০৮:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এম আর জয় (স্টাফ রিপোর্টার) :

লটারীর লোভে সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন সৈয়দপুর-বাসী

  • প্রকাশিত ১২:৫৯:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫
  • ১৬৩ বার দেখা হয়েছে

নীলফামারীর সৈয়দপুরে ক্যান্টনমেন্টের ফেয়ার পার্কে চলমান ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা এখন শহরের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। তবে মেলার মূল উদ্দেশ্য শিল্পপণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি হলেও, লটারী বানিজ্যের নামে এখানে গড়ে উঠেছে রমরমা ব্যবসা যা এক প্রকার অর্থ-খেকো সিন্ডিকেট।

স্থানীয়দের অভিযোগ—লটারীর প্রলোভনে পড়ে এলাকার শিশু থেকে বৃদ্ধ বহু মানুষ তাদের কষ্টার্জিত টাকা হারাচ্ছেন। ২০ টাকা থেকে শুরু করে কয়েক’শত বা কয়েক হাজার টাকার পর্যন্ত লটারীর টিকিট কিনে অনেকেই কিছু না পেয়ে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ ধরনের লটারী বানিজ্য শুধু সাধারণ ক্রেতাদের প্রতারিত করছে না, বরং মেলার সুনামও নষ্ট করছে। মেলার আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে বিষয়টি স্বীকার না করলেও, শহরের সচেতন মহল দাবি তুলেছে—এখনই এই লটারী ব্যবসা বন্ধ করতে হবে।

একজন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন—আমরা মেলায় পণ্য কিনতে আসি, কিন্তু এখানে লটারীর নামে লোক ঠকানোর খেলা চলছে। প্রশাসনের এখনই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

শহরের সামাজিক সংগঠনগুলো প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে, যাতে ভবিষ্যতে মেলা হয় সত্যিকার অর্থে শিল্প ও সংস্কৃতির প্রদর্শনী, আর্থিক প্রতারণার কেন্দ্র নয়।

বেশ কয়েকবার মানববন্ধন করেও কোনো প্রতিকার পাননি স্থানীয় জনগন,নিরব ভূমিকায় স্থানীয় ও জেলা প্রশাসন।

Tag :
জনপ্রিয়

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে অনশন ভঙ্গ ১৮ তম নিবন্ধন প্রত্যাশীরা

এম আর জয় (স্টাফ রিপোর্টার) :

লটারীর লোভে সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন সৈয়দপুর-বাসী

প্রকাশিত ১২:৫৯:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

নীলফামারীর সৈয়দপুরে ক্যান্টনমেন্টের ফেয়ার পার্কে চলমান ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা এখন শহরের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। তবে মেলার মূল উদ্দেশ্য শিল্পপণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি হলেও, লটারী বানিজ্যের নামে এখানে গড়ে উঠেছে রমরমা ব্যবসা যা এক প্রকার অর্থ-খেকো সিন্ডিকেট।

স্থানীয়দের অভিযোগ—লটারীর প্রলোভনে পড়ে এলাকার শিশু থেকে বৃদ্ধ বহু মানুষ তাদের কষ্টার্জিত টাকা হারাচ্ছেন। ২০ টাকা থেকে শুরু করে কয়েক’শত বা কয়েক হাজার টাকার পর্যন্ত লটারীর টিকিট কিনে অনেকেই কিছু না পেয়ে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ ধরনের লটারী বানিজ্য শুধু সাধারণ ক্রেতাদের প্রতারিত করছে না, বরং মেলার সুনামও নষ্ট করছে। মেলার আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে বিষয়টি স্বীকার না করলেও, শহরের সচেতন মহল দাবি তুলেছে—এখনই এই লটারী ব্যবসা বন্ধ করতে হবে।

একজন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন—আমরা মেলায় পণ্য কিনতে আসি, কিন্তু এখানে লটারীর নামে লোক ঠকানোর খেলা চলছে। প্রশাসনের এখনই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

শহরের সামাজিক সংগঠনগুলো প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে, যাতে ভবিষ্যতে মেলা হয় সত্যিকার অর্থে শিল্প ও সংস্কৃতির প্রদর্শনী, আর্থিক প্রতারণার কেন্দ্র নয়।

বেশ কয়েকবার মানববন্ধন করেও কোনো প্রতিকার পাননি স্থানীয় জনগন,নিরব ভূমিকায় স্থানীয় ও জেলা প্রশাসন।