০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রংপুরে আরও বাড়বে তাপমাত্রা : হাঁপিয়ে উঠেছে জনজীবন

  • প্রকাশিত ০৫:৪৮:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
  • ৪৫ বার দেখা হয়েছে

স্বদেশ বিচিত্রা প্রতিবেদক : উত্তরের জেলা রংপুরে সকাল থেকে রোদের ঝলকানি দেখে যেন মনে হয় আগুনের ফুলকি ছড়ানো দৃশ্য।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে রোদের প্রখরতা ও তীব্র তাপদাহ। দুদিন ধরে রংপুরে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করলেও আজ ৩৮.৪ তাপমাত্রা।

এতে শীতল বাতাসের পরিবর্তে গরম বাতাসে হাঁপিয়ে উঠেছে জনজীবন। বিশেষ করে খেটে খাওয়া দিনমজুর
মানুষের বেহাল দশা। কাঠফাটা রোদে রাজমিস্ত্রি কাজে, রিক্সা- ভ্যান চালিয়ে ভিজে যাচ্ছে দেহ। রংপুর জুড়ে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে।

শনিবার (১০ মে) বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে তাপমাত্রা। তীব্র তাপদাহে হাঁপিয়ে উঠেছে জনজীবন। দেখা নেই স্বস্তির বৃষ্টির। এরমধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন,তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।

রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়,আজকে রংপুরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা না থাকায় তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থা চলতে থাকবে।

পেটের তাগিদে গরম উপেক্ষা করেও উপার্জনে ব্যস্ত দিনমজুররা।রোদে ঘেমে হাঁসফাঁস অবস্থায় ছুটে বেড়াচ্ছেন তারা। খানিকটা স্বস্তি পেতে গাছের ছায়ায় বিশ্রামের কথা ভাবলেও শহরে গাছ নিধনের ফলে নেই তার সুযোগ। ফুটপাতে চায়ের দোকানে কিছুক্ষণ পর পর পানিতে গলা ভেজাচ্ছন তারা।

রংপুর নগরীর শাপলা চত্তরে হাঁসফাঁস অবস্থায় কথা হয় বৃদ্ধ রিক্সাচালক জলিল মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, তিন চাকার প্যাডেলেই আমাদের খোরাক। গরমের শুরুতেই যে তাপ এখনো জৈষ্ঠ্যমাস পরি আছে সহ্য হচ্ছে না। গাছের নিচে জিরানোর মত জায়গা নাই। জায়গায় জায়গায় দাড়ায়া পানি খাই আর গাড়ি চালাই। কি করবো? পেটেতো আর গরম মানে না।

নগরীতে বিল্ডিং নির্মানের কাজ করা শ্রমিক আল-আমিন বলেন, সকালে বাড়ি থাকি বের হইছি তখনই শরীর পুড়ে যাচ্ছিলো। রোদে শাটারিংয়ের কাজ করতেছি, এই রোদে যে কষ্ট হচ্ছে বলে বোঝাতে পারবো না। গরম আর সহ্য হচ্ছে না তাই হোটেলে আসলাম, পানি খায়া আত্মাটা শান্তি করার জন্যে। পরিবারের মুখে খাওয়া তুলে দিতে গরম আর বৃষ্টি নাই কাজ করাই লাগবে। আমরা গরীব মানুষ পেটে খাই আমাদের দুঃখ কষ্ট সমান দেখার কেউ নাই।

এই গরমে শিশু ও বৃদ্ধদের প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে না বের করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

এ বিষয়ে রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আগামী ৯-১০ দিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা নেই। তবে তাপমাত্রা আরও বাড়বে।
স্বদেশ বিচিত্রা/এআর

Tag :
জনপ্রিয়

১৯জুলাই’২৫ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ বাস্তবায়নে তেজগাঁও থানা দক্ষিণ জামায়তের স্বাগত মিছিল।

রংপুরে আরও বাড়বে তাপমাত্রা : হাঁপিয়ে উঠেছে জনজীবন

প্রকাশিত ০৫:৪৮:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

স্বদেশ বিচিত্রা প্রতিবেদক : উত্তরের জেলা রংপুরে সকাল থেকে রোদের ঝলকানি দেখে যেন মনে হয় আগুনের ফুলকি ছড়ানো দৃশ্য।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে রোদের প্রখরতা ও তীব্র তাপদাহ। দুদিন ধরে রংপুরে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করলেও আজ ৩৮.৪ তাপমাত্রা।

এতে শীতল বাতাসের পরিবর্তে গরম বাতাসে হাঁপিয়ে উঠেছে জনজীবন। বিশেষ করে খেটে খাওয়া দিনমজুর
মানুষের বেহাল দশা। কাঠফাটা রোদে রাজমিস্ত্রি কাজে, রিক্সা- ভ্যান চালিয়ে ভিজে যাচ্ছে দেহ। রংপুর জুড়ে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে।

শনিবার (১০ মে) বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে তাপমাত্রা। তীব্র তাপদাহে হাঁপিয়ে উঠেছে জনজীবন। দেখা নেই স্বস্তির বৃষ্টির। এরমধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন,তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।

রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়,আজকে রংপুরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা না থাকায় তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থা চলতে থাকবে।

পেটের তাগিদে গরম উপেক্ষা করেও উপার্জনে ব্যস্ত দিনমজুররা।রোদে ঘেমে হাঁসফাঁস অবস্থায় ছুটে বেড়াচ্ছেন তারা। খানিকটা স্বস্তি পেতে গাছের ছায়ায় বিশ্রামের কথা ভাবলেও শহরে গাছ নিধনের ফলে নেই তার সুযোগ। ফুটপাতে চায়ের দোকানে কিছুক্ষণ পর পর পানিতে গলা ভেজাচ্ছন তারা।

রংপুর নগরীর শাপলা চত্তরে হাঁসফাঁস অবস্থায় কথা হয় বৃদ্ধ রিক্সাচালক জলিল মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, তিন চাকার প্যাডেলেই আমাদের খোরাক। গরমের শুরুতেই যে তাপ এখনো জৈষ্ঠ্যমাস পরি আছে সহ্য হচ্ছে না। গাছের নিচে জিরানোর মত জায়গা নাই। জায়গায় জায়গায় দাড়ায়া পানি খাই আর গাড়ি চালাই। কি করবো? পেটেতো আর গরম মানে না।

নগরীতে বিল্ডিং নির্মানের কাজ করা শ্রমিক আল-আমিন বলেন, সকালে বাড়ি থাকি বের হইছি তখনই শরীর পুড়ে যাচ্ছিলো। রোদে শাটারিংয়ের কাজ করতেছি, এই রোদে যে কষ্ট হচ্ছে বলে বোঝাতে পারবো না। গরম আর সহ্য হচ্ছে না তাই হোটেলে আসলাম, পানি খায়া আত্মাটা শান্তি করার জন্যে। পরিবারের মুখে খাওয়া তুলে দিতে গরম আর বৃষ্টি নাই কাজ করাই লাগবে। আমরা গরীব মানুষ পেটে খাই আমাদের দুঃখ কষ্ট সমান দেখার কেউ নাই।

এই গরমে শিশু ও বৃদ্ধদের প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে না বের করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

এ বিষয়ে রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আগামী ৯-১০ দিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা নেই। তবে তাপমাত্রা আরও বাড়বে।
স্বদেশ বিচিত্রা/এআর