০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মানুষের না বলা অনুভূতির গল্প এটি : জয়া

  • প্রকাশিত ০৬:৫৮:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • ২৬ বার দেখা হয়েছে

স্বদেশ বিচিত্রা বিনোদন ডেস্ক : করোনাকালীন বাস্তবতা, নিঃসঙ্গতা এবং মানবিক সম্পর্কের সূক্ষ্ম রূপ নিয়ে নির্মিত হয়েছে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘জয়া আর শারমিন’। পাঁচ বছর আগে লকডাউনের সময় ধারণ করা সিনেমাটি। অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ১৬ মে মুক্তি পাচ্ছে এটি।

পরিচালক পিপলু আর খানের নির্দেশনায় নির্মিত এ চলচ্চিত্রে কেন্দ্রীয় দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান ও মঞ্চ অভিনেত্রী মহসিনা আক্তার। একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী, অন্যজন তার সহকারী। মহামারির সময় বাধ্য হয়ে একসঙ্গে থাকা, ধীরে ধীরে গড়ে ওঠা সম্পর্ক এবং সেই সম্পর্কে শ্রেণিভেদজনিত জটিলতা— এই নিয়েই সিনেমার গল্প।

জয়া আহসান বলেন, “কিছু গল্পের মুহূর্ত খুঁজে পেতে সময় লাগে। এই সিনেমা তেমনই এক গল্প, যা চিত্রায়িত হয়েছে এমন এক সময়ে, যখন পৃথিবী স্থবির ছিল।”

সিনেমাটির গল্প প্রসঙ্গে জয়া আহসান বলেন, “সিনেমাটি মানুষের না বলা অনুভূতির প্রতিফলন। একঘেয়েমি, ভয়, আবার একইসঙ্গে লুকিয়ে থাকা সান্ত্বনা— সবকিছুই এতে রয়েছে।”

প্রথমে স্বল্পদৈর্ঘ্য হিসেবে ভাবা হলেও, মাত্র ১৫ দিনের শুটিংয়ে সিনেমাটি পূর্ণদৈর্ঘ্যে রূপ নেয়। ঢাকার একটি ছোট্ট ফ্ল্যাটে, অল্প কজন মানুষের টিম নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিং সম্পন্ন করেছিলেন নির্মাতারা।

নির্মাতা পিপলু আর খান বলেন, “এই সিনেমার মাধ্যমে আমরা দেখাতে চেয়েছি, সংকটে সম্পর্ক কীভাবে বদলায়, নির্ভরতা ও মানবিকতার নতুন সংজ্ঞা পায়।”

অভিনেত্রী মহসিনা আক্তার বলেন, “জয়া আপার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল দারুণ। আমরা সবাই এক ছাদের নিচে পরিবার হয়ে গিয়েছিলাম। সিনেমাটি সারাজীবন মনে রাখার মতো।”

‘জয়া আর শারমিন’ শুধু দুই নারীর গল্প নয়; এটি করোনাকালের নিঃসঙ্গতা, সামাজিক বিভাজন এবং সংযোগ খুঁজে পাওয়ার এক আবেগঘন অভিজ্ঞতা— যা আজকের দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে বলেই আশা নির্মাতাদের।
স্বদেশ বিচিত্রা/এআর

Tag :

চান্দিনায় বিএনপি নেতার পাওনা টাকা আদায়ের চাপে, কৃষকদলের নেতার আত্মহত্যা

মানুষের না বলা অনুভূতির গল্প এটি : জয়া

প্রকাশিত ০৬:৫৮:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

স্বদেশ বিচিত্রা বিনোদন ডেস্ক : করোনাকালীন বাস্তবতা, নিঃসঙ্গতা এবং মানবিক সম্পর্কের সূক্ষ্ম রূপ নিয়ে নির্মিত হয়েছে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘জয়া আর শারমিন’। পাঁচ বছর আগে লকডাউনের সময় ধারণ করা সিনেমাটি। অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ১৬ মে মুক্তি পাচ্ছে এটি।

পরিচালক পিপলু আর খানের নির্দেশনায় নির্মিত এ চলচ্চিত্রে কেন্দ্রীয় দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান ও মঞ্চ অভিনেত্রী মহসিনা আক্তার। একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী, অন্যজন তার সহকারী। মহামারির সময় বাধ্য হয়ে একসঙ্গে থাকা, ধীরে ধীরে গড়ে ওঠা সম্পর্ক এবং সেই সম্পর্কে শ্রেণিভেদজনিত জটিলতা— এই নিয়েই সিনেমার গল্প।

জয়া আহসান বলেন, “কিছু গল্পের মুহূর্ত খুঁজে পেতে সময় লাগে। এই সিনেমা তেমনই এক গল্প, যা চিত্রায়িত হয়েছে এমন এক সময়ে, যখন পৃথিবী স্থবির ছিল।”

সিনেমাটির গল্প প্রসঙ্গে জয়া আহসান বলেন, “সিনেমাটি মানুষের না বলা অনুভূতির প্রতিফলন। একঘেয়েমি, ভয়, আবার একইসঙ্গে লুকিয়ে থাকা সান্ত্বনা— সবকিছুই এতে রয়েছে।”

প্রথমে স্বল্পদৈর্ঘ্য হিসেবে ভাবা হলেও, মাত্র ১৫ দিনের শুটিংয়ে সিনেমাটি পূর্ণদৈর্ঘ্যে রূপ নেয়। ঢাকার একটি ছোট্ট ফ্ল্যাটে, অল্প কজন মানুষের টিম নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিং সম্পন্ন করেছিলেন নির্মাতারা।

নির্মাতা পিপলু আর খান বলেন, “এই সিনেমার মাধ্যমে আমরা দেখাতে চেয়েছি, সংকটে সম্পর্ক কীভাবে বদলায়, নির্ভরতা ও মানবিকতার নতুন সংজ্ঞা পায়।”

অভিনেত্রী মহসিনা আক্তার বলেন, “জয়া আপার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল দারুণ। আমরা সবাই এক ছাদের নিচে পরিবার হয়ে গিয়েছিলাম। সিনেমাটি সারাজীবন মনে রাখার মতো।”

‘জয়া আর শারমিন’ শুধু দুই নারীর গল্প নয়; এটি করোনাকালের নিঃসঙ্গতা, সামাজিক বিভাজন এবং সংযোগ খুঁজে পাওয়ার এক আবেগঘন অভিজ্ঞতা— যা আজকের দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে বলেই আশা নির্মাতাদের।
স্বদেশ বিচিত্রা/এআর