০৬:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ফয়সাল মবিন পলাশঃ

মুরাদনগরে ভুক্তভোগী ওই নারীর বাড়িতে বিএনপি নেতা কায়কোবাদ

  • প্রকাশিত ০৭:৫৩:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
  • ১৩ বার দেখা হয়েছে

কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণকাণ্ডে ভুক্তভোগী ওই নারীর বাড়িতে দেখা করতে যান মুরাদনগরের ৫ বারের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ। মঙ্গলবার (১জুলাই) দুপুরে হেলিকাপ্টার যোগে মুরাদনগর পাঁচকিত্তা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে নেমে সেখান থেকে নেতা কর্মীদের নিয়ে ভুক্তভোগীর বাড়িতে যান কায়কোবাদ। তবে এ সময় ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের কেউ বাড়িতে উপস্থিত না থাকায় এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন তিনি।
তিনি এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, “যে ঘটনা কে কেন্দ্র করে আমি এখানে এসেছি, আমি যা শুনেছি, যা দেখেছি, আমি তাতে মর্মাহত। হিন্দু ভাইয়েরা আমার ভাই। আপনারা এই হিন্দু পরিবারের প্রতি, শুধু হিন্দু পরিবারের প্রতি নয় সকল হিন্দু ভাইদের প্রতি যারা সংখ্যালঘু আছে তাদের প্রতি আপনাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে। তাদেরকে পাহারা দিয়ে রাখতে হবে। এটা ম্যাডাম জিয়ার নির্দেশ, তারেক জিয়ার নির্দেশ। আপনারা দোয়া করবেন যাতে এমন ঘটনা যেন বাংলাদেশ আর না ঘটে। এটার যেন একটা সুষ্ঠু তদন্ত হয়, তদন্ত হয়ে সুষ্ঠু বিচারের ব্যবস্থা হয়, আপনার দোয়া করবেন। তিনি আরো বলেন,একটা মহল বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য, বিএনপিকে বদনাম করার জন্য বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আল্লাহ যাকে হেফাজত করে তাকে কেউ ধ্বংস করতে পারবে না। মনে রাখতে হবে এটা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দল। আমাদের জীবন থাকতে বিএনপির বদনাম হতে দেবনা ইনশাআল্লাহ। সামনে ইলেকশন, বিএনপি যেন বিপুল ভোটে জয়লাভ করে সরকার গঠন করতে পারে আপনারা দোয়া করবেন।”
বক্তব্য শেষে কায়কোবাদ ভুক্তভোগীর উঠানে এলাকাবাসী ও সাংবাদিকদের সাথে বলেন, “আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়। সুষ্ঠ তদন্ত করে বিচার অবশ্যই হবে। আসল ঘটনা উদঘাটিত হবে, এটা কেউ দাবায়ে রাখতে পারবেনা। আপনারা জনেন এই ঘটনাকে বিএনপির উপরে চাপানোর জন্য, বিএনপিকে দোষারুপ রার জন্য একটা পরিকল্পনা করেছিল। আমাদের দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে মুরাদনগরে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা কেউ ছিলনা। বর্তমান ওসি জয়েন করার পরে আর আমাদের মাননীয় উপদেষ্টা উনাদের ছত্রছায়ায় তাদের পুনর্বাসন হয়েছে। যেহেতু তাদের পুনর্বাসন হয়েছে সেহেতু এই ঘটনাগুলো ঘটতেছে। তাই আপনাদের হুশিয়ার থাকতে হবে নয়তো তারা আরো যেকোন বড় ধরনের ঘটনাও ঘটাতে পারে। যেহেতু প্রসাশন তাদের সাথে আছে। তিনি আরো বলেন, আমি এসেছিলাম সবাইকে দেখতে। কিন্ত এস শুনি পুলিশ নাকি তাদেরকে বাড়ি থেকে পাঠিয়ে দিয়েছে। আমি জানতে চাই পুলিশের কেন এই ভূমিকা? মুরাদনগরের পুলিশ বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে কামিয়াবি হতে পারবেনা। আপনাদেরকে হুশিয়ার থাকতে হবে, সাবধান থাকতে হবে।”
এসময় সাথে ছিলেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন, যুগ্ম আহ্বায়ক মোল্লা মহিউদ্দিন, নজরুল ইসলাম, কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যগ্ম আহবায়ক মাসুদ রানাসহ উপজেলা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্ধ।
এর আগে সোমবার বিকেলে হিন্দু মহাজোটের কেন্দ্রীয় ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ ভুক্তভোগীর বাড়ি পরিদর্শন করে তাদের পাশে থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন এবং পরিবারের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন।
উল্লেখ্যঃ গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাতে মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিন ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ফজর আলীর বিরুদ্ধে। ধর্ষণের বিষয়টি টের পেয়ে আশপাশ থেকে কিছু লোক এসে ফজর আলীকে পেটাতে থাকেন। এ সময় ওই নারীকেও বিবস্ত্র অবস্থায় মারধর করেন স্থানীয় কয়েকজন যুবক। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরই মধ্যে ধর্ষণ এবং বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়েছে। দুই মামলায় ফজর আলীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হাত-পা ভেঙে ফেলার কারণে ফজর আলী বর্তমানে পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Tag :
জনপ্রিয়

দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা সম্পাদক ও প্রকাশক কবি অশোক ধর কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মঞ্জুর হোসেন ঈসা

ফয়সাল মবিন পলাশঃ

মুরাদনগরে ভুক্তভোগী ওই নারীর বাড়িতে বিএনপি নেতা কায়কোবাদ

প্রকাশিত ০৭:৫৩:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণকাণ্ডে ভুক্তভোগী ওই নারীর বাড়িতে দেখা করতে যান মুরাদনগরের ৫ বারের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ। মঙ্গলবার (১জুলাই) দুপুরে হেলিকাপ্টার যোগে মুরাদনগর পাঁচকিত্তা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে নেমে সেখান থেকে নেতা কর্মীদের নিয়ে ভুক্তভোগীর বাড়িতে যান কায়কোবাদ। তবে এ সময় ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের কেউ বাড়িতে উপস্থিত না থাকায় এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন তিনি।
তিনি এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, “যে ঘটনা কে কেন্দ্র করে আমি এখানে এসেছি, আমি যা শুনেছি, যা দেখেছি, আমি তাতে মর্মাহত। হিন্দু ভাইয়েরা আমার ভাই। আপনারা এই হিন্দু পরিবারের প্রতি, শুধু হিন্দু পরিবারের প্রতি নয় সকল হিন্দু ভাইদের প্রতি যারা সংখ্যালঘু আছে তাদের প্রতি আপনাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে। তাদেরকে পাহারা দিয়ে রাখতে হবে। এটা ম্যাডাম জিয়ার নির্দেশ, তারেক জিয়ার নির্দেশ। আপনারা দোয়া করবেন যাতে এমন ঘটনা যেন বাংলাদেশ আর না ঘটে। এটার যেন একটা সুষ্ঠু তদন্ত হয়, তদন্ত হয়ে সুষ্ঠু বিচারের ব্যবস্থা হয়, আপনার দোয়া করবেন। তিনি আরো বলেন,একটা মহল বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য, বিএনপিকে বদনাম করার জন্য বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আল্লাহ যাকে হেফাজত করে তাকে কেউ ধ্বংস করতে পারবে না। মনে রাখতে হবে এটা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দল। আমাদের জীবন থাকতে বিএনপির বদনাম হতে দেবনা ইনশাআল্লাহ। সামনে ইলেকশন, বিএনপি যেন বিপুল ভোটে জয়লাভ করে সরকার গঠন করতে পারে আপনারা দোয়া করবেন।”
বক্তব্য শেষে কায়কোবাদ ভুক্তভোগীর উঠানে এলাকাবাসী ও সাংবাদিকদের সাথে বলেন, “আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়। সুষ্ঠ তদন্ত করে বিচার অবশ্যই হবে। আসল ঘটনা উদঘাটিত হবে, এটা কেউ দাবায়ে রাখতে পারবেনা। আপনারা জনেন এই ঘটনাকে বিএনপির উপরে চাপানোর জন্য, বিএনপিকে দোষারুপ রার জন্য একটা পরিকল্পনা করেছিল। আমাদের দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে মুরাদনগরে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা কেউ ছিলনা। বর্তমান ওসি জয়েন করার পরে আর আমাদের মাননীয় উপদেষ্টা উনাদের ছত্রছায়ায় তাদের পুনর্বাসন হয়েছে। যেহেতু তাদের পুনর্বাসন হয়েছে সেহেতু এই ঘটনাগুলো ঘটতেছে। তাই আপনাদের হুশিয়ার থাকতে হবে নয়তো তারা আরো যেকোন বড় ধরনের ঘটনাও ঘটাতে পারে। যেহেতু প্রসাশন তাদের সাথে আছে। তিনি আরো বলেন, আমি এসেছিলাম সবাইকে দেখতে। কিন্ত এস শুনি পুলিশ নাকি তাদেরকে বাড়ি থেকে পাঠিয়ে দিয়েছে। আমি জানতে চাই পুলিশের কেন এই ভূমিকা? মুরাদনগরের পুলিশ বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে কামিয়াবি হতে পারবেনা। আপনাদেরকে হুশিয়ার থাকতে হবে, সাবধান থাকতে হবে।”
এসময় সাথে ছিলেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন, যুগ্ম আহ্বায়ক মোল্লা মহিউদ্দিন, নজরুল ইসলাম, কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যগ্ম আহবায়ক মাসুদ রানাসহ উপজেলা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্ধ।
এর আগে সোমবার বিকেলে হিন্দু মহাজোটের কেন্দ্রীয় ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ ভুক্তভোগীর বাড়ি পরিদর্শন করে তাদের পাশে থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন এবং পরিবারের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন।
উল্লেখ্যঃ গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাতে মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিন ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ফজর আলীর বিরুদ্ধে। ধর্ষণের বিষয়টি টের পেয়ে আশপাশ থেকে কিছু লোক এসে ফজর আলীকে পেটাতে থাকেন। এ সময় ওই নারীকেও বিবস্ত্র অবস্থায় মারধর করেন স্থানীয় কয়েকজন যুবক। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরই মধ্যে ধর্ষণ এবং বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়েছে। দুই মামলায় ফজর আলীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হাত-পা ভেঙে ফেলার কারণে ফজর আলী বর্তমানে পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।