০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এম.মসিউর রহমান মিলন:

মহিপাল যমুনা কাউন্টারে হামলা সহ দখলের চেষ্টা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দায়ের

  • প্রকাশিত ০১:৩৪:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • ১২ বার দেখা হয়েছে

৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ফেনীর মহিপাল বাসস্ট্যান্ডের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। দলীয় পরিচয়ে সন্ত্রাসীরা মহিপালের স্টার লাইন ও যমুনা পরিবহন ব্যতিত সবগুলো কাউন্টার জবর-দখল করে নিয়েছে। চুরি, ছিনতাই, হাইজাক, অপহরণ এমন কোন হেন অপকর্ম নাই এরা করছে না। মহিপাল বাসস্ট্যান্ডে সরেজমিনে গিয়ে লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর মেট স্বপন নামে একজন দীর্ঘবছর ধরে জেলখাটা দাগী অপরাধী দলীয় পরিচয়ে মহিপালের নিয়ন্ত্রণ বুঝে নিয়েছে। জবর দখল, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, অপহরণ সবই হচ্ছে তার নিয়ন্ত্রণে। বিগত রমজান মাসে মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচ থেকে কমপক্ষে ৫ শতাধিক মোবাইল চুরি, ছিনতাই হয়েছে। চুরি, ছিনতাই নিয়ে কোন গন্ডগোল, হট্টগোল হলেই মেট স্বপনকে হাজির হতে দেখা গেছে। এ মেট স্বপন মহিপাল বড়বাড়ির বাসিন্দা। সে একটি রাজনৈতিক দলের ফেনীর প্রভাবশালীদের ইন্দনে এসব করছে বলে জানাগেছে। মেট স্বপন ও তার দলবল এখন মহিপালের যমুনা পরিবহনের কাউন্টার দখলের ষড়যন্ত্র এবং অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। বিগত ৮ ফেব্রুয়ারী মধ্যরাতের কোন এক সময় এরা মোবাইল হ্যাক করে প্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে মহিপাল যমুনা কাউন্টারের ইলেকট্রনিক্স সাইনবোর্ডে “আসছে হাসিনা পারলে ঠেকাও” শিরোনামে একটি সেøাগান লিখে রাখে। ভোর ৬ ঘটিকায় কাউন্টারের কর্মচারীরা কাউন্টারের সার্টার খুলে পরবর্তীতে সকাল ৮ ঘটিকায় ইলেকট্রিক সুইচ দিতে গেলেই “আসছে হাসিনা পারলে ঠেকাও” সেøাগানটি বেজে উঠে। এতে ওৎপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা এসে নিরাপরাধ কাউন্টার কর্মচারীদের উপর হামলা ও মারধর করে অন্যায়ভাবে তাদের পুলিশে সোপর্দ করে দেয় এবং কাউন্টার দখলের চেস্টা নেয়। এ ঘটনায় যমুনা পরিবহণের গাড়ি চলাচল একদিন বন্ধ থাকে। এতে যমুনা পরিবহণ লিঃ চেয়ারম্যান আবুল কাসেম মিলন বাদী হয়ে বিগত ১১ মার্চ তারিখে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। সে প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ফেনী পুলিশ সুপারকে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য লিখিত নির্দেশ পাঠালেও বাস্তবে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি। এতে বিবাদীরা ইতিমধ্যে যমুনা কাউন্টারের কর্মচারীদের আরোও কয়েকবার বেদখলের হুমকি দিয়েছে। এদিকে অভিযোগের ৩নং বিবাদী সাইফুল ইসলাম বাবুল ও ৫নং বিবাদী খুরশেদ আলম প্রকাশ চাউল খুরশেদ জালজালিয়াতির আশ্রয়ে বেআইনি বল প্রয়োগে একটি বিধি বহির্ভূত নিয়োগ লাভের সমর্থ হয়েছে। যমুনা পরিবহন লিঃ আলী মনসুর ফারুক নামে একজন পরিচালক হতে এ নিয়োগ নিয়েছে এরা। বাবুল ও চাউল খুরশিদ ফেনী সদর উপজেলাধীন পূর্ববিজয়সিংহ গ্রামের মৃত মিলেটারী সিরাজ ও বহিউর রহমানের ছেলে। এরা জালিয়াতির আশ্রয়ে কম্পিউটারে বানানো একটি প্যাডে নিয়োগ পত্র প্রস্তুত করিয়া আলী মনসুর ফারুকের স্বাক্ষর নিয়েছে। এ নিয়োগ পত্রে স্মারক তারিখ কিছুই নাই। এ নিয়োগ বেআইনি ও তিতর্কিত বলে যমুনা বাসের মালিকরা মনে করছে। এ নিয়ে যমুনা বাস কাউন্টারগুলোতে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।

