বাংলাদেশের দক্ষিণে কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং গ্রামে নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরে জন্মগ্রহণ করেন সৌরজিত বড়ুয়া। পিতা অবসর প্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক প্রসেনজিত বড়ুয়া ও মাথা অবসর প্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিদর্শক শেলী বড়ুয়া। ‘রামু খিজারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়’ থেকে এসএসসি ও রামু কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করার পর তিনি ‘ HND in Accounting’ করেন। এরপর কিছুদিন বাংলাদেশে জব করার পর ২০১৯ সালে স্নাতকোত্তর করার জন্য চলে যান মালয়েশিয়ার নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় ‘University Putra Malaysia’ তে। তখন থেকেই মালেশিয়ায় পড়াশোনার পরিবেশ এবং ইউনিভার্সিটি শিক্ষকদের আন্তরিক সহযোগিতায় একের পর এক সৌরজিতের জীবন বদলে যেতে থাকে
পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের ফলে তিনি পুত্রা ইউনিভার্সিটিতে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ থেকে রেকর্ড সিজিপিএ (৩.৯৮) নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। সৌরজিত এখন একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টরেট করছেন। তার গবেষণার বিষয় ‘ক্যান্সার স্ক্রিনিং সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভূমিকা।’ তিনি অর্জন করেছেন অসংখ্য পুরষ্কার। রেকর্ড টানা পাঁচবার ভাইস-চ্যান্সেলর লিস্ট পুরস্কার, মোস্ট আউটস্ট্যান্ডিং পারফরম্যান্স পুরস্কার, ডিন লিস্ট পুরস্কার লাভ করেছেন। তার ঝুলিতে আরও রয়েছে ট্যালেন্টব্যাংক ফিউচার লিডার মালয়েশিয়া ২০২১ পুরস্কার, সেরা বাংলাদেশি ছাত্র মালয়েশিয়া ২০২১ পুরস্কার। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন প্রতিযোগিতা যেমন হাল্ট প্রাইজ ২০২১ (Amherst, USA) এ রিজিওনাল ফাইনালিস্ট, ইউনিলিভার ফিউচার লিডার্স লিগ মালয়েশিয়া ২০২১ এবং ন্যাশনাল ফাইনালিস্ট এবং ল’ওরেল ব্র্যান্ডস্ট্রর্ম মালয়েশিয়া ২০২১ এ সেমিফাইনালিস্ট হয়েছেন।
সৌরজিতের আশা, ‘ডক্টরেট করার পর ভবিষ্যতে মালয়েশিয়ান কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা জীবন শুরু করা। তিনি জানান, “অর্থ উপার্জন কখনোই আমার প্রধান লক্ষ্য ছিল না। আমার জীবনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো যখন যেখানেই থাকি না কেন গবেষণায় যুক্ত থেকে নিত্যনতুন জ্ঞান অর্জন করা এবং শিক্ষকতার মাধ্যমে এই অর্জিত জ্ঞান সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া।
অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা রইল সৌরজিত বড়ুয়া।









