কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে চাচার উপর হামলা ও বাড়ি ঘর ভাংচুর করেছে আপন ভাতিজা।
রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাবুটিপাড়া ইউনিয়নের দড়ানীপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
জানাযায়, দড়ানীপাড়া গ্রামের জাকির হোসেন ১৪ বছর আগে টাকা পরিশোধ করেও জমির দলিল পাননি। একাধিক বার গ্রাম্য সালিশ হলেও, বিচারকদের রায় মানছে না তারই ভাতিজা জুনায়েদ ও তার মা আছিয়া বেগম। ভুক্তভোগী জাকির ও আকলিমার ছেলে ও মেয়ে বাড়িতে না থাকায় অসহায় হয়ে পড়েছে তারা। সেই সুযোগে দম্পত্তিকে মারধর, হত্যা হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক দোকান, কৃষি জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টা চালায় মা-ছেলে।
ভুক্তভোগী জাকির হোসেন বলেন, জুনায়েদ ও তার মা আমার পাওনা জমি আমাকে বুঝিয়ে দিচ্ছে না। একাধিকবার এবিষয়ে গ্রাম্য শালিস হলেও সামাধান করতে চায় না তারা। অন্যদিকে আমার দোকানের জায়গা ও পাওনা জমি এবং বসতবাড়ি দখলের চেষ্টা করছে জুনায়েদ।
এবিষয়ে পুলিশের সরনাপন্য হলে মুরাদনগর থানা পুলিশ তদন্তে আসেন। কিন্তু গ্রামবাসী ও পুলিশকে বৃদ্ধা
আঙ্গুল দেখিয়ে ঘটনার দিন রাতে জুনায়েদ আমার বাড়িঘর ভাংচুর করে ও আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তেরে আসে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সরে পরে জুনায়েদ। হামলার ঘটনা পুলিশকে জানালে পুলিশ কোনো সাড়া দেয়নি বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী জাকির হোসেন।
এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে স্থানীয়রা বলেন, তাদের এই জমিজমার বিষয়ে আমরা বহুবার সমাধানের চেষ্টা করেছি। কিন্তু জুনায়েদ ও তার মা সমাধান চায় না। তারা চাইলে তা অনেক আগেই সমাধান হয়ে যেতো। এখন তারা মা ও ছেলে জাকিরের সব দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। এর সুষ্ঠু সমাধান চান বলে জানান স্থানীয়রা।
অন্যদিকের জাকির হোসেনের প্রবাসী ছেলে আশিক মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমানকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি ফোর্স পাঠানোর আশ্বাস দিয়েও অদৃশ্য কারনে কোন প্রকার সহায়তা করেননি বলে অভিযোগ আশিকের।
এবিষয়ে জানতে চাই মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলন, এবিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, এটা তাদের পারিবারিক বিষয়। রাতে প্রবাসী আশিকের অভিযোগ পেয়ে কিছুটা দেরি হলেও আমি ফোর্স পাঠিয়েছিলাম।