Tag :
জনপ্রিয়

দুই গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সাহিত্যিকদের মিলনমেলা

এম.মসিউর রহমান মিলন:

মহিপাল যমুনা কাউন্টারে হামলা সহ দখলের চেষ্টা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দায়ের

প্রকাশিত ০১:৩৪:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ফেনীর মহিপাল বাসস্ট্যান্ডের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। দলীয় পরিচয়ে সন্ত্রাসীরা মহিপালের স্টার লাইন ও যমুনা পরিবহন ব্যতিত সবগুলো কাউন্টার জবর-দখল করে নিয়েছে। চুরি, ছিনতাই, হাইজাক, অপহরণ এমন কোন হেন অপকর্ম নাই এরা করছে না। মহিপাল বাসস্ট্যান্ডে সরেজমিনে গিয়ে লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর মেট স্বপন নামে একজন দীর্ঘবছর ধরে জেলখাটা দাগী অপরাধী দলীয় পরিচয়ে মহিপালের নিয়ন্ত্রণ বুঝে নিয়েছে। জবর দখল, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, অপহরণ সবই হচ্ছে তার নিয়ন্ত্রণে। বিগত রমজান মাসে মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচ থেকে কমপক্ষে ৫ শতাধিক মোবাইল চুরি, ছিনতাই হয়েছে। চুরি, ছিনতাই নিয়ে কোন গন্ডগোল, হট্টগোল হলেই মেট স্বপনকে হাজির হতে দেখা গেছে। এ মেট স্বপন মহিপাল বড়বাড়ির বাসিন্দা। সে একটি রাজনৈতিক দলের ফেনীর প্রভাবশালীদের ইন্দনে এসব করছে বলে জানাগেছে। মেট স্বপন ও তার দলবল এখন মহিপালের যমুনা পরিবহনের কাউন্টার দখলের ষড়যন্ত্র এবং অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। বিগত ৮ ফেব্রুয়ারী মধ্যরাতের কোন এক সময় এরা মোবাইল হ্যাক করে প্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে মহিপাল যমুনা কাউন্টারের ইলেকট্রনিক্স সাইনবোর্ডে “আসছে হাসিনা পারলে ঠেকাও” শিরোনামে একটি সেøাগান লিখে রাখে। ভোর ৬ ঘটিকায় কাউন্টারের কর্মচারীরা কাউন্টারের সার্টার খুলে পরবর্তীতে সকাল ৮ ঘটিকায় ইলেকট্রিক সুইচ দিতে গেলেই “আসছে হাসিনা পারলে ঠেকাও” সেøাগানটি বেজে উঠে। এতে ওৎপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা এসে নিরাপরাধ কাউন্টার কর্মচারীদের উপর হামলা ও মারধর করে অন্যায়ভাবে তাদের পুলিশে সোপর্দ করে দেয় এবং কাউন্টার দখলের চেস্টা নেয়। এ ঘটনায় যমুনা পরিবহণের গাড়ি চলাচল একদিন বন্ধ থাকে। এতে যমুনা পরিবহণ লিঃ চেয়ারম্যান আবুল কাসেম মিলন বাদী হয়ে বিগত ১১ মার্চ তারিখে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। সে প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ফেনী পুলিশ সুপারকে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য লিখিত নির্দেশ পাঠালেও বাস্তবে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি। এতে বিবাদীরা ইতিমধ্যে যমুনা কাউন্টারের কর্মচারীদের আরোও কয়েকবার বেদখলের হুমকি দিয়েছে। এদিকে অভিযোগের ৩নং বিবাদী সাইফুল ইসলাম বাবুল ও ৫নং বিবাদী খুরশেদ আলম প্রকাশ চাউল খুরশেদ জালজালিয়াতির আশ্রয়ে বেআইনি বল প্রয়োগে একটি বিধি বহির্ভূত নিয়োগ লাভের সমর্থ হয়েছে। যমুনা পরিবহন লিঃ আলী মনসুর ফারুক নামে একজন পরিচালক হতে এ নিয়োগ নিয়েছে এরা। বাবুল ও চাউল খুরশিদ ফেনী সদর উপজেলাধীন পূর্ববিজয়সিংহ গ্রামের মৃত মিলেটারী সিরাজ ও বহিউর রহমানের ছেলে। এরা জালিয়াতির আশ্রয়ে কম্পিউটারে বানানো একটি প্যাডে নিয়োগ পত্র প্রস্তুত করিয়া আলী মনসুর ফারুকের স্বাক্ষর নিয়েছে। এ নিয়োগ পত্রে স্মারক তারিখ কিছুই নাই। এ নিয়োগ বেআইনি ও তিতর্কিত বলে যমুনা বাসের মালিকরা মনে করছে। এ নিয়ে যমুনা বাস কাউন্টারগুলোতে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।