০৫:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
স্টাফ রিপোর্টার ঃ

রুপগঞ্জে নান্নু গার্মেন্টসে হাঁটু পরিমাণ পানি, সড়ক নির্মাণে অব্যবস্থাপনা

  • প্রকাশিত ০৪:২৯:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫
  • ৩৪ বার দেখা হয়েছে

ঢাকা সিলেট মহাসড়ক নির্মাণে অব্যবস্থাপনায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভুলতায় অবস্থিত নান্নু অ্যাপারেলস এন্ড টেক্সটাইল এর ভিতরে হাটু সমান বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে ফ্যাক্টরিতে উপস্থিত হয়ে । এছাড়া উক্ত এলাকায় বিভিন্ন ফ্যাক্টরির একই অবস্থাসহ ব্যবহৃত ও বর্জ্য পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা সড়ক নির্মাণে কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ফ্যাক্টরির মালিকরা। ফলে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় শ্রমিকদের বেতন সঠিক টাইমে পরিশোধ করতে মিল মালিকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। অন্যদিকে, এলাকাবাসী অভিযোগ করেন যে , ফ্যাক্টরির বর্জ্য পানি তাদের ক্ষতি সাধন হচ্ছে। এছাড়া সরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধানকালে জানা যায়, রূপগঞ্জ তারাবো পৌরসভা সংলগ্নে রোডস এন্ড হাইওয়ের অব্যবস্থাপনায় বজ্র পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় মিল মালিকরা অভিযোগ দিয়ে ঐ সাইডে সড়ক নির্মাণের কাজ বন্ধ রেখেছেন। এদিকে গত ৪/৬/২০২৫ ইং ক্ষুব্ধ হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী ফ্যাক্টরির সামনে এসে হইচই শুরু করেন। এলাকাবাসীর অস্বাভাবিক আচরণে , মিল কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চাইলে কিছুক্ষণ পর উপস্থিত হন, রূপগঞ্জ উপজেলার ইউএনও, উপ সহকারী কমিশনার (ভূমি), ভুলতা ফাড়ির ইনচার্জ মোখলেছুর, হাইয়ে থানার ভুলতা ফাড়ির ইনচার্জ জাহানুর , ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের জিকুরুল ও স্থানীয় সাংবাদিক বৃন্দ।
উপস্থিত উল্লিখিত ব্যক্তিদয়েরা বর্জ্য পানি নিষ্কাশনের বিষয়ে জানতে চাইলে, ফ্যাক্টরির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর খন্দকার খায়রুল আলম বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগ ভিত্তিহীন, কারণ, আপনারা স্বচক্ষে দেখেছেন যে সড়ক নির্মাণে অব্যবস্থাপনায় বৃষ্টির পানি কোন দিকে নিষ্কাশন না হওয়ায় ফ্যাক্টরির ভিতরে হাটু পরিমাণ পানি স্থির অবস্থায় রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের এখানে রয়েছে গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল, অতএব এখান থেকে কোন বর্জ্য পানি বের হওয়ার সুযোগ নেই, আপনারা তা ঘুরে দেখতে পারেন। তবে এলাকাবাসীর হৈচৈ সঠিক কিন্তু আমাদের এই ফ্যাক্টরি থেকে কোন বর্জ্য পানি বের হয় না, অতএব তাদের এই হৈ চৈইটি আমাদের সাথে বিনা কারণে করছেন। , তবে আমি মনে করছি কারো প্ররচনায় উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাদের ফ্যাক্টরির ক্ষতি সাধন করতে চাচ্ছেন তাবা। তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি, দেশের উন্নয়নে যেকোনো প্রজেক্টের নির্মাণ কাজে বা স্থাপন করার পূর্বে সড়ক ও জনপথ মন্ত্রণালয় খতিয়ে দেখতে হবে আশেপাশে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা মিল ফ্যাক্টরি আছে কিনা। পরিকল্পনায় কোন প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয় মতে এমন কোন কাজ করা যাবে না । তবে যে কোন উন্নয়নমূলক কাজ করলে , প্রতিষ্ঠানের অসুবিধা না হয় মতে এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমি রোডস এন্ড হাইওয়েকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, দেশের উন্নয়নের সহায়ক ভূমিকায় এই এলাকায় যে ফ্যাক্টরিগুলো অবস্থিত রয়েছে তার ব্যবহারিত ও ফ্যাক্টরির উৎপাদিত পণ্যের বর্জ্য পানি দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দিবেন। তা না হলে এলাকাবাসীর যেমন ক্ষতি হচ্ছে আমাদেরও তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
এ বিষয়ে খন্দকার খায়রুল আলম আরো বলেন, আমাদের ফ্যাক্টরি অবস্থা পরিদর্শন করতে আসা , সংশ্লিষ্টের ইউএনও বলে গেছেন যে, এখানে যতগুলো ফ্যাক্টরি রয়েছে, সকল মিল মালিকগন মিলে নিজেদের অর্থায়নে বর্জ্য পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে, এবং উপজেলা থেকে ইস্টিমেট দিবে , কন্ট্রাক্টারের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ লাইন নির্মাণ করা হবে। খাইরুল আলম সংশ্লিষ্ঠদের এই নির্দেশ আমলে নিয়েছেন বলে, জানান গণমাধ্যম কর্মীদের। তবে ঈদুল আযহার পরে ড্রেনেজ লাইনের কাজ উপজেলার সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ অনুযায়ী হবে এ কথা বলেছেন তিনি।

Tag :
জনপ্রিয়

স্টাফ রিপোর্টার ঃ

রুপগঞ্জে নান্নু গার্মেন্টসে হাঁটু পরিমাণ পানি, সড়ক নির্মাণে অব্যবস্থাপনা

প্রকাশিত ০৪:২৯:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫

ঢাকা সিলেট মহাসড়ক নির্মাণে অব্যবস্থাপনায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভুলতায় অবস্থিত নান্নু অ্যাপারেলস এন্ড টেক্সটাইল এর ভিতরে হাটু সমান বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে ফ্যাক্টরিতে উপস্থিত হয়ে । এছাড়া উক্ত এলাকায় বিভিন্ন ফ্যাক্টরির একই অবস্থাসহ ব্যবহৃত ও বর্জ্য পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা সড়ক নির্মাণে কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ফ্যাক্টরির মালিকরা। ফলে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় শ্রমিকদের বেতন সঠিক টাইমে পরিশোধ করতে মিল মালিকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। অন্যদিকে, এলাকাবাসী অভিযোগ করেন যে , ফ্যাক্টরির বর্জ্য পানি তাদের ক্ষতি সাধন হচ্ছে। এছাড়া সরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধানকালে জানা যায়, রূপগঞ্জ তারাবো পৌরসভা সংলগ্নে রোডস এন্ড হাইওয়ের অব্যবস্থাপনায় বজ্র পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় মিল মালিকরা অভিযোগ দিয়ে ঐ সাইডে সড়ক নির্মাণের কাজ বন্ধ রেখেছেন। এদিকে গত ৪/৬/২০২৫ ইং ক্ষুব্ধ হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী ফ্যাক্টরির সামনে এসে হইচই শুরু করেন। এলাকাবাসীর অস্বাভাবিক আচরণে , মিল কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চাইলে কিছুক্ষণ পর উপস্থিত হন, রূপগঞ্জ উপজেলার ইউএনও, উপ সহকারী কমিশনার (ভূমি), ভুলতা ফাড়ির ইনচার্জ মোখলেছুর, হাইয়ে থানার ভুলতা ফাড়ির ইনচার্জ জাহানুর , ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের জিকুরুল ও স্থানীয় সাংবাদিক বৃন্দ।
উপস্থিত উল্লিখিত ব্যক্তিদয়েরা বর্জ্য পানি নিষ্কাশনের বিষয়ে জানতে চাইলে, ফ্যাক্টরির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর খন্দকার খায়রুল আলম বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগ ভিত্তিহীন, কারণ, আপনারা স্বচক্ষে দেখেছেন যে সড়ক নির্মাণে অব্যবস্থাপনায় বৃষ্টির পানি কোন দিকে নিষ্কাশন না হওয়ায় ফ্যাক্টরির ভিতরে হাটু পরিমাণ পানি স্থির অবস্থায় রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের এখানে রয়েছে গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল, অতএব এখান থেকে কোন বর্জ্য পানি বের হওয়ার সুযোগ নেই, আপনারা তা ঘুরে দেখতে পারেন। তবে এলাকাবাসীর হৈচৈ সঠিক কিন্তু আমাদের এই ফ্যাক্টরি থেকে কোন বর্জ্য পানি বের হয় না, অতএব তাদের এই হৈ চৈইটি আমাদের সাথে বিনা কারণে করছেন। , তবে আমি মনে করছি কারো প্ররচনায় উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাদের ফ্যাক্টরির ক্ষতি সাধন করতে চাচ্ছেন তাবা। তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি, দেশের উন্নয়নে যেকোনো প্রজেক্টের নির্মাণ কাজে বা স্থাপন করার পূর্বে সড়ক ও জনপথ মন্ত্রণালয় খতিয়ে দেখতে হবে আশেপাশে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা মিল ফ্যাক্টরি আছে কিনা। পরিকল্পনায় কোন প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয় মতে এমন কোন কাজ করা যাবে না । তবে যে কোন উন্নয়নমূলক কাজ করলে , প্রতিষ্ঠানের অসুবিধা না হয় মতে এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমি রোডস এন্ড হাইওয়েকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, দেশের উন্নয়নের সহায়ক ভূমিকায় এই এলাকায় যে ফ্যাক্টরিগুলো অবস্থিত রয়েছে তার ব্যবহারিত ও ফ্যাক্টরির উৎপাদিত পণ্যের বর্জ্য পানি দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দিবেন। তা না হলে এলাকাবাসীর যেমন ক্ষতি হচ্ছে আমাদেরও তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
এ বিষয়ে খন্দকার খায়রুল আলম আরো বলেন, আমাদের ফ্যাক্টরি অবস্থা পরিদর্শন করতে আসা , সংশ্লিষ্টের ইউএনও বলে গেছেন যে, এখানে যতগুলো ফ্যাক্টরি রয়েছে, সকল মিল মালিকগন মিলে নিজেদের অর্থায়নে বর্জ্য পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে, এবং উপজেলা থেকে ইস্টিমেট দিবে , কন্ট্রাক্টারের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ লাইন নির্মাণ করা হবে। খাইরুল আলম সংশ্লিষ্ঠদের এই নির্দেশ আমলে নিয়েছেন বলে, জানান গণমাধ্যম কর্মীদের। তবে ঈদুল আযহার পরে ড্রেনেজ লাইনের কাজ উপজেলার সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ অনুযায়ী হবে এ কথা বলেছেন তিনি।