০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রংপুরে হিন্দু বাড়িতে হামলার ঘটনায় মহিলা পরিষদের উদ্বেগ

  • প্রকাশিত ০৬:৩৩:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
  • ১৭ বার দেখা হয়েছে

রংপুর প্রতিনিধি : রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে এক কিশোরের বাড়িসহ স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

গতকাল সোমবার (২৮ জুলাই) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, এ ধরনের ঘটনাগুলো দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অপচেষ্টা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা সংবাদ মাধ্যমে লক্ষ্য করেছি, ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে এক কিশোরের বাড়িসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। অথচ ঘটনাস্থলে হামলাকারীদের না আটক করে পুলিশ ওই কিশোরকেই গ্রেপ্তার করেছে।

মহিলা পরিষদ আরও উল্লেখ করে, এ ধরনের উগ্র সাম্প্রদায়িক আচরণ দেশের বিভিন্ন স্থানে উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। এর উদাহরণ হিসেবে তারা লালমনিরহাটে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে বাবা-ছেলেকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছনার ঘটনা এবং রাজধানীর খিলক্ষেতে উগ্র গোষ্ঠীর দাবিতে মন্দির ভাঙার ঘটনাকেও উল্লেখ করে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এই ধরণের হামলা ও ধর্মের নামে সহিংসতা পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিচারহীনতার সংস্কৃতি এসব ঘটনা বাড়িয়ে তুলছে।

সংগঠনটি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে সকল ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায়ের মানুষের নিরাপত্তা এবং মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

Tag :
জনপ্রিয়

আন্তঃকোন্দল সংঘাত ও হানাহানি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপি ও যুবদলের ৫ নেতা বহিষ্কার

রংপুরে হিন্দু বাড়িতে হামলার ঘটনায় মহিলা পরিষদের উদ্বেগ

প্রকাশিত ০৬:৩৩:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

রংপুর প্রতিনিধি : রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে এক কিশোরের বাড়িসহ স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

গতকাল সোমবার (২৮ জুলাই) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, এ ধরনের ঘটনাগুলো দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অপচেষ্টা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা সংবাদ মাধ্যমে লক্ষ্য করেছি, ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে এক কিশোরের বাড়িসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। অথচ ঘটনাস্থলে হামলাকারীদের না আটক করে পুলিশ ওই কিশোরকেই গ্রেপ্তার করেছে।

মহিলা পরিষদ আরও উল্লেখ করে, এ ধরনের উগ্র সাম্প্রদায়িক আচরণ দেশের বিভিন্ন স্থানে উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। এর উদাহরণ হিসেবে তারা লালমনিরহাটে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে বাবা-ছেলেকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছনার ঘটনা এবং রাজধানীর খিলক্ষেতে উগ্র গোষ্ঠীর দাবিতে মন্দির ভাঙার ঘটনাকেও উল্লেখ করে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এই ধরণের হামলা ও ধর্মের নামে সহিংসতা পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিচারহীনতার সংস্কৃতি এসব ঘটনা বাড়িয়ে তুলছে।

সংগঠনটি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে সকল ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায়ের মানুষের নিরাপত্তা এবং মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।