০৮:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রংপুরে মধুমাসের তালশাঁসে ভরে গেছে বাজার

  • প্রকাশিত ০৭:৩৭:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
  • ৯ বার দেখা হয়েছে

রংপুর ব্যুরো,স্বদেশ বিচিত্রা : রংপুর মহানগরীর বাজারে উঠেছে মধুমাসের রসে টুইটম্বুর কচি তালশাঁস। লোভনীয় রংয়ে সুমিষ্ট তালশাসের স্বাদ নিতে দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। মধুমাসের ফল প্রথম দেখায় দাম বেশিতেও কিনে খেতে বেশ আগ্রহ বিরাজ করছে ক্রেতাদের মাঝে। গরমে তৃষ্ণা মেটাতেও চাহিদা বাড়ছে তালশাঁসের।

রংপুর নগরীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে চোখে পড়ে কচি তাশশাঁসের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। শহর ছাড়াও ছোট-বড় ভ্যানে করে এলাকার অলিগলি ঘুরেও বিক্রি করা হচ্ছে তালশাঁস।

নগরীর সুরভী উদ্যানে তালশাঁস কিনতে আসা ক্রেতা বলেন, বছরের নতুন ফল,দাম বেশি হলেও খাচ্ছি। যেহেতু টাকা দিয়েও এটা পাওয়া যাবে না। চলতি পথে দেখে কিনে খাচ্ছি বাসার জন্যও কিনলাম।

তিন চাকার ভ্যানে তালশাঁসের পসরা সাজিয়ে বসা বিক্রেতা আজিজার রহমান বলেন, প্রতি বছর অল্প পুঁজি নিয়ে তালশাঁস বিক্রি করি। এবছর তালশাঁসের বহন খরচ বেশি এজন্য ১ বিচি তাল বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা। একশো তাল কেনা পরে ১৬০০ -১৮০০ টাকা।

এ বছর বাড়তি দামে তালশাঁস কেনায় পিসপ্রতি ১০ টাকা ও পুরো অংশ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, এমনটি বলছেন ব্যবসায়ীরা।
রংপুর নগরীর সুরভী উদ্যান সংলগ্ন ব্যবসায়ী মাসুদ রানা বলেন, একশো তাল কিনতে হচ্ছে ১৬০০-২০০০ টাকা দিয়ে। এবার তালশাঁস কেনা এবং বহন খরচ বাড়তি থাকায় দাম বেশি। তবে আমদানি বাড়ার সাথে সাথে দাম আরও করবে। দেশের যশোর, বড়গুনা, পটুয়াখালীসহ বিভিন্নস্থান থেকে তালশাঁস আসতেছে। বর্তমান আমদানি কম, আমদানি বাড়লে তালশাঁসের দাম কমবে বাজারে ক্রেতাও বাড়বে৷

মধুমাসে বিভিন্ন ফলের সমাহারে অন্যান্য ফলের মতো তালশাঁসের চাহিদা আরও বাড়বে বেচাকেনাও ভালো হবে, এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করছেন ব্যবসায়ীরা।
স্বদেশ বিচিত্রা/এআর

Tag :
জনপ্রিয়

মোহাম্মেদ আলী আল নুয়াইমি -এর সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল জনাব মোঃ রাশেদুজ্জা

রংপুরে মধুমাসের তালশাঁসে ভরে গেছে বাজার

প্রকাশিত ০৭:৩৭:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

রংপুর ব্যুরো,স্বদেশ বিচিত্রা : রংপুর মহানগরীর বাজারে উঠেছে মধুমাসের রসে টুইটম্বুর কচি তালশাঁস। লোভনীয় রংয়ে সুমিষ্ট তালশাসের স্বাদ নিতে দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। মধুমাসের ফল প্রথম দেখায় দাম বেশিতেও কিনে খেতে বেশ আগ্রহ বিরাজ করছে ক্রেতাদের মাঝে। গরমে তৃষ্ণা মেটাতেও চাহিদা বাড়ছে তালশাঁসের।

রংপুর নগরীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে চোখে পড়ে কচি তাশশাঁসের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। শহর ছাড়াও ছোট-বড় ভ্যানে করে এলাকার অলিগলি ঘুরেও বিক্রি করা হচ্ছে তালশাঁস।

নগরীর সুরভী উদ্যানে তালশাঁস কিনতে আসা ক্রেতা বলেন, বছরের নতুন ফল,দাম বেশি হলেও খাচ্ছি। যেহেতু টাকা দিয়েও এটা পাওয়া যাবে না। চলতি পথে দেখে কিনে খাচ্ছি বাসার জন্যও কিনলাম।

তিন চাকার ভ্যানে তালশাঁসের পসরা সাজিয়ে বসা বিক্রেতা আজিজার রহমান বলেন, প্রতি বছর অল্প পুঁজি নিয়ে তালশাঁস বিক্রি করি। এবছর তালশাঁসের বহন খরচ বেশি এজন্য ১ বিচি তাল বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা। একশো তাল কেনা পরে ১৬০০ -১৮০০ টাকা।

এ বছর বাড়তি দামে তালশাঁস কেনায় পিসপ্রতি ১০ টাকা ও পুরো অংশ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, এমনটি বলছেন ব্যবসায়ীরা।
রংপুর নগরীর সুরভী উদ্যান সংলগ্ন ব্যবসায়ী মাসুদ রানা বলেন, একশো তাল কিনতে হচ্ছে ১৬০০-২০০০ টাকা দিয়ে। এবার তালশাঁস কেনা এবং বহন খরচ বাড়তি থাকায় দাম বেশি। তবে আমদানি বাড়ার সাথে সাথে দাম আরও করবে। দেশের যশোর, বড়গুনা, পটুয়াখালীসহ বিভিন্নস্থান থেকে তালশাঁস আসতেছে। বর্তমান আমদানি কম, আমদানি বাড়লে তালশাঁসের দাম কমবে বাজারে ক্রেতাও বাড়বে৷

মধুমাসে বিভিন্ন ফলের সমাহারে অন্যান্য ফলের মতো তালশাঁসের চাহিদা আরও বাড়বে বেচাকেনাও ভালো হবে, এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করছেন ব্যবসায়ীরা।
স্বদেশ বিচিত্রা/এআর