০৬:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোরে সাপের দংশনে মেয়ের মৃত্যু, মা হাসপাতালে ভর্তি

  • প্রকাশিত ০৫:১৯:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • ৬ বার দেখা হয়েছে

ডেইলি স্বদেশবিচিত্রা প্রতিবেদক : যশোরে কালাচ (পাতি কাল-কেউটে) সাপের দংশনে সুমাইয়া খাতুন (১১) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একই সাপের দংশনে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন মা খাদিজা খাতুন (৩২)।

বুধবার দিবাগত গভীর রাতে ঝিকরগাছা উপজেলার বাকড়া মাঠপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত সুমাইয়া খাতুন ওই গ্রামের ইমদাদুল হকের মেয়ে ও স্থানীয় মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।

সুমাইয়ার নানি ফুলমতি বেগম জানান, বুধবার রাতে সুমাইয়া ও তার মা খাদিজা ঘরের মধ্যে মেঝেতে ঘুমিয়ে ছিল। সুমাইয়ার ছোট ভাই ও পিতা একই ঘরে খাটে ঘুমিয়েছিল। রাত একটার দিকে একটা কালাচ সাপ সুমাইয়াকে ঘুমন্ত অবস্থায় দংশন করে। এরপর খাদিজাকে দংশন করলে খাদিজা জেগে উঠে সাপ দেখে চিৎকার করেন। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সাপটিকে মেরে ফেলেন।

সুমাইয়ার দাদা মোসলেম গাইন জানান, বিষক্রিয়ায় সুমাইয়া ও তার মায়ের শরীরে যন্ত্রণা শুরু হলে প্রতিবেশীরা তাদের দুইজনকে রাত চারটার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে সুমাইয়ার মৃত্যু হয়। তার মা খাদিজা খাতুন একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হুসাইন শাফায়াত বলেন, মা-মেয়ে দুজনকেই এন্টিভেনম দেওয়া হয়েছে। তারপরও মেয়েটি মারা গেছে। তিনি বলেন, সাপটি আগে কাউকে দংশন করেছে কিনা, কতক্ষণ পর রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এরকম অনেকগুলো কারণের ওপর রোগীর মারা যাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে।

এক প্রশ্নের জবাবে তত্ত্বাবধায়ক বলেন, এ দুইজন রোগীকে বেশ কয়েকটি করে এন্টিভেনম দেওয়া লেগেছে। এই দুইজনের চিকিৎসার মধ্য দিয়ে এই হাসপাতালে এন্টিভেনম শেষ হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

এদিকে এর আগে একই উপজেলার বাকড়া ইউনিয়নের খলসি গ্রামে সাপের দংশনে মারা যান মিলন সরদার (৪৫) নামে এক কৃষক। মাঠে গরু আনতে গিয়ে সাপের দংশনের শিকার হন তিনি।
ডেইলি স্বদেশবিচিত্রা/এআর

Tag :
জনপ্রিয়

প্রদীপ দের মৃত্যু জামালপুরে এখনো কাটেনি শোকের ছায়া

যশোরে সাপের দংশনে মেয়ের মৃত্যু, মা হাসপাতালে ভর্তি

প্রকাশিত ০৫:১৯:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

ডেইলি স্বদেশবিচিত্রা প্রতিবেদক : যশোরে কালাচ (পাতি কাল-কেউটে) সাপের দংশনে সুমাইয়া খাতুন (১১) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একই সাপের দংশনে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন মা খাদিজা খাতুন (৩২)।

বুধবার দিবাগত গভীর রাতে ঝিকরগাছা উপজেলার বাকড়া মাঠপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত সুমাইয়া খাতুন ওই গ্রামের ইমদাদুল হকের মেয়ে ও স্থানীয় মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।

সুমাইয়ার নানি ফুলমতি বেগম জানান, বুধবার রাতে সুমাইয়া ও তার মা খাদিজা ঘরের মধ্যে মেঝেতে ঘুমিয়ে ছিল। সুমাইয়ার ছোট ভাই ও পিতা একই ঘরে খাটে ঘুমিয়েছিল। রাত একটার দিকে একটা কালাচ সাপ সুমাইয়াকে ঘুমন্ত অবস্থায় দংশন করে। এরপর খাদিজাকে দংশন করলে খাদিজা জেগে উঠে সাপ দেখে চিৎকার করেন। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সাপটিকে মেরে ফেলেন।

সুমাইয়ার দাদা মোসলেম গাইন জানান, বিষক্রিয়ায় সুমাইয়া ও তার মায়ের শরীরে যন্ত্রণা শুরু হলে প্রতিবেশীরা তাদের দুইজনকে রাত চারটার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে সুমাইয়ার মৃত্যু হয়। তার মা খাদিজা খাতুন একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হুসাইন শাফায়াত বলেন, মা-মেয়ে দুজনকেই এন্টিভেনম দেওয়া হয়েছে। তারপরও মেয়েটি মারা গেছে। তিনি বলেন, সাপটি আগে কাউকে দংশন করেছে কিনা, কতক্ষণ পর রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এরকম অনেকগুলো কারণের ওপর রোগীর মারা যাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে।

এক প্রশ্নের জবাবে তত্ত্বাবধায়ক বলেন, এ দুইজন রোগীকে বেশ কয়েকটি করে এন্টিভেনম দেওয়া লেগেছে। এই দুইজনের চিকিৎসার মধ্য দিয়ে এই হাসপাতালে এন্টিভেনম শেষ হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

এদিকে এর আগে একই উপজেলার বাকড়া ইউনিয়নের খলসি গ্রামে সাপের দংশনে মারা যান মিলন সরদার (৪৫) নামে এক কৃষক। মাঠে গরু আনতে গিয়ে সাপের দংশনের শিকার হন তিনি।
ডেইলি স্বদেশবিচিত্রা/এআর