ভোলার দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের চরসুবি ৫ নং ওয়ার্ডের মৃত আবুল কালামের স্ত্রী মরিয়ম বেগম একই এলাকার রফিজুল ইসলাম গংদের সাথে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মারধরের শিকার হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ।
মঙ্গলবার(২৭মে) সকাল ১১টায় ভোলা শহরের একটি পত্রিকার জেলা কার্যালয় উক্ত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী বলেন গত ১২/০৪/২০২৩ইং সালে আমার নিজ বসত ঘর মেরামত করার জন্য টাকা জমিয়ে রাখি আমার ঘরে টাকা আছে এই কথা জানতে পেরে আমার দেবর মো: রফিজল ইসলাম এবং তার মেয়ে সারমিন বেগম, শিরিনা বেগম, ছেলে-মো: তারেক আমাকে এসে হাত জোড় করে ৪,২৫,০০০ টাকা এক বছরের জন্য ধার চায়।
টাকা কি কাজের প্রয়োজন জানতে চাইলে তারা আমাকে জানান তাদের বসত ঘরের সামনের জমি মালিক অনত্র বিক্রি করে ফেলবে, এতে তারা বড় ধরনের সমস্যায় পরবে বলে। যেহেতু উক্ত লোকজন আমার আত্মীয় স্বজন তাই আমি কোন কিছু চিন্তা না করেই তাদের সকলের সামনে আমার ঘর থেকে ৪,২৫,০০০ টাকা স্ট্যাম্পের মাধ্যমে তাদের হাতে বুঝিয়ে দেই। উক্ত টাকা দেওয়ার সময় তাদের সাথে আমার কথা থাকে যে,এক বছর পরে আমার পুরো টাকা এককালীন আমাকে বুঝিয়ে দেবে।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এক বছরের জায়গায় দুই বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত তারা আমার পাওনা টাকা পরিশোধ করছে না। উল্টো আমার পাওনা টাকা চাইতে গেলে তারা সংগবদ্ধ ভাবে তাদের বসত ঘরের দরজায় আমাকে বেদরক মারধর করে। মারধরের কারনে আমি আইনের আশ্রয় নিতে চাহিলে তারা আমার পাওনা টাকার কথা অশ্বিকার করে। আমার টাকা বুঝিয়া পাওয়ার জন্য বাধ্য হয়ে আমি কোন আইনের আশ্রয় নেই নি। কিন্তু তার পরেও তারা আমার পাওনা টাকা দিচ্ছে না।
উল্টো আমাকে বিভিন্ন ধরনের মামলা হামলা দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দিবে বলে হুমকি দামকি দেয়। আমার বসত ঘর ভেঙ্গে সেই এলাকা থেকে আমাকে তারিয়ে দিবে বলে আমাকে ভয় ভিতি দেখায়।
এমতাবস্থায় আমি সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে প্রশাসনের সাহায্যে কিভাবে আমি আমার পাওনা ৪,২৫,০০০/- (চার লক্ষ পচিশ হাজার) টাকা বুঝিয়া পাইতে পারি এবং এর সঠিক বিচার পেতে পারি সেই ব্যবস্থা করার জন্য আপনার কাছে জোড় অনুরোধ করতেছি।
