১০:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুরে বোরো বীজতলা তৈরি ও পরিচর্যার ব্যস্ততা

  • প্রকাশিত ১২:১৬:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১০৭ বার দেখা হয়েছে

 

সাহাবুল হক
মেহেরপুরে বোরো ধানের বীজতলা তৈরি, পরিচর্যা এবং চারা রোপণের প্রস্তুতি হিসেবে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার প্রতিটা গ্রামেই দেখা মিলছে বীজতলা পরিচর্যার দৃশ্য। আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় এবার সকল এলাকাতেই ধানের চারা কৃষকের মনোপছন্দের হয়েছে। ইতিমধ্যেই কিছু কিছু এলাকায় ধানের চারা রোপণের প্রস্তুতির দৃশ্যও চোখে মেলে। তবে সার সংকট নিয়ে আবাদে আশানুরূপ ফলন হবে কিনা এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা।
মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় বোরো ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ হাজার ৪’শ ১৭ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কৃষকরা তাদের জমিতে বীজতলা তৈরি ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ কেউ রোপণের প্রস্তুতি হিসাবে সেচ, চাষ এবং মই দেওয়াতেও ব্যস্ত রয়েছেন।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি), সকাল থেকে সন্ধা অবধি জেলার বারাদী, মাইলমারী, হিজলবাড়ীয়া, জালশুকা, ধানখোলা, খড়মপুর, মালসাদহ, চিৎলা, নওপাড়া, ভাটপাড়া, কুলবাড়ীয়া, ভোমরদহ, জোড়পুকুরিয়া, আমতৈল, মানিকদিয়া, তেঁতুলবাড়ীয়া, করমদী, রামদেবপুর, মথুরাপুর, সহড়াতলা, কাঁঠালপোতা, সোনাপুর ও বলিয়ারপুরসহ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে কৃষকদের সাথে আলাপকালে তিনারা জানান, প্রতি কাঠা জমিতে বীজতলা তৈরিতে খরচ হয় ২ হাজার টাকা। যা বিক্রি হয় ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকায়।
এসব বীজতলার চারা অনেকে নিজ জমিতে রোপণের জন্য কেউ কেউ আবার বিক্রির জন্য তৈরি করেছেন। গত কয়েকবছর ধরে প্রতি কাঠা জমির চারা উৎপাদনে ২ হাজার টাকা খরচ হলেও ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হওয়ায় লাভবান হয়েছেন কৃষকরা। তাই এবারও স্বপ্ন বুনেছেন কৃষকরা বেশি মূল্যে চারা বিক্রির।

Tag :
জনপ্রিয়

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে অনশন ভঙ্গ ১৮ তম নিবন্ধন প্রত্যাশীরা

মেহেরপুরে বোরো বীজতলা তৈরি ও পরিচর্যার ব্যস্ততা

প্রকাশিত ১২:১৬:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

 

সাহাবুল হক
মেহেরপুরে বোরো ধানের বীজতলা তৈরি, পরিচর্যা এবং চারা রোপণের প্রস্তুতি হিসেবে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার প্রতিটা গ্রামেই দেখা মিলছে বীজতলা পরিচর্যার দৃশ্য। আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় এবার সকল এলাকাতেই ধানের চারা কৃষকের মনোপছন্দের হয়েছে। ইতিমধ্যেই কিছু কিছু এলাকায় ধানের চারা রোপণের প্রস্তুতির দৃশ্যও চোখে মেলে। তবে সার সংকট নিয়ে আবাদে আশানুরূপ ফলন হবে কিনা এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা।
মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় বোরো ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ হাজার ৪’শ ১৭ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কৃষকরা তাদের জমিতে বীজতলা তৈরি ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ কেউ রোপণের প্রস্তুতি হিসাবে সেচ, চাষ এবং মই দেওয়াতেও ব্যস্ত রয়েছেন।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি), সকাল থেকে সন্ধা অবধি জেলার বারাদী, মাইলমারী, হিজলবাড়ীয়া, জালশুকা, ধানখোলা, খড়মপুর, মালসাদহ, চিৎলা, নওপাড়া, ভাটপাড়া, কুলবাড়ীয়া, ভোমরদহ, জোড়পুকুরিয়া, আমতৈল, মানিকদিয়া, তেঁতুলবাড়ীয়া, করমদী, রামদেবপুর, মথুরাপুর, সহড়াতলা, কাঁঠালপোতা, সোনাপুর ও বলিয়ারপুরসহ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে কৃষকদের সাথে আলাপকালে তিনারা জানান, প্রতি কাঠা জমিতে বীজতলা তৈরিতে খরচ হয় ২ হাজার টাকা। যা বিক্রি হয় ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকায়।
এসব বীজতলার চারা অনেকে নিজ জমিতে রোপণের জন্য কেউ কেউ আবার বিক্রির জন্য তৈরি করেছেন। গত কয়েকবছর ধরে প্রতি কাঠা জমির চারা উৎপাদনে ২ হাজার টাকা খরচ হলেও ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হওয়ায় লাভবান হয়েছেন কৃষকরা। তাই এবারও স্বপ্ন বুনেছেন কৃষকরা বেশি মূল্যে চারা বিক্রির।