জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার আঁওড়া পশ্চিম পাড়া গুচ্ছগ্রাম হাটপুকুরিয়া উক্তিয়া মসজিদের পুকুরকে কেন্দ্র করে সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায় গত ৫ আগষ্ট গণঅভুর্থানের পর আওড়া পশ্চিম পাড়া গুচ্ছগ্রামে থাকা সরকারী চান্ডাল নামে পুকুরের ইজারা নেন ততকালীন কালাই উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সানোয়ার হোসেন ছানা। পরবতীতে পুকুরটি তিনি চাষ না করলে হাটপুকুরিয়া মসজিদে দান করেন,তখন থেকে গ্রাম বাসীর সহযোগিতায় মসজিদ কমিটি পুকুটি সংস্কার করে চাষ করেন, হঠাৎ ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবলীগের সভাপতি জাকারিয়া,পুকুটি দখলে নিয়ে মাছ চাষের পায়তারা করে। সে ২৩ শে জুলাই রোজ বুধবার বেলা ১১ ঘটিকায় তার দলবল নিয়ে পুকুরে মাছ ছেড়ে দিতে গেলে গ্রামবাসী সহ মসজিদ কমিটি বাধা দেয় ।
তখন সে উত্তেজিত হয়ে তার দলবল নিয়ে মসজিদ কমিটি ও তার পরিবারের উপর হামলা চালায়,এতে করে উভয় গ্রুপের ১১জন আহত হন, গুরুতর আহত হয়ে হসপিটালে ভর্তি হয়েছে,মোঃসাইদুল(৬২)মোছা ববি আক্তার(৩০),মোছা:শিরিনা আক্তার(৩৫),মোঃতাহেরুল(৩৫),মোঃবিজয়(১৫),মোছা:জাহানারা(৩৫),শুকুর আলী(৫২),শিমু(১৭)রেজাউল(৬০)শাহারুল(২৬),এছাড়া রিনা (২১) নামেন একজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে, আহত ববি আক্তার বলেন আমার দুইটি অপারেশন করা আছে ওরা আমাকে পেটে লাথি মেরেছে আমার পটের অবস্হা খুব খারাপ পেটে প্রচন্ডব্যাথা অনুভব হচ্ছে,মাথায় ও আঘাত করেছে ।
মসজিদ কমিটির সভাপতি সাইদুল ইসলাম বলেন, মসজিদের পুকুরকে কেন্দ্র করে সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আমি সহ আমার পরিবারের লোক সহ গরীব গ্রামবাসীকে বেধরক পিটিয়েছে সকলে উন্নত চিকিসা দারকার।
এ বিষয়ে মুঠফোনে বারাবার অভিযুক্ত জাকারিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। কালাই উপজেলা সাস্হ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মোছা. নাইমা আক্তার বলেন ৩/৪ জনের আঘাত প্রায় মাথায় আঘাত পেয়েছে ওনেকে কথাও ঠিক বলতে পারছে না, তবে সেটা সাময়িকের জন্য হতে পারে পরীক্ষা করলে বুঝা যাবে সমস্যা কতটা গভীর।