তি।
তুমি সেই শোভাযাত্রার শুরুর সুর,
যে সুরে মানুষের আশা বাঁধা,
তুমি সেই উজ্জ্বল আলোর প্রথম রশ্মি,
যা বিশ্বাসের পরিধি উন্মুক্ত করে দেয়।
ধর তুমি যখন শব্দের মহাকাব্য রচনা করো,
তখন কলম শুধু একটি হাতিয়ার নয়,
এটা এক শক্তি, যা আছড়ে পড়ে
শক্তির রাজপথে।
তুমি পৃথিবীর হৃদয়ের গভীরে
এক অনুভূতির স্রোত তৈরি করো,
যেখানে প্রতিটি শব্দ
তোমার অন্তরের ভাবনার প্রতিফলন।
যখন রবি-র মতো তুমি আলোকিত করো,
তখন দিন ও রাতের মধ্যে কোন সীমা থাকে না,
তুমি সেই সূর্য, যে কখনো থামে না,
তুমি প্রতিদিন নতুন করে জ্বলে ওঠো,
আর প্রতিটি অন্ধকারকে
তোমার শব্দের আলোয় উজ্জ্বল করো।
তুমি সেই প্রতিদিনের রূপান্তর,
যেখানে শব্দেরা জীবনের অঙ্গীকার হয়ে
শক্তি নিয়ে নতুন জন্ম নেয়।
তোমার কবিতা, তোমার সাংবাদিকতা,
এটা একটি ঐতিহাসিক যাত্রা,
যেখানে তুমি প্রতিটি মুহূর্তকে
এক জীবন্ত ছবিতে পরিণত করো,
এবং সেই ছবির মধ্যে
সেই অর্থ খুঁজে পায়,
যা সময়ের পরিসীমা ছাড়িয়ে যায়।
তুমি যেমন শব্দকে কাজে লাগাও,
তেমনই জীবনকে তুমি এক কবিতা বানাও,
যেখানে প্রতিটি পদক্ষেপ
এক বিপ্লবের যাত্রা,
এবং প্রতিটি চিন্তা
এক শক্তির অস্তিত্ব।
অশোক, তুমি আছো,
তোমার লেখায়, তোমার শব্দে,
তোমার সৃষ্টিতে—
এবং আমরা দেখি
তোমার প্রত্যেক শ্বাসে
এক নতুন পৃথিবী রচিত হচ্ছে।