স্বদেশ বিচিত্রা প্রতিবেদক : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ৪১টি মহিষ লুট করার মামলায় বিএনপি নেতা সাইদুর রহমানসহ ১১ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার (১৩ এপ্রিল) কুষ্টিয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোস্তফা পারভেজ তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে, আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন।
কারাগারে পাঠানো ব্যক্তিরা হলেন- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান, পলাশ, জাকির, বকুল, অভিক, বক্কর, মোজাফফর, হানা, তককুল, তুহিন ও শাহিনুর। তারা সবাই বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী। তারা কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচার বৈরাগীরচর এলাকার বাসিন্দা।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচর গ্রামের মন্ডলপাড়া এলাকার পদ্মার চরের সাইদ মন্ডলের মহিষের বাথানে হামলা হয়। রাখালদের অস্ত্রের মুখে রেখে ৪১টি মহিষ লুট করা হয়। মরিচা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে তার লোকজন মহিষগুলো লুট করেন। তারা রাখাল মাজদার আলী, কামাল হোসেন ও সৈকতকে মারধর করে ও অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী রহিমপুর মাঠে নিয়ে আটকে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাখালদের উদ্ধার করে। তবে লুট হওয়া মহিষ উদ্ধার করতে পারেনি তারা। লুট হওয়া ৪১টি মহিষের আনুমানিক মূল্য এক কোটি ৯ লাখ টাকা।
এ ঘটনায় মহিষের বাথান মালিক সাইদের স্ত্রী তমা খাতুন গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় সাইদুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। ৮-১০ জনকে নাম না জানা আসামি করা হয়।
দৌলতপুর থানার ওসি নাজমুল হুদা বলেন, “৪১টি মহিষ লুট করার মামলায় ১২ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তারা জামিন আবেদন করেন। ১১ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন বিচারক। এক আসামিকে জামিন দেন আদালত।”
স্বদেশ বিচিত্রা/এআর