বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী যশোরে গভীর শ্রদ্ধা ও শোকের পরিবেশে পালিত হয়েছে। শুক্রবার দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মাধ্যমে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো এ দিবসটি পালন করে।
সকালে যশোর জেলা বিএনপি কার্যালয়ে দলীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন এবং নেতাকর্মীদের কালো ব্যাজ ধারণের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। পরে ওলামা দলের ব্যবস্থাপনায় জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর ছাত্রদলের আয়োজনে স্বেচ্ছায় রক্তদানের কর্মসূচি হয়। এতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম, কেন্দ্রীয় নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকনসহ অনেকে অংশ নেন।
পরে নার্গিস বেগম ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ শহরের বিভিন্ন এলাকা এবং গ্রামে গিয়ে অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন। খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম চলে হাসপাতাল মোড়, দড়াটানা, কুইন্স হাসপাতাল এলাকা, খাজুরা বাসস্ট্যান্ড, ধর্মতলা, গহেরপাড়া, চুড়ামনকাটি, বাগডাঙ্গা, কোদালিয়া, হুদা রাজাপুরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে।
অনিন্দ্য ইসলাম অমিতও শহরের জিলা স্কুল মোড়, এম এম কলেজ এলাকা, তেঁতুলতলা, রেলবাজার, মনিহার ও আশপাশের এলাকাসহ সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। পাশাপাশি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুলব্যাগও তুলে দেওয়া হয়।
জেলা সভাপতি সাবেরুল হক সাবু এবং সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন পৃথকভাবে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা ও ইউনিয়নে গিয়ে দুস্থদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করেন। তারা দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার প্রকাশক শান্তনু ইসলাম সুমিতসহ অন্যান্য সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
জেলা কৃষক দল বিরামপুরে এক মাদ্রাসায় দোয়া মাহফিল শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার বিতরণ করে। একইসঙ্গে জুমার নামাজ শেষে বিভিন্ন মসজিদে শহীদ জিয়ার আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া ও মুনাজাত হয়। ছাত্রদলের উদ্যোগে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। যশোর জেনারেল হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হাসপাতাল জামে মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন।
সারা দিনের এ কর্মসূচিতে জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন, যা শহীদ রাষ্ট্রপতির প্রতি তাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রতিফলন ঘটায়।