১০:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
কোর্ট রিপোর্টার

লাশবাহী গাড়িতে খাদ্যদ্রব্য বিক্রি প্রাণিসম্পদের ডিজিসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে রুল ও তদন্তের নির্দেশ

  • প্রকাশিত ০২:২২:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
  • ১৫ বার দেখা হয়েছে

রমজানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর লাশের গাড়িতে দুধ মাংস ও ডিম বিক্রি করায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছে উচ্চ আদালত একই সাথে আগামী ২৬ আগস্টের মধ্যে এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট কোর্ট। সৈয়দ দেলোয়ার হোসেন নামের একজন সিনিয়র সাংবাদিক জণস্বার্থে উচ্চ আদালতে এই রীট পিটিশনটি দায়ের করেন। যার রীট নং -৮৪৬০/২০২৫। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ৪নং এনএক্স কোর্টে পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন জনিত রীট মামলাটি হাইকোর্টের বিভাগের বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুল নাহার সিদ্দিকার দ্বৈত বেঞ্চে গত ২৫ মে রবিবার
শুনানি করা হয় । এসময় বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোঃ তাজুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট গৌড় চন্দ্র কর মামলার শুনানী করেন। এ সময় আইনজীবী প্যানেলের অন্যান্যদের মধ্যে শুনানির সময় অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন খান সম্রাট, এডভোকেট মোঃ মিজানুর রহমান, এডভোকেট মোঃ শাহিন হোসেন সরকার, এ্যাডভোকেট জাহিদ আমিন, এডভোকেট মোঃ হেমায়েত উদ্দিন, অ্যাডভোকেট সাকিব শাহরিয়ার আদলতে উপস্থিত ছিলে ।

এর আগে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে গেলো পবিত্র রমযান উপলক্ষে মাস জুড়ে লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে রাজধানীর ২৫টি পয়েন্টে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খাদ্য অনুপযোগী দুধ, ডিম , গরুর মাংস ও ড্রেসড ব্রয়লার বিক্রি কার্যক্রম পরিচালনা করে । অনেক জায়গায় খাদ্য অনুপোযোগী মাংস বিক্রি করার অভিযোগে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধম্যেও ছড়িয়ে পড়ে ।

উল্লেখিত বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অপরিপক্কতা এবং উদাসীনতায় রমজানে ধর্মভীরু ও স্বল্প আয়ের মুসলমানদের ইমোশন নিয়ে প্রতারণা করে । যে কারণে লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে স্টিকার লাগিয়ে অস্বাস্থ্যকর ও অপ্রীতিকর জেনেও খাদ্য‌দ্রব্য বিক্রি কার্যক্রম চালায় । যা জনস্বার্থে অত্যন্ত অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। উক্ত বিষটি গত ৩০ মার্চ দৈনিক দেশের কন্ঠসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে সমালোচনার ঝড় ওঠলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় নীরব থাকে।

এ ধরনের দায়িত্বহীনতার কারণে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের শাস্তির দাবি করে সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ দেলোয়ার হোসেন উচ্চ আদালতে রিট মামলার মাধ্যমে বিষয়টি উপস্থাপন করেন।

কেবল দায়িত্বহীনতা নয় বরং বিগত স্বৈরাচার সরকারের নির্ধারিত ঠিকাদার কর্তৃক দরপত্র আহ্বান ছাড়াই বংশীয় গরু কাণ্ডের জনৈক ইমরানের ঘনিষ্ঠ লোক মাফুজকে দিয়ে ডিজি নিজেই এই কার্যক্রমের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা লোপাট করে বলেও জানা যায়। যেটা সঠিকভাবে তদন্ত করলেই সত্যতা মিলবে। টাকা বাঁচানোর হীন উদ্দেশ্যে লাশের গাড়ীতে ঠিক লাশ রাখার জায়গায় মানুষের খাদ্য হিসেবে কাঁচা মাংস সংরক্ষণ ও বিপণনের বিষয়টি বিষ্ময়কর ও অভিনব। জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নিষ্ক্রিয়তা মামলার বাদীসহ অন্যান্য সকলকে হতাশ করেছে।

Tag :
জনপ্রিয়

শোটাইম মিউজিক এন্ড প্লের সফল নৌ-বহর অনুষ্ঠিত

কোর্ট রিপোর্টার

লাশবাহী গাড়িতে খাদ্যদ্রব্য বিক্রি প্রাণিসম্পদের ডিজিসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে রুল ও তদন্তের নির্দেশ

প্রকাশিত ০২:২২:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

রমজানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর লাশের গাড়িতে দুধ মাংস ও ডিম বিক্রি করায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছে উচ্চ আদালত একই সাথে আগামী ২৬ আগস্টের মধ্যে এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট কোর্ট। সৈয়দ দেলোয়ার হোসেন নামের একজন সিনিয়র সাংবাদিক জণস্বার্থে উচ্চ আদালতে এই রীট পিটিশনটি দায়ের করেন। যার রীট নং -৮৪৬০/২০২৫। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ৪নং এনএক্স কোর্টে পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন জনিত রীট মামলাটি হাইকোর্টের বিভাগের বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুল নাহার সিদ্দিকার দ্বৈত বেঞ্চে গত ২৫ মে রবিবার
শুনানি করা হয় । এসময় বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোঃ তাজুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট গৌড় চন্দ্র কর মামলার শুনানী করেন। এ সময় আইনজীবী প্যানেলের অন্যান্যদের মধ্যে শুনানির সময় অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন খান সম্রাট, এডভোকেট মোঃ মিজানুর রহমান, এডভোকেট মোঃ শাহিন হোসেন সরকার, এ্যাডভোকেট জাহিদ আমিন, এডভোকেট মোঃ হেমায়েত উদ্দিন, অ্যাডভোকেট সাকিব শাহরিয়ার আদলতে উপস্থিত ছিলে ।

এর আগে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে গেলো পবিত্র রমযান উপলক্ষে মাস জুড়ে লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে রাজধানীর ২৫টি পয়েন্টে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খাদ্য অনুপযোগী দুধ, ডিম , গরুর মাংস ও ড্রেসড ব্রয়লার বিক্রি কার্যক্রম পরিচালনা করে । অনেক জায়গায় খাদ্য অনুপোযোগী মাংস বিক্রি করার অভিযোগে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধম্যেও ছড়িয়ে পড়ে ।

উল্লেখিত বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অপরিপক্কতা এবং উদাসীনতায় রমজানে ধর্মভীরু ও স্বল্প আয়ের মুসলমানদের ইমোশন নিয়ে প্রতারণা করে । যে কারণে লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে স্টিকার লাগিয়ে অস্বাস্থ্যকর ও অপ্রীতিকর জেনেও খাদ্য‌দ্রব্য বিক্রি কার্যক্রম চালায় । যা জনস্বার্থে অত্যন্ত অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। উক্ত বিষটি গত ৩০ মার্চ দৈনিক দেশের কন্ঠসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে সমালোচনার ঝড় ওঠলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় নীরব থাকে।

এ ধরনের দায়িত্বহীনতার কারণে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের শাস্তির দাবি করে সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ দেলোয়ার হোসেন উচ্চ আদালতে রিট মামলার মাধ্যমে বিষয়টি উপস্থাপন করেন।

কেবল দায়িত্বহীনতা নয় বরং বিগত স্বৈরাচার সরকারের নির্ধারিত ঠিকাদার কর্তৃক দরপত্র আহ্বান ছাড়াই বংশীয় গরু কাণ্ডের জনৈক ইমরানের ঘনিষ্ঠ লোক মাফুজকে দিয়ে ডিজি নিজেই এই কার্যক্রমের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা লোপাট করে বলেও জানা যায়। যেটা সঠিকভাবে তদন্ত করলেই সত্যতা মিলবে। টাকা বাঁচানোর হীন উদ্দেশ্যে লাশের গাড়ীতে ঠিক লাশ রাখার জায়গায় মানুষের খাদ্য হিসেবে কাঁচা মাংস সংরক্ষণ ও বিপণনের বিষয়টি বিষ্ময়কর ও অভিনব। জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নিষ্ক্রিয়তা মামলার বাদীসহ অন্যান্য সকলকে হতাশ করেছে